মাইক্রোবাসে যাত্রী তুলে ছিনতাই-অপহরণ, গ্রেপ্তার ৫

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৪, ১৫: ১৭
আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২৪, ১৫: ৫৬

যাত্রীদের তুলতে মাইক্রোবাস নিয়ে ঘুরে বেড়ায় একটি চক্র। সুযোগ বুঝে জোর করে সড়ক থেকে মানুষকে তুলে নেয় তারা। আবার অনেকেই নিজ থেকে মাইক্রোতে ওঠেন। এরপরে চলে অমানবিক নির্যাতন। কাছে থাকা টাকা–পয়সাসহ মূল্যবান জিনিস লুট করে এবং মুক্তিপণ আদায় করে তারা। এমনই এক চক্রের তিন নারীসহ মোট পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে আশুলিয়া থানা-পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুলিয়া থানা থেকে তাঁদের ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়। এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে এর আগে বুধবার আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার মো. শাহ আলম মৃর্ধার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান হৃদয় (৩৫), নাটর সদর থানার মো. সাইফুল ইসলামের ছেলে মো. জীবন ইসলাম (২৫), নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানার মৃত ফজলুর রহমানের মেয়ে মোসা. আফরিন রিয়া (২৪), বগুড়া জেলার গাবতলী থানার মৃত তোতা মিয়ার মেয়ে মোসা. তানিয়া আক্তার (২৭) এবং নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানার জাহিদুল ইসলামের মেয়ে মোসা. মিতা আক্তার মায়া  (৩৫)। তাঁরা আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে ভাড়া থেকে বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। 

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত পলাতক আরও দুই ব্যক্তি হলেন আশুলিয়া ভাদাইল রুপায়ন মাঠ এলাকার মোমেন আলী (৪০) ও মো. সুজন হোসেন (২৬)। তাঁরা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীকে ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। 

ভুক্তভোগী বারেক মিয়া মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, তিনি পেশায় গরু ব্যবসায়ী। নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের জিরানী বাজার এলাকায় গত ২৮ জুলাই এই চক্রের সদস্যরা তাঁকে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নেন। তাঁকে মারধর করে তাঁর কাছে থাকা ৬২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। পরে আরও ২ লাখ টাকা দাবি করলে ভুক্তভোগীর ছেলে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশে ২৫ হাজার টাকা পাঠায়। পরে নির্জন স্থানে তাঁকে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় চক্রটি। 

পুলিশ জানায়, এ চক্রের অন্যতম সদস্য আফরিন রিয়া। এর আগেও এ ধরনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে জামিনে এসে আবারও অপকর্ম শুরু করেছেন। চক্রের বাকি সদস্যদের নামেও বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। 

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, চক্রটি মূলত মাইক্রোবাসে যাত্রীদের উঠিয়ে ছিনতাই ও অপহরণ করে থাকে। যাত্রীরা যাতে সহজে গাড়িতে ওঠে এ জন্য গাড়িতে নারী সদস্যদেরও রাখা হয়। এ চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে। এই চক্রের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটিও জব্দ করার চেষ্টা চলছে। অপরাধীরা নতুন নতুন কৌশলে মানুষকে ক্ষতি করে আসছে। এ ধরনের ক্ষতি থেকে বাঁচতে আরও সচেতন হতে হবে। 

তিনি জানান, অচেনা গাড়িতে ওঠা এড়িয়ে চলতে হবে। খুব বেশি প্রয়োজন হলে ড্রাইভারের পরিচয়, মোবাইল নম্বর জেনে নিতে হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত