নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ২০১৯ সালের ২০ জুলাই ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনার মামলায় আজ বুধবার একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
যাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তিনি ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন ও আসাদুল ইসলাম।
আজ বুধবার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মুর্শেদ আলম রায় ঘোষণার আগে আলামত হিসেবে কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ দেখান।
বেলা ১১টা ১০ মিনিটে আদালত চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় পড়া শুরু করেন বিচারক। শুরুতে বিচারক বলেন, ’ এটা একটা চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা। টেলিভিশন, পত্র-পত্রিকায় দেখেছি। ভাগ্যক্রমে আমিই রায় পড়ছি।’
আদালত বলেন, ‘এ মামলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলামত ভিডিও ফুটেজ। এটা না থাকলে রায়ের দিকে যাওয়া কঠিন হতো। চারটি ভিডিও ক্লিপ আছে। আমি এগুলো দেখাতে চাই।’ পরে আদালত ৫ মিনিট করে দুটি ভিডিও ক্লিপ দেখান। ভিডিও দেখে আদালতে রেনুর বোন নাজমুন নাহার নাজমাকে কাঁদতে দেখা যায়।
ভিডিও ফুটেজ দেখানোর পর বিচারক বলেন, ‘আবুল কালাম কে?’ তখন হাত তোলেন আসামি আবুল কালাম। বিচারক বলেন, ‘দেখছেন আপনাকে?’ আবুল কালাম বলেন, ‘দেখা যায়নি।’
কালামকে উদ্দেশ করে বিচারক বলেন, ‘আপনি দেখেন তো কী করছেন!’ কামাল বলেন, ‘আমি সবাইকে বলেছি থামো। দয়া করে থামো। শোনো সে কী বলতে চায়। আমরা শুনতে চাই। কিন্তু কেউ শোনেনি।’
এরপর বিচারক বলেন, ‘তদন্তে কিছু দুর্বলতা আছে।’
এরপর আসামি ইব্রাহিমকে উদ্দেশ করে বিচারক বলেন, ‘দেখ তোমাকে চিনতে পারো কি না।’
ভিডিও দেখা শেষ হলে বিচারক বলেন, ‘বেশির ভাগই একজনকে মেরেছে। তাঁকে (রেনু) হত্যা করা হয়েছে সন্দেহ নেই।’
রায় পড়ার সময় বিচারক পর্যবেক্ষণে বলেন, কেস ডায়েরি পর্যালোচনা করে দেখা যায় আসামিরা আইন-কানুনের পরোয়া করেননি। আসামি ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা লাঠি দিয়ে নিহতের দুই হাতে, কাঁধে, বুকে, ঊরু ও পায়েসহ বিভিন্ন জায়গায় নির্দয় ও নিষ্ঠুরভাবে আঘাত করেন এবং মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাকে আঘাত করতে থাকেন। রেণুকে হত্যা বীভৎস, নারকীয় ও নৃশংস ঘটনা ছিল। যেভাবে গণপিটুনি দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা মধ্যযুগীয় বর্বরতা এবং সমাজের প্রত্যেক মানুষের জন্য এটি আতঙ্কের।
রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ২০১৯ সালের ২০ জুলাই ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনার মামলায় আজ বুধবার একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
যাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তিনি ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন ও আসাদুল ইসলাম।
আজ বুধবার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মুর্শেদ আলম রায় ঘোষণার আগে আলামত হিসেবে কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ দেখান।
বেলা ১১টা ১০ মিনিটে আদালত চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় পড়া শুরু করেন বিচারক। শুরুতে বিচারক বলেন, ’ এটা একটা চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা। টেলিভিশন, পত্র-পত্রিকায় দেখেছি। ভাগ্যক্রমে আমিই রায় পড়ছি।’
আদালত বলেন, ‘এ মামলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলামত ভিডিও ফুটেজ। এটা না থাকলে রায়ের দিকে যাওয়া কঠিন হতো। চারটি ভিডিও ক্লিপ আছে। আমি এগুলো দেখাতে চাই।’ পরে আদালত ৫ মিনিট করে দুটি ভিডিও ক্লিপ দেখান। ভিডিও দেখে আদালতে রেনুর বোন নাজমুন নাহার নাজমাকে কাঁদতে দেখা যায়।
ভিডিও ফুটেজ দেখানোর পর বিচারক বলেন, ‘আবুল কালাম কে?’ তখন হাত তোলেন আসামি আবুল কালাম। বিচারক বলেন, ‘দেখছেন আপনাকে?’ আবুল কালাম বলেন, ‘দেখা যায়নি।’
কালামকে উদ্দেশ করে বিচারক বলেন, ‘আপনি দেখেন তো কী করছেন!’ কামাল বলেন, ‘আমি সবাইকে বলেছি থামো। দয়া করে থামো। শোনো সে কী বলতে চায়। আমরা শুনতে চাই। কিন্তু কেউ শোনেনি।’
এরপর বিচারক বলেন, ‘তদন্তে কিছু দুর্বলতা আছে।’
এরপর আসামি ইব্রাহিমকে উদ্দেশ করে বিচারক বলেন, ‘দেখ তোমাকে চিনতে পারো কি না।’
ভিডিও দেখা শেষ হলে বিচারক বলেন, ‘বেশির ভাগই একজনকে মেরেছে। তাঁকে (রেনু) হত্যা করা হয়েছে সন্দেহ নেই।’
রায় পড়ার সময় বিচারক পর্যবেক্ষণে বলেন, কেস ডায়েরি পর্যালোচনা করে দেখা যায় আসামিরা আইন-কানুনের পরোয়া করেননি। আসামি ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা লাঠি দিয়ে নিহতের দুই হাতে, কাঁধে, বুকে, ঊরু ও পায়েসহ বিভিন্ন জায়গায় নির্দয় ও নিষ্ঠুরভাবে আঘাত করেন এবং মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাকে আঘাত করতে থাকেন। রেণুকে হত্যা বীভৎস, নারকীয় ও নৃশংস ঘটনা ছিল। যেভাবে গণপিটুনি দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা মধ্যযুগীয় বর্বরতা এবং সমাজের প্রত্যেক মানুষের জন্য এটি আতঙ্কের।
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৪ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৩ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫