নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক এক যুগ্ম-সচিবের ছেলের প্রতারণার শিকার হয়েছেন দেশের বিভিন্ন এলাকার অন্তত ৭০ ব্যক্তি। সাত মাস ধরে ওই যুবক মানুষকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ২ থেকে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলার পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাঁকেসহ চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
রোববার (২২ অক্টোবর) বিকেলে ডিএমপির ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের (দক্ষিণ) উপকমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন আজকের পত্রিকাকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন যুগ্ম সচিবের ছেলে আরিফ হাসান রনি, তাঁর সহযোগী সুমন, রাসেল, হাবীব ও খন্দকার মো. ফারুক। গত শনিবার রাতে রাজধানীর মতিঝিল ও রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, গত শুক্রবার তাঁদের বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আরিফ হাসান রনি সাবেক এক যুগ্ম-সচিবের ছেলে। তাঁর বাবা মারা গেছেন। রনি বিভিন্ন প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। তিনি চারটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। তাঁর ভুয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—সৈয়দ আক্তার হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট লিমিটেড, রুনা অ্যান্ড হাসান অ্যাসোসিয়েট, এসএ হাসান কনসালট্যান্সি এবং এসএ হাসান ট্যুরস ট্রাভেল অ্যান্ড এডুকেশন কনসালট্যান্সি।
আরিফ হাসান রনি নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দেন। এরপর এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষকে ব্যাংক থেকে ঋণ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেন বলে ফেসবুকে চটকদার বিজ্ঞাপন দিতেন। বিজ্ঞাপনে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক থেকে এসএমই লোন, কৃষি লোন, হোম লোন, প্রবাসী ঋণ ইত্যাদি পাইয়ে দেওয়া প্রচার চালাতেন।
বিজ্ঞাপন দেখে মানুষ যোগাযোগ করলে রনি প্রসেসিং ফি, সার্ভিস চার্জ, ডিসবার্সমেন্ট ফি ইত্যাদি চার্জ ধার্য করতেন। এসব কথা বলে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন। বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে রনি বিভিন্ন ব্যাংক ঋণের নকল আবেদনপত্র, ঋণ স্যাংশন লেটার দিতেন। এভাবে একজন মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন ধাপে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন। গ্রাহকেরা প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারলে তিনি অফিস পরিবর্তন করতেন।
রাজধানীর নিকুঞ্জের এলমান খান নামে এক ব্যক্তি এই প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে ২২ লাখ টাকা খুইয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের নাম ইকো সোসাইটি। আমি এই প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রেসিডেন্ট। আমরা বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম করে থাকি। এ ছাড়া ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প রয়েছে। এই প্রকল্পকে আরও বড় করার জন্য ঋণের কথা ভাবছিলাম আমরা। আমি ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেখে তাদের সঙ্গে কথা বলি। এরপর আমাকে রূপালী ব্যাংক থেকে ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন ধাপে ২২ লাখ টাকা নেয় রনি। যখন আমি বুঝতে পারি প্রতারিত হয়েছি। তখন টাকা চাইলে সে আমাকে হুমকি দেয়। এরপর আমি মতিঝিল থানায় মামলা করি।’
রনি বিদেশে শ্রমিক পাঠানো, ট্যাক্স ফাইল তৈরি করা, ট্রেড লাইসেন্স করা, কোম্পানির নিবন্ধন করে দেওয়ার কথা বলেও প্রতারণা করতেন। প্রতারণার টাকায় তিনি ক্ষুদ্রঋণের ব্যবসা শুরু করেছিলেন।
ঋণ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে নারায়ণগঞ্জের টানবাজারের জনৈক জালাল উদ্দিনের কাছ থেকে ১০ লাখ ২৮ হাজার, কেরানীগঞ্জের শাহনাজ পারভীনের কাছ থেকে ৫ লাখ, টানবাজারের নূর মোহাম্মদের কাছ থেকে ৩ লাখ ৪০ হাজার, বাসাবো বাগপাড়ার রাকিবা খাতুনের কাছ থেকে ৩ লাখ, ঢাকার উত্তর বাড্ডার সানোয়ার হোসেনের কাছ থেকে ২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা, গাজীপুরের মোফাজ্জল হোসেন জুয়েলের কাছ থেকে ২ লাখ ৩৫ হাজার, রাজশাহীর বাঘার শাহিন আলমের কাছ থেকে ১ লাখ ৮৬ হাজার, টানবাজারের সজিবের কাছ থেকে ১ লাখ, উত্তরার তাইবুর রহমানের কাছ থেকে ৫০ হাজার, নারায়ণগঞ্জের বিল্লাল হোসেনের কাছ থেকে ৩৫ হাজার, যশোরের সারসার আবিদ হাসানের কাছ থেকে ২০ হাজার এবং কেরানীগঞ্জের জিনজিরার মনিরুল ইসলামের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন রনি।
ডিবির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার সাইফুর রহমান আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রনির এই প্রতারণার কাজে প্রধান সহযোগী তাঁর স্ত্রী আফরোজা আক্তার বেবি, মা সেলিনা চৌধুরী এবং মোজাম্মেল নামে এক ব্যক্তি। মোজাম্মেলও মাঝে মাঝে নিজেকে রনির ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মালিক পরিচয় দিতেন। তাঁর নামেও দুটি মামলা রয়েছে। প্রতারিত মানুষের কেউ কোনো অভিযোগ করলে মোজাম্মেল তাঁকে হুমকি দিতেন।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক এক যুগ্ম-সচিবের ছেলের প্রতারণার শিকার হয়েছেন দেশের বিভিন্ন এলাকার অন্তত ৭০ ব্যক্তি। সাত মাস ধরে ওই যুবক মানুষকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ২ থেকে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলার পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাঁকেসহ চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
রোববার (২২ অক্টোবর) বিকেলে ডিএমপির ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের (দক্ষিণ) উপকমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন আজকের পত্রিকাকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন যুগ্ম সচিবের ছেলে আরিফ হাসান রনি, তাঁর সহযোগী সুমন, রাসেল, হাবীব ও খন্দকার মো. ফারুক। গত শনিবার রাতে রাজধানীর মতিঝিল ও রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, গত শুক্রবার তাঁদের বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আরিফ হাসান রনি সাবেক এক যুগ্ম-সচিবের ছেলে। তাঁর বাবা মারা গেছেন। রনি বিভিন্ন প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। তিনি চারটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। তাঁর ভুয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—সৈয়দ আক্তার হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট লিমিটেড, রুনা অ্যান্ড হাসান অ্যাসোসিয়েট, এসএ হাসান কনসালট্যান্সি এবং এসএ হাসান ট্যুরস ট্রাভেল অ্যান্ড এডুকেশন কনসালট্যান্সি।
আরিফ হাসান রনি নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দেন। এরপর এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষকে ব্যাংক থেকে ঋণ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেন বলে ফেসবুকে চটকদার বিজ্ঞাপন দিতেন। বিজ্ঞাপনে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক থেকে এসএমই লোন, কৃষি লোন, হোম লোন, প্রবাসী ঋণ ইত্যাদি পাইয়ে দেওয়া প্রচার চালাতেন।
বিজ্ঞাপন দেখে মানুষ যোগাযোগ করলে রনি প্রসেসিং ফি, সার্ভিস চার্জ, ডিসবার্সমেন্ট ফি ইত্যাদি চার্জ ধার্য করতেন। এসব কথা বলে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন। বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে রনি বিভিন্ন ব্যাংক ঋণের নকল আবেদনপত্র, ঋণ স্যাংশন লেটার দিতেন। এভাবে একজন মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন ধাপে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন। গ্রাহকেরা প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারলে তিনি অফিস পরিবর্তন করতেন।
রাজধানীর নিকুঞ্জের এলমান খান নামে এক ব্যক্তি এই প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে ২২ লাখ টাকা খুইয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের নাম ইকো সোসাইটি। আমি এই প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রেসিডেন্ট। আমরা বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম করে থাকি। এ ছাড়া ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প রয়েছে। এই প্রকল্পকে আরও বড় করার জন্য ঋণের কথা ভাবছিলাম আমরা। আমি ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেখে তাদের সঙ্গে কথা বলি। এরপর আমাকে রূপালী ব্যাংক থেকে ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন ধাপে ২২ লাখ টাকা নেয় রনি। যখন আমি বুঝতে পারি প্রতারিত হয়েছি। তখন টাকা চাইলে সে আমাকে হুমকি দেয়। এরপর আমি মতিঝিল থানায় মামলা করি।’
রনি বিদেশে শ্রমিক পাঠানো, ট্যাক্স ফাইল তৈরি করা, ট্রেড লাইসেন্স করা, কোম্পানির নিবন্ধন করে দেওয়ার কথা বলেও প্রতারণা করতেন। প্রতারণার টাকায় তিনি ক্ষুদ্রঋণের ব্যবসা শুরু করেছিলেন।
ঋণ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে নারায়ণগঞ্জের টানবাজারের জনৈক জালাল উদ্দিনের কাছ থেকে ১০ লাখ ২৮ হাজার, কেরানীগঞ্জের শাহনাজ পারভীনের কাছ থেকে ৫ লাখ, টানবাজারের নূর মোহাম্মদের কাছ থেকে ৩ লাখ ৪০ হাজার, বাসাবো বাগপাড়ার রাকিবা খাতুনের কাছ থেকে ৩ লাখ, ঢাকার উত্তর বাড্ডার সানোয়ার হোসেনের কাছ থেকে ২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা, গাজীপুরের মোফাজ্জল হোসেন জুয়েলের কাছ থেকে ২ লাখ ৩৫ হাজার, রাজশাহীর বাঘার শাহিন আলমের কাছ থেকে ১ লাখ ৮৬ হাজার, টানবাজারের সজিবের কাছ থেকে ১ লাখ, উত্তরার তাইবুর রহমানের কাছ থেকে ৫০ হাজার, নারায়ণগঞ্জের বিল্লাল হোসেনের কাছ থেকে ৩৫ হাজার, যশোরের সারসার আবিদ হাসানের কাছ থেকে ২০ হাজার এবং কেরানীগঞ্জের জিনজিরার মনিরুল ইসলামের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন রনি।
ডিবির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার সাইফুর রহমান আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রনির এই প্রতারণার কাজে প্রধান সহযোগী তাঁর স্ত্রী আফরোজা আক্তার বেবি, মা সেলিনা চৌধুরী এবং মোজাম্মেল নামে এক ব্যক্তি। মোজাম্মেলও মাঝে মাঝে নিজেকে রনির ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মালিক পরিচয় দিতেন। তাঁর নামেও দুটি মামলা রয়েছে। প্রতারিত মানুষের কেউ কোনো অভিযোগ করলে মোজাম্মেল তাঁকে হুমকি দিতেন।’
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৭ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৭ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫