নারায়ণগঞ্জে ইমন হত্যাকাণ্ডে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ২

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২২, ১৫: ০৫
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২২, ১৫: ২২

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় স্কুলছাত্র ইমন হোসেনকে হত্যা ও তার ৯ টুকরা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত। এ ছাড়া আরও দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় আরও চার আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক বেগম সাবিনা ইয়াসমিনের আদালত এই আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে দুজন উপস্থিত এবং বাকিরা পলাতক ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাইনগর এলাকার আবদুস সামাদের ছেলে সিরাজ (৪৫), আহম্মদ আলী (৫৫), আমান উল্লাহর ছেলে নাহিদ (২১), আহম্মদের ছেলে সেন্টু মিয়া (২৫)।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন সিরাজুল ইসলাম সিরাজের স্ত্রী সালমা (৪২) ও আহমেদের স্ত্রী হোসনে আরা (৪৭)। 

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন মন্টু মিয়া (২২), আমান উল্লাহর স্ত্রী আয়েশা (৪০), সিরাজুল ইসলাম সিরাজের ছেলে মামুন (২৪) ও খোরশেদ।

রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) জাসমিন আহমেদ। তিনি বলেন, শিশু ঈমন হত্যায় চারজনকে আদালত ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আরও তিনজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে ইমনের বড় ভাই ইকবালের (সিঙ্গাপুর প্রবাসী) সঙ্গে চাচা আহম্মদ আলীর ঝগড়া হয়। ঝগড়ায় ইকবালের লাঠির আঘাতে আহাম্মদ আলীর মাথা ফেটে যায়। এরপর থেকেই তাঁদের দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগে ছিল। ওই ঘটনার পরে ইকবালকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়ায় তাঁকে সিঙ্গাপুরে পাঠিয়ে দেয় পরিবার। 

প্রায় দুই বছর পর ইকবালের পরিবারের ওপর প্রতিশোধ নিতে ইমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে আহাম্মদ আলী। সেই অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ১৩ জুন ইমনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার পর ৯ টুকরা করে ফেলে দেওয়া হয়। পরে ২২ জুন বাড়ির অদূরে একটি খেত থেকে টুকরা করা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ইমন হোসেন (১৩) ফতুল্লার চরাঞ্চল বক্তাবলীর কানাইনগর উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে চর রাধানগর এলাকার ইসমাইল হোসেন ওরফে রমজান মিয়ার ছেলে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত