নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মারধর, হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে ঢাকার সাভারের বোট ক্লাবের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা মামলায় পরীমণিসহ দুজনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম এই জামিন দেন। এ মামলায় অপর আসামি হলেন জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম। তিনি পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার।
আজ মঙ্গলবার সকালে দুজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চান। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের জামিন দেন। একই সঙ্গে মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় অন্য আদালতে বদলির নির্দেশ দেন।
এসব তথ্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী।
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল নাসিরকে মারধর করার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় পিবিআইয়ের দাখিল করা প্রতিবেদন গ্রহণ করে আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে সমন জারির নির্দেশ দেন। সমন পেয়ে পরীমণি আদালতে হাজির হন।
গত ১৮ মার্চ ঘটনার সত্যতা পেয়ে এই প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন। প্রতিবেদনে আসামি পরীমণি ও তাঁর কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে বাদীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়। তবে অন্য আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলা হয়। বনিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
২০২২ সালের ৬ জুলাই নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ১৮ জুলাই তদন্তের আদেশ দেন। মামলায় পরীমণি ছাড়াও তাঁর দুই সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমকে আসামি করা হয়।
বাদী তাঁর মামলায় উল্লেখ করেন—পরীমণি ও তাঁর সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী এবং তাঁরা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামীদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি তাঁর পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান।
২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তাঁরা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তাঁর সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদী নাসিরকে ডাক দেন এবং তাঁদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করে। একপর্যায়ে পরীমণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনা মূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি বাদীকে গালমন্দ করেন। বাদী এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় ও বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন—পরীমণি ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন এবং ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমণি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।
উল্লেখ্য, একই দিনের ঘটনায় পরীমণি বাদী হয়ে নাসিরসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় শ্লীলতাহানির অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। বর্তমানে মামলাটি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে যা বলা হয়:
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, ২০২১ সালের ৮ জুন তুহিন সিদ্দিকি অমি রাত সাড়ে ৯টার দিকে বনানী কিংস বেকারি শপে অবস্থানকালে পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার জিম তাঁকে মেসেঞ্জারে কল করে বনানীর বাসায় যেতে অনুরোধ করেন। বাসায় যাওয়ার পর অমির সঙ্গে পরীমণি ও ফাতেমা তুজ জান্নাত বনিদের সাক্ষাৎ হয়। তখন পরীমণির অনুরোধে অমিসহ তাঁরা চারজন অমির কালো রঙের জিপ গাড়িতে করে রাত ১২টা ২২ মিনিটে ঢাকা বোট ক্লাবে আসেন। গাড়ির পেছনে পরীমণির সাদা রঙের খালি জিপ গাড়ি বোট ক্লাবে প্রবেশ করে।
ক্লাবের দোতলায় উঠে প্রথমে পরীমণি ও ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি বারের সামনে থাকা টয়লেট ব্যবহার শেষে বারের ভেতরে প্রবেশ করেন এবং টিভির সামনের টেবিলে বসেন। টেবিলে অমিও বসেন। সৌজন্যতার খাতিরে অমি তাঁদের স্ন্যাক্স-জাতীয় খাবার নিজ খরচে পরিবেশন করে আপ্যায়ন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরীমণি একটি এক লিটারের ব্লু-লেবেল মদের বোতল অর্ডার করেন। পরীমণি ও তাঁর সঙ্গে থাকা জিম ও বনি নিমেষেই সেই বোতলের অ্যালকোহল পান করে বোতল খালি করে ফেলেন এবং অনুরূপ আরেকটি বোতলের অর্ডার করেন। তাঁরা ওই বোতলের আংশিক মদ পান করেন। একপর্যায়ে তাদের দু-তিন টেবিল পেছনে বোট ক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাসির উদ্দিন মাহমুদকে আরও দুজন ব্যক্তির সঙ্গে বসা দেখতে পান অমি। তখন অমি পরীমণিকে নিয়ে নাছির মাহমুদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন এবং পুনরায় তাদের টেবিলে এসে বসে মদ্যপানসহ গল্পগুজব করতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর নাসির মাহমুদ ও তাঁর সঙ্গে থাকা আরও দুজন যখন বার থেকে চলে যাচ্ছিলেন, তখন পরীমণি নাসিরকে ডেকে আরও কিছুক্ষণ থাকতে বলেন। নাসির মাহমুদ ফিরে এসে পুনরায় তার টেবিলে বসেন। কিছুক্ষণ পর ড্রিংকস শেষে পরীমণি ওয়েটারকে আরও এক লিটারের তিনটি ব্লু লেবেল মদের বোতলসহ দুই বোতল ওয়াইন পার্সেল দেওয়ার জন্য অর্ডার করেন। ওয়েটার তখন পরীমণিকে দুই বোতল ওয়াইন পার্সেল দিলেও ব্লু লেবেল মদের বোতল স্টকে না থাকায় পার্সেল দিতে পারেননি।
তখন পরীমণি ডিসপ্লেতে থাকা একটি ব্লু লেবেল বোতল পার্সেল করে দিতে বললে ওয়েটার জানান, বোতলটি বিক্রির জন্য নয় এবং ক্লাবের মেম্বার ছাড়া পার্সেল দেওয়া যাবে না। কিন্তু পরীমণি জোর করে ওই বোতল নিতে চান এবং টেবিলে হট্টগোল করতে থাকেন। পরীমণি উত্তেজিত হয়ে কার্ডহোল্ডার বের করে দুই-তিনটি ব্যাংক কার্ড দেখিয়ে বলেন, ‘আমি কি ফকিরনি? আমার বিল আমি পরিশোধ করব। আমি এটা নেবই।’
একপর্যায়ে পরীমণি খুবই উত্তেজিত হয়ে টেবিলের ওপর থাকা গ্লাস, অ্যাশট্রে, বোতল ফ্লোরে এদিক-ওদিক ছুড়তে থাকেন। তখন নাসির ক্লাবের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পরীমণিকে বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এতে পরীমণি আরও ক্ষেপে গিয়ে একটি অ্যাশট্রে নিয়ে তাঁর দিকে ছুড়ে মারেন, যা তার ডান কানের ওপরে মাথায় লাগে। জিম তেড়ে এসে বাদী নাছির মাহমুদকে গালমন্দ করতে করতে দু-তিনটা কিলঘুষি মারেন। এরপর আবারও পরীমণি বারের ভেতরে যত্রতত্র গ্লাস ছুড়ে ভাঙচুর করতে থাকেন। একটি গ্লাস নাছির মাহমুদের বুকে লাগলে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন। তখন নাছির মাহমুদ বোট ক্লাব ত্যাগ করে চলে যান।
ক্লাব ত্যাগ করার মুহূর্তে পরীমণিকে ক্লাব ছেড়ে চলে যেতে বলার জন্য ক্লাবের নিচে কর্মরত সিকিউরিটি গার্ডকে নির্দেশ দিয়ে যান। নাসির আহত অবস্থায় ওই রাতে আড়াইটার দিকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
বার ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য সিকিউরিটি গার্ড পরীমণিকে বারবার বললেও তারা যেতে চাননি। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর সিকিউরিটি গার্ড বারের লাইট ও এসি কমিয়ে দেওয়ায় ৮৭ হাজার ৬৫০ টাকা বিল না দিয়ে পরীমণি চলে যান।
মারধর, হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে ঢাকার সাভারের বোট ক্লাবের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা মামলায় পরীমণিসহ দুজনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম এই জামিন দেন। এ মামলায় অপর আসামি হলেন জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম। তিনি পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার।
আজ মঙ্গলবার সকালে দুজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চান। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের জামিন দেন। একই সঙ্গে মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় অন্য আদালতে বদলির নির্দেশ দেন।
এসব তথ্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী।
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল নাসিরকে মারধর করার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় পিবিআইয়ের দাখিল করা প্রতিবেদন গ্রহণ করে আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে সমন জারির নির্দেশ দেন। সমন পেয়ে পরীমণি আদালতে হাজির হন।
গত ১৮ মার্চ ঘটনার সত্যতা পেয়ে এই প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন। প্রতিবেদনে আসামি পরীমণি ও তাঁর কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে বাদীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়। তবে অন্য আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলা হয়। বনিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
২০২২ সালের ৬ জুলাই নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ১৮ জুলাই তদন্তের আদেশ দেন। মামলায় পরীমণি ছাড়াও তাঁর দুই সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমকে আসামি করা হয়।
বাদী তাঁর মামলায় উল্লেখ করেন—পরীমণি ও তাঁর সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী এবং তাঁরা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামীদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি তাঁর পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান।
২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তাঁরা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তাঁর সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদী নাসিরকে ডাক দেন এবং তাঁদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করে। একপর্যায়ে পরীমণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনা মূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি বাদীকে গালমন্দ করেন। বাদী এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় ও বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন—পরীমণি ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন এবং ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমণি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।
উল্লেখ্য, একই দিনের ঘটনায় পরীমণি বাদী হয়ে নাসিরসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় শ্লীলতাহানির অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। বর্তমানে মামলাটি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে যা বলা হয়:
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, ২০২১ সালের ৮ জুন তুহিন সিদ্দিকি অমি রাত সাড়ে ৯টার দিকে বনানী কিংস বেকারি শপে অবস্থানকালে পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার জিম তাঁকে মেসেঞ্জারে কল করে বনানীর বাসায় যেতে অনুরোধ করেন। বাসায় যাওয়ার পর অমির সঙ্গে পরীমণি ও ফাতেমা তুজ জান্নাত বনিদের সাক্ষাৎ হয়। তখন পরীমণির অনুরোধে অমিসহ তাঁরা চারজন অমির কালো রঙের জিপ গাড়িতে করে রাত ১২টা ২২ মিনিটে ঢাকা বোট ক্লাবে আসেন। গাড়ির পেছনে পরীমণির সাদা রঙের খালি জিপ গাড়ি বোট ক্লাবে প্রবেশ করে।
ক্লাবের দোতলায় উঠে প্রথমে পরীমণি ও ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি বারের সামনে থাকা টয়লেট ব্যবহার শেষে বারের ভেতরে প্রবেশ করেন এবং টিভির সামনের টেবিলে বসেন। টেবিলে অমিও বসেন। সৌজন্যতার খাতিরে অমি তাঁদের স্ন্যাক্স-জাতীয় খাবার নিজ খরচে পরিবেশন করে আপ্যায়ন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরীমণি একটি এক লিটারের ব্লু-লেবেল মদের বোতল অর্ডার করেন। পরীমণি ও তাঁর সঙ্গে থাকা জিম ও বনি নিমেষেই সেই বোতলের অ্যালকোহল পান করে বোতল খালি করে ফেলেন এবং অনুরূপ আরেকটি বোতলের অর্ডার করেন। তাঁরা ওই বোতলের আংশিক মদ পান করেন। একপর্যায়ে তাদের দু-তিন টেবিল পেছনে বোট ক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাসির উদ্দিন মাহমুদকে আরও দুজন ব্যক্তির সঙ্গে বসা দেখতে পান অমি। তখন অমি পরীমণিকে নিয়ে নাছির মাহমুদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন এবং পুনরায় তাদের টেবিলে এসে বসে মদ্যপানসহ গল্পগুজব করতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর নাসির মাহমুদ ও তাঁর সঙ্গে থাকা আরও দুজন যখন বার থেকে চলে যাচ্ছিলেন, তখন পরীমণি নাসিরকে ডেকে আরও কিছুক্ষণ থাকতে বলেন। নাসির মাহমুদ ফিরে এসে পুনরায় তার টেবিলে বসেন। কিছুক্ষণ পর ড্রিংকস শেষে পরীমণি ওয়েটারকে আরও এক লিটারের তিনটি ব্লু লেবেল মদের বোতলসহ দুই বোতল ওয়াইন পার্সেল দেওয়ার জন্য অর্ডার করেন। ওয়েটার তখন পরীমণিকে দুই বোতল ওয়াইন পার্সেল দিলেও ব্লু লেবেল মদের বোতল স্টকে না থাকায় পার্সেল দিতে পারেননি।
তখন পরীমণি ডিসপ্লেতে থাকা একটি ব্লু লেবেল বোতল পার্সেল করে দিতে বললে ওয়েটার জানান, বোতলটি বিক্রির জন্য নয় এবং ক্লাবের মেম্বার ছাড়া পার্সেল দেওয়া যাবে না। কিন্তু পরীমণি জোর করে ওই বোতল নিতে চান এবং টেবিলে হট্টগোল করতে থাকেন। পরীমণি উত্তেজিত হয়ে কার্ডহোল্ডার বের করে দুই-তিনটি ব্যাংক কার্ড দেখিয়ে বলেন, ‘আমি কি ফকিরনি? আমার বিল আমি পরিশোধ করব। আমি এটা নেবই।’
একপর্যায়ে পরীমণি খুবই উত্তেজিত হয়ে টেবিলের ওপর থাকা গ্লাস, অ্যাশট্রে, বোতল ফ্লোরে এদিক-ওদিক ছুড়তে থাকেন। তখন নাসির ক্লাবের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পরীমণিকে বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এতে পরীমণি আরও ক্ষেপে গিয়ে একটি অ্যাশট্রে নিয়ে তাঁর দিকে ছুড়ে মারেন, যা তার ডান কানের ওপরে মাথায় লাগে। জিম তেড়ে এসে বাদী নাছির মাহমুদকে গালমন্দ করতে করতে দু-তিনটা কিলঘুষি মারেন। এরপর আবারও পরীমণি বারের ভেতরে যত্রতত্র গ্লাস ছুড়ে ভাঙচুর করতে থাকেন। একটি গ্লাস নাছির মাহমুদের বুকে লাগলে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন। তখন নাছির মাহমুদ বোট ক্লাব ত্যাগ করে চলে যান।
ক্লাব ত্যাগ করার মুহূর্তে পরীমণিকে ক্লাব ছেড়ে চলে যেতে বলার জন্য ক্লাবের নিচে কর্মরত সিকিউরিটি গার্ডকে নির্দেশ দিয়ে যান। নাসির আহত অবস্থায় ওই রাতে আড়াইটার দিকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
বার ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য সিকিউরিটি গার্ড পরীমণিকে বারবার বললেও তারা যেতে চাননি। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর সিকিউরিটি গার্ড বারের লাইট ও এসি কমিয়ে দেওয়ায় ৮৭ হাজার ৬৫০ টাকা বিল না দিয়ে পরীমণি চলে যান।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৪ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৪ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৫ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৮ দিন আগে