ভাইকে গাছে বেঁধে পোশাককর্মীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২২, ২১: ৪৮

গাজীপুর মহানগরীর সালনা এলাকায় ভাইকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে এক নারী পোশাককর্মীকে (১৮) দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী দুজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। এ ছাড়া চারজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

আজ শনিবার চারজনের নামে মামলা করেছেন। এরপর আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হলে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী ওই পোশাককর্মীর বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। গাজীপুর মহানগরীর সদর থানা এলাকায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।

এদিকে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার বাড়িয়ালী এলাকার মৃত আজাহার উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিন (২২) ও একই থানাধীন বারবৈকা এলাকার তোফায়েল আহমেদের ছেলে মনির হোসেন (২৮)।

এলাকাবাসী ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই নারী পোশাককর্মী গত শুক্রবার সকালে ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে এক বান্ধবীর বাসায় বেড়াতে যান। সেখান থেকে দুপুর ১২টার দিকে ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে বাসায় ফেরার পথে ৪-৫ যুবক তাদের ভয় দেখিয়ে রাস্তা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে একটি জঙ্গলে নিয়ে ভাইকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। পরে ওই নারীকে জঙ্গলের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে তাঁকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়।

এ সময় ধস্তাধস্তি করে কৌশলে ওই পোশাককর্মী সেখান থেকে পালিয়ে এসে স্থানীয় এক বাসায় আশ্রয় নেন। সেখানে বাড়ির লোকজনকে ঘটনা জানান। এ সময় যুবকেরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় জনতা তাঁদের মধ্যে দুজনকে হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তানভীর আহমেদ জানান, ধর্ষণের ঘটনার পর যুবকেরা পালিয়ে যাওয়ার সময় জসিম ও মনির নামের দুজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্থানীরা। এ সময় অন্যরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

জিএমপি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, ধর্ষণ ও আটকের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আটককৃতদের থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে আটকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভয় দেখানোর কাজে ব্যবহৃত চাপাতি ও হাতুড়ি জব্দ করা হয় এবং গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা ছোট ভাইকে উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা মা বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত দুজনসহ চারজনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা ছিনতাইকারী ও মাদক কারবারি দলের সদস্য। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

জিএমপি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম জানান, শনিবার আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁদের জেল হাজনে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। রিমান্ড আবেদনের শুনানি পরে হবে। আজ শনিবার ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল রোববার আদালতে ২২ ধারায় তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত