গাজীপুরের শ্রীপুরে শীতলক্ষ্যা নদী দখল করে বালু ভরাটের সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় দুজনকে আটক করা হয়। প্রধান অভিযুক্ত জামসেদ ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান। 
 
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামে এই অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

আটক দুই ব্যক্তি হলেন নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার কাঁঠালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. হাকিম (৩২) এবং কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেন উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে রিয়াদ (২৮)। হাকিম একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাইড ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত রয়েছেন। অন্যদিকে রিয়াদ ড্রেজারের চালক। 

• রাতে রাতে ভরে উঠছে শীতলক্ষ্যার পেট

গোসিঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সরোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পত্রিকায় নদী দখলের খবর পেয়ে গতকাল বুধবার উপজেলা সার্ভেয়ারসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে নদী দখলের প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। জামসেদ বাহিনী নদীর জমি দখল করে কমপক্ষে পাঁচ বিঘা জমি দখল করেছে। নদীর জমিতে খাল খনন করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি গো-হালট দখল করে মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।’ 

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকা বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমে নদী দখলের সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পরপরই স্থানীয় ভূমি অফিসকে সরেজমিন তদন্তের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর নদী দখলের রিপোর্ট পাওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশের সহযোগিতায় উপজেলা ভূমি সার্ভেয়ার ও স্থানীয় ভূমি অফিসের লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনকে আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে। আটককৃত দুজনের বিরুদ্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে—সেটি প্রক্রিয়াধীন।’ 

উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার ‘রাতে রাতে ভরে উঠছে শীতলক্ষ্যার পেট’—এই শিরোনামে দৈনিক আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে টনক নড়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের।