নুরুল আমিন হাসান, উত্তরা (ঢাকা)
রাজধানীর দক্ষিণখানে দোকানের চাপাতি দিয়েই খাইরুল হোসেন (২৮) নামের এক মাংসের দোকানের কর্মচারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। দক্ষিণখান গোয়ালটেকের আদম আলী মার্কেটের ‘আফসাল গোস্ত বিতানে’ গতকাল রোববার দিবাগত গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। দক্ষিণখান থানা-পুলিশ আজ সোমবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত মাংস বিক্রেতা রাজধানীর বাড্ডার বেরাইদ এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে। মাসের বেশির ভাগ সময় দোকানেই থাকতেন তিনি।
এ ঘটনায় গরুর রাখাল, ওই এলাকার সিকিউরিটি গার্ডসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ।
মাংসের দোকানটির ম্যানেজার হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি রাত ১১টার দিকে দোকান থেকে বাসায় গিয়েছিলাম। খাইরুল একাই দোকানে ছিল। রাত ১২টার দিকে তিনটি গরু নিয়ে আসছিল রাখালেরা। তখনো খাইরুল এলাকাই দোকানে ছিল।’
তিনি বলেন, ‘সকালে খবর পাই, কারা যেন খাইরুলকে কুপিয়ে খুন করেছে। গিয়ে দেখি, খাইরুলের নাক কেটে ফেলা হয়েছে, গলায় দুটি কোপের চিহ্ন।’
হাফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রতিদিন রাতে ক্যাশ থেকে টাকা নিয়ে যাওয়া হয়। তখন পাঁচটি চাপাতি ও পাঁচটি বটি ক্যাশের মধ্যে রেখে গিয়েছিলাম। দোকানের ভেতরে ঢুকে দেখি, বিছানার ওপর খাইরুলের রক্তাক্ত লাশ পড়ে রয়েছে। পাশেই রয়েছে তার খালি মানিব্যাগ। ক্যাশ খুলে দেখা যায় ছুরি–চাপাতিগুলো এলোমেলো।’
হাফিজুর রহমানের ধারণা, ক্যাশ বাক্স থেকে চাপাতি নিয়েই খাইরুলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে বিছানার কম্বল দিয়ে সেটি মুছে আবার ক্যাশে রাখা হয়েছে। একটি চাপাতিটিতে রক্তের দাগ রয়েছে। পুলিশ সেটি জব্দ করে নিয়ে গেছে বলে জানান তিনি। এ ছাড়া দোকানের একটি সাটারে তালা লাগানো ছিল, আরেকটি সাটার নামানো থাকলেও নিচের দিকে ফাঁকা ছিল বলে জানান হাফিজুর।
মাংসের দোকানের মালিক সাজ্জাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে দোকানে এসে সাটারে নক দিছে আমার শ্যালক মামুন। আরেক সাটার খোলা ছিল, সেটি তুলে ভেতরে ঢুকে দেখে খাইরুল কম্বলে মোড়ানো। কম্বলটি সরানোর পর বেরিয়ে আসে তার রক্তাক্ত মরদেহ।’
তিনি বলেন, ‘দোকানের একটি চাপাতি দিয়েই তাকে কোপানো হয়েছে। সেটি পুলিশ থানায় নিয়ে আসছে।’
খাইরুল হোসেনের বাবা আলতাফ হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলে দোকানটিতে মাসের বেশির ভাগ সময় থাকত। রাতে দোকানেই ঘুমাত। পনেরো বিশ দিন পরপর বাসায় গিয়ে সাত আট দিন থাকত। আমার ছেলের সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না। কোনো দ্বন্দ্বও ছিল না। কী কারণে আমার ছেলেকে হত্যা করল, তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।’
হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অজ্ঞাতনামা খুনিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হচ্ছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘একজনের পক্ষে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো দুরূহ কাজ। যদি খাইরুল ঘুমিয়ে থাকেন, তাহলে হয়তো কেউ কম্বল ধরে টান দিয়েছিল। এরপর তাঁকে তারা দেখে ফেলেছিল, এ কারণেই কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাঁকে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহজনক গরুর রাখাল, সিকিউরিটি গার্ডসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।’
টাকা–পয়সা নেওয়ার উদ্দেশ্যেই হত্যা কি না, জানতে চাইলে ওসি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘লাশের পাশে মোবাইল ফোনের কভার ছিল, কিন্তু মোবাইলটি পাওয়া যায়নি। যদি ছিনতাইয়ের জন্যই হতো, সেখানে কয়েকটি গরু বেঁধে রাখা ছিল, সেগুলোও নিয়ে যাওয়ার কথা।’
রাজধানীর দক্ষিণখানে দোকানের চাপাতি দিয়েই খাইরুল হোসেন (২৮) নামের এক মাংসের দোকানের কর্মচারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। দক্ষিণখান গোয়ালটেকের আদম আলী মার্কেটের ‘আফসাল গোস্ত বিতানে’ গতকাল রোববার দিবাগত গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। দক্ষিণখান থানা-পুলিশ আজ সোমবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত মাংস বিক্রেতা রাজধানীর বাড্ডার বেরাইদ এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে। মাসের বেশির ভাগ সময় দোকানেই থাকতেন তিনি।
এ ঘটনায় গরুর রাখাল, ওই এলাকার সিকিউরিটি গার্ডসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ।
মাংসের দোকানটির ম্যানেজার হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি রাত ১১টার দিকে দোকান থেকে বাসায় গিয়েছিলাম। খাইরুল একাই দোকানে ছিল। রাত ১২টার দিকে তিনটি গরু নিয়ে আসছিল রাখালেরা। তখনো খাইরুল এলাকাই দোকানে ছিল।’
তিনি বলেন, ‘সকালে খবর পাই, কারা যেন খাইরুলকে কুপিয়ে খুন করেছে। গিয়ে দেখি, খাইরুলের নাক কেটে ফেলা হয়েছে, গলায় দুটি কোপের চিহ্ন।’
হাফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রতিদিন রাতে ক্যাশ থেকে টাকা নিয়ে যাওয়া হয়। তখন পাঁচটি চাপাতি ও পাঁচটি বটি ক্যাশের মধ্যে রেখে গিয়েছিলাম। দোকানের ভেতরে ঢুকে দেখি, বিছানার ওপর খাইরুলের রক্তাক্ত লাশ পড়ে রয়েছে। পাশেই রয়েছে তার খালি মানিব্যাগ। ক্যাশ খুলে দেখা যায় ছুরি–চাপাতিগুলো এলোমেলো।’
হাফিজুর রহমানের ধারণা, ক্যাশ বাক্স থেকে চাপাতি নিয়েই খাইরুলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে বিছানার কম্বল দিয়ে সেটি মুছে আবার ক্যাশে রাখা হয়েছে। একটি চাপাতিটিতে রক্তের দাগ রয়েছে। পুলিশ সেটি জব্দ করে নিয়ে গেছে বলে জানান তিনি। এ ছাড়া দোকানের একটি সাটারে তালা লাগানো ছিল, আরেকটি সাটার নামানো থাকলেও নিচের দিকে ফাঁকা ছিল বলে জানান হাফিজুর।
মাংসের দোকানের মালিক সাজ্জাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে দোকানে এসে সাটারে নক দিছে আমার শ্যালক মামুন। আরেক সাটার খোলা ছিল, সেটি তুলে ভেতরে ঢুকে দেখে খাইরুল কম্বলে মোড়ানো। কম্বলটি সরানোর পর বেরিয়ে আসে তার রক্তাক্ত মরদেহ।’
তিনি বলেন, ‘দোকানের একটি চাপাতি দিয়েই তাকে কোপানো হয়েছে। সেটি পুলিশ থানায় নিয়ে আসছে।’
খাইরুল হোসেনের বাবা আলতাফ হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলে দোকানটিতে মাসের বেশির ভাগ সময় থাকত। রাতে দোকানেই ঘুমাত। পনেরো বিশ দিন পরপর বাসায় গিয়ে সাত আট দিন থাকত। আমার ছেলের সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না। কোনো দ্বন্দ্বও ছিল না। কী কারণে আমার ছেলেকে হত্যা করল, তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।’
হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অজ্ঞাতনামা খুনিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হচ্ছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘একজনের পক্ষে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো দুরূহ কাজ। যদি খাইরুল ঘুমিয়ে থাকেন, তাহলে হয়তো কেউ কম্বল ধরে টান দিয়েছিল। এরপর তাঁকে তারা দেখে ফেলেছিল, এ কারণেই কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাঁকে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহজনক গরুর রাখাল, সিকিউরিটি গার্ডসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।’
টাকা–পয়সা নেওয়ার উদ্দেশ্যেই হত্যা কি না, জানতে চাইলে ওসি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘লাশের পাশে মোবাইল ফোনের কভার ছিল, কিন্তু মোবাইলটি পাওয়া যায়নি। যদি ছিনতাইয়ের জন্যই হতো, সেখানে কয়েকটি গরু বেঁধে রাখা ছিল, সেগুলোও নিয়ে যাওয়ার কথা।’
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
১২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪