চুরি করা গাড়ির চাপায় নারী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০২২, ১৪: ৪৬
Thumbnail image

রাজধানীর উত্তরা থেকে চুরি করা গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় শায়েস্তাগঞ্জে শিরিন বেগম (৪০) নামের এক নারীকে চাপা দেয় চোরেরা। ঘটনাস্থলেই নিহত হন ওই নারী। পরে তদন্ত সাপেক্ষে চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানায় আজ বুধবার সকাল ১০টায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।

হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার গ্রাম থেকে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাতে সংঘবদ্ধ গাড়ি চোর চক্রের মো. জিতু মিয়া (২৬) ও মো. শহীদ মিয়া (২৮) নামের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পূর্ব থানার পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে গাড়ি চুরির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম, গাড়ির গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও দুটি ব্যাগ জব্দ করা হয়।

উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, ‘গত ১২ আগস্ট উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের মসজিদের সামনে প্রাইভেট কার রেখে জুমার নামাজে যান গাড়ির চালক মো. তপু। নামাজ শেষে এসে দেখেন গাড়িটি নেই। অন্যদিকে গত ২৯ জুলাই উত্তরা পূর্ব থানার বিডিআর মার্কেটে থেকে অপর একটি গাড়ি চুরি হয়ে যায়। পরে তদন্ত করে দেখা যায়, দুটি গাড়ি চুরির কৌশল একই।’

মোর্শেদ আলম বলেন, ‘উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের মসজিদের সামনে থেকে চুরি হয়ে যাওয়া গাড়িটি একজন রাইডারের ছিল। পরে ওই গাড়ির কিছু ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করি আমরা। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানতে পারি চোর হবিগঞ্জে অবস্থান করছে। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

গ্রেপ্তার হওয়া ওই চোর চক্রের দুই সদস্যকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পিরপ্রেক্ষিতে ডিসি মোর্শেদ আলম বলেন, ‘উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর মসজিদের পাশ থেকে গাড়িটি চুরি করে নিয়ে যাওয়ার পথেই শায়েস্তাগঞ্জে তাঁদের গাড়িচাপায় একজন মারা যায়। পরে ওই ঘটনায় বাহুবল থানায় মামলা হয়। ওই মামলার আলামত হিসেবে গাড়িটি বর্তমানে বাহুবল থানায় জব্দ রয়েছে।’

গাড়ি চুরির কৌশল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মোর্শেদ আলম বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া চক্রের সদস্যরা কোনো ব্যক্তি গাড়ি রেখে গেলে একজন তাঁকে অনুসরণ করেন, আরেকজন আশপাশে রেকি করেন। সেই সঙ্গে অপর এক ব্যক্তি কৌশলে গাড়িটির তালা ভেঙে বা লক ছুটিয়ে নিয়ে চলে যান। কিছু দূর যাওয়ার পর তাঁরা সবাই একত্রিত হয়ে গন্তব্যে রওনা হন।’

গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার গাড়ি চোর। তাঁদের মধ্যে মূল হোতা জিতু মিয়ার বিরুদ্ধে আটটি চুরির মামলা রয়েছে। অপর আসামি শহীদ মিয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন উপ-পুলিশ কমিশনার মোর্শেদ আলম। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত