সন্তু লারমাকে আঞ্চলিক পরিষদ থেকে বহিষ্কারের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
Thumbnail image

ঢাকা: সন্তু লারমাকে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিষদ থেকে বহিষ্কার এবং তাঁর দলকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।

আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ওমর ফারুক ত্রিপুরার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ, হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে করা এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান তাঁরা।

প্রসঙ্গত, নিহত ফারুকের আসল নাম বেন্নাচন্দ্র ত্রিপুরা (৫৫)। তাঁর ধর্মান্তরিত নাম ওমর ফারুক ত্রিপুরা। তিনি সপরিবারে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন। ১৮ জুন বান্দরবানের রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়নের তুলাছড়ি আগা রায়চন্দ্র ত্রিপুরাপাড়ায় সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন তিনি।

ফারুক হত্যায় সন্তু লারমাকে দায়ী করে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে জনসংহতি ও ইউপিডিএফ (ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) বাঙালিদের হত্যা করে আসছে। তাঁরা এ অঞ্চলকে আলাদা রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। এই অঞ্চলে বাঙালিরা অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।

১৯৯৭ সালের শান্তি চুক্তিকে অসম চুক্তি উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, কোনো বাঙালিকে না রেখেই জনসংহতির সঙ্গে শান্তি চুক্তি করেছিল সরকার। আজ সেই জনসংহতি চার ভাগে বিভক্ত হয়ে চারটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীতে পরিণত হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে।

সেজন্য পুনরায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় যৌথ বাহিনীর মাধ্যমে সকল অস্ত্র উদ্ধার করে সন্ত্রাসীদের উৎখাতের দাবি তাঁদের।

জনসংহতি ও ইউপিডিএফকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে উল্লেখ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান অলকাস মামুন ভূঁইয়া। অবিলম্বে জনসংহতি ও ইউপিডিএফকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধের দাবি জানান তিনি। এসময় তিনি নিহত ওমর ফারুক ত্রিপুরার পরিবারের পাশে না থাকায় গণমাধ্যমের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত