নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
চুরির অপবাদ দিয়ে তিন শিশুর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় পৌর মেয়রসহ চারজনের বিরুদ্ধ মামলা হয়েছে। মামলার পরপরই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগী এক শিশুর বাবা বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন—পৌরসভার মেয়র হালিম শিকদার (৫২), উৎপল শীল (৩৮), দীপক শীল (৫২) এবং ফারুক হোসেন (৪০)। আসামিদের মধ্যে ফারুক ও দীপককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত সোমবার সকালে তিনি খবর পান তাঁর ছেলেসহ (১০) তার দুই বন্ধুকে রামচন্দ্রী বাজারে আটকে নির্যাতন করা হচ্ছে। বাজারে পৌঁছে দেখতে পান তাঁর ছেলের মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়েছে এবং নির্যাতন করে জখম করেছেন আসামিরা। পরে জানতে পারেন তাঁর ছেলে ও তার বন্ধুরা পাওয়ারলুম মেশিনের যন্ত্রাংশ হাতে নিয়েছিল। এরপর মেশিনের মালিক মেয়র তা দেখে তাদের বেঁধে আনার নির্দেশ দেন এবং মারধর করে চুল কেটে দেন।
এদিকে শিশুদের নির্যাতন করার ঘটনায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তদন্তকাজ শুরু করেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আনোয়ার হোসাইন। মঙ্গলবার তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন, ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের বক্তব্য শোনেন।
আনোয়ার হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি অবগত হওয়ার পর জেলা প্রশাসনের নির্দেশে আজকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্তকাজ চালানো হয়েছে। দিনভর ঘটনাস্থল পরিদর্শন, তিন ভুক্তভোগী পরিবার ও অভিযুক্ত মেয়রের বক্তব্য নিয়েছি আমরা। কথাবার্তায় কিছুটা তথ্যের গরমিল পাওয়া গেছে। তা ছাড়া ভুক্তভোগী কেউই সরাসরি নাম প্রকাশ করতে চাননি। তদন্ত শেষে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। যদি অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন হয় তাহলে আরও কয়েক সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করা হতে পারে।’
এর আগে সোমবার সকালে পরিত্যক্ত তাঁত মেশিনের যন্ত্রাংশ হাতে নেওয়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে তিন শিশুকে নির্যাতন করেন মেয়র হালিম সিকদার। ভুক্তভোগী তিন শিশুই মাদ্রাসার বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থী।
অভিযুক্ত হালিম সিকদার গোপালদী পৌরসভার মেয়র এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক। ঘটনার পরপরই সোমবার বিকেলে ভুক্তভোগী পরিবারের বাড়িতে গিয়ে এই বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করার নির্দেশ দেন তিনি।
উল্লেখ্য, রামচন্দ্রদী এলাকায় মেয়র হালিম সিকদারের একটি পাওয়ারলুম (তাঁত) কারখানা ছিল। কিছুদিন আগে কারখানা বন্ধ হওয়ার পর পরিত্যক্তভাবে ছিল মেশিনগুলো। প্রায়ই সেসব মেশিন থেকে যন্ত্রাংশ চুরি হতো। সোমবার সকালে কারখানার কাছে খেলতে যায় ওই তিন শিশু। সেখানে পড়ে থাকা কিছু যন্ত্রাংশ (নাট-বল্টু) হাতে নিয়ে খেলতে থাকে তারা। বিষয়টি মেয়র দেখতে পেয়ে তার লোকজনকে নির্দেশ দেন শিশুদের বেঁধে রাখতে। এরপর শিশুদের হাত বেঁধে প্রায় কয়েক কিলোমিটার হাঁটিয়ে প্রকাশ্যে চুল কেটে দেওয়া হয়। এক শিশুর বাবা ক্ষমা চেয়ে কাকুতিমিনতি করলেও তাতে কর্ণপাত করেনি মেয়র ও তাঁর লোকজন। এ নিয়ে এলাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
চুরির অপবাদ দিয়ে তিন শিশুর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় পৌর মেয়রসহ চারজনের বিরুদ্ধ মামলা হয়েছে। মামলার পরপরই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগী এক শিশুর বাবা বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন—পৌরসভার মেয়র হালিম শিকদার (৫২), উৎপল শীল (৩৮), দীপক শীল (৫২) এবং ফারুক হোসেন (৪০)। আসামিদের মধ্যে ফারুক ও দীপককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত সোমবার সকালে তিনি খবর পান তাঁর ছেলেসহ (১০) তার দুই বন্ধুকে রামচন্দ্রী বাজারে আটকে নির্যাতন করা হচ্ছে। বাজারে পৌঁছে দেখতে পান তাঁর ছেলের মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়েছে এবং নির্যাতন করে জখম করেছেন আসামিরা। পরে জানতে পারেন তাঁর ছেলে ও তার বন্ধুরা পাওয়ারলুম মেশিনের যন্ত্রাংশ হাতে নিয়েছিল। এরপর মেশিনের মালিক মেয়র তা দেখে তাদের বেঁধে আনার নির্দেশ দেন এবং মারধর করে চুল কেটে দেন।
এদিকে শিশুদের নির্যাতন করার ঘটনায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তদন্তকাজ শুরু করেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আনোয়ার হোসাইন। মঙ্গলবার তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন, ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের বক্তব্য শোনেন।
আনোয়ার হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি অবগত হওয়ার পর জেলা প্রশাসনের নির্দেশে আজকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্তকাজ চালানো হয়েছে। দিনভর ঘটনাস্থল পরিদর্শন, তিন ভুক্তভোগী পরিবার ও অভিযুক্ত মেয়রের বক্তব্য নিয়েছি আমরা। কথাবার্তায় কিছুটা তথ্যের গরমিল পাওয়া গেছে। তা ছাড়া ভুক্তভোগী কেউই সরাসরি নাম প্রকাশ করতে চাননি। তদন্ত শেষে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। যদি অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন হয় তাহলে আরও কয়েক সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করা হতে পারে।’
এর আগে সোমবার সকালে পরিত্যক্ত তাঁত মেশিনের যন্ত্রাংশ হাতে নেওয়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে তিন শিশুকে নির্যাতন করেন মেয়র হালিম সিকদার। ভুক্তভোগী তিন শিশুই মাদ্রাসার বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থী।
অভিযুক্ত হালিম সিকদার গোপালদী পৌরসভার মেয়র এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক। ঘটনার পরপরই সোমবার বিকেলে ভুক্তভোগী পরিবারের বাড়িতে গিয়ে এই বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করার নির্দেশ দেন তিনি।
উল্লেখ্য, রামচন্দ্রদী এলাকায় মেয়র হালিম সিকদারের একটি পাওয়ারলুম (তাঁত) কারখানা ছিল। কিছুদিন আগে কারখানা বন্ধ হওয়ার পর পরিত্যক্তভাবে ছিল মেশিনগুলো। প্রায়ই সেসব মেশিন থেকে যন্ত্রাংশ চুরি হতো। সোমবার সকালে কারখানার কাছে খেলতে যায় ওই তিন শিশু। সেখানে পড়ে থাকা কিছু যন্ত্রাংশ (নাট-বল্টু) হাতে নিয়ে খেলতে থাকে তারা। বিষয়টি মেয়র দেখতে পেয়ে তার লোকজনকে নির্দেশ দেন শিশুদের বেঁধে রাখতে। এরপর শিশুদের হাত বেঁধে প্রায় কয়েক কিলোমিটার হাঁটিয়ে প্রকাশ্যে চুল কেটে দেওয়া হয়। এক শিশুর বাবা ক্ষমা চেয়ে কাকুতিমিনতি করলেও তাতে কর্ণপাত করেনি মেয়র ও তাঁর লোকজন। এ নিয়ে এলাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৫ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৪ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫