নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কক্সবাজার জেলা ও ট্যুরিস্ট পুলিশের শেখানো কথা সব জায়গায় বলতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সৈকতে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী। তিনি বলেছেন, আদালতে জবানবন্দি, ৯৯৯-এ ফোনসহ অনেক সত্য গোপন করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
আজ সোমবার রাতে আজকের পত্রিকাকে ফোনে এসব কথা বলেন তিনি।
টানা চার দিন ট্যুরিস্ট পুলিশের হেফাজতে ‘বন্দিদশা’ থেকে মুক্তি পেয়ে অনেকটা গোপনে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর বাসায় ফিরেছেন ভোক্তভোগী ও তাঁর পরিবার। আজ সকালে তাঁরা ঢাকায় ফেরেন।
আজকের পত্রিকাকে ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, চার দিন থানা-পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশের জেরার মুখে পড়েছিলেন। অনেক সত্য লুকিয়ে মিথ্যা বলতে হয়েছে। এমনকি আদালতেও পুলিশের শেখানো কথা বলতে হয়েছে। এখন এসব বিষয় তিনি গণমাধ্যমকে বলতে চান।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী আরও বলেন, ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেওয়ার কথা পুলিশ অস্বীকার করলেও ঘটনাটি সত্য। ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি ট্রিপল নাইনে তিনবার ফোন করেন। এর মধ্যে দুবার সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়। তবু তাঁরা সাহায্য করেননি। তাঁর অভিযোগ, নিজেদের দোষ ঢাকতে সবার সামনে ৯৯৯-এ ফোন দেওয়া নিয়ে মিথ্যা বলছে পুলিশ।
ব্যাপক সমালোচনার পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারী পর্যটক ও তাঁর স্বামী-সন্তানকে নিজেদের হেফাজত থেকে ছেড়ে দিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। গত রোববার রাত ৮টার দিকে তাঁদের বাসে তুলে দেয় পুলিশ। আজ সকালে ভুক্তভোগী নারী ও তাঁর স্বামী-সন্তান ঢাকার যাত্রাবাড়ীর জুরাইনের বাসায় পৌঁছান।
তবে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তাঁদের আটকে রাখিনি। তাঁরা নিজেদের মতো চলে গেছেন। সকালে ঢাকায় পৌঁছেছেন।’
২৩ ডিসেম্বর রাতে ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সন্ত্রাসী মো. আশিক (২৮), মো. বাবু (২৫), ইসরাফিল হুদা ওরফে জয় (২৮), রিয়াজ উদ্দিন ওরফে ছোটন (৩০) এবং অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
রোববার রাতে মাদারীপুর থেকে প্রধান আসামি আশিককে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর বাড়ি কক্সবাজার শহরের মধ্যম বাহারছড়া এলাকায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।
ভুক্তভোগীর স্বামীর করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২২ ডিসেম্বর বিকেলে স্বামী ও ৮ মাসের শিশুসন্তানকে নিয়ে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে নামেন ওই নারী। বালুচর দিয়ে হেঁটে পানির দিকে নামার সময় তাঁর স্বামীর সঙ্গে সামান্য ধাক্কা লাগে আশিকের। এর জের ধরে সন্ধ্যায় পর্যটন গলফ মাঠ এলাকা থেকে ওই নারীকে তুলে নিয়ে প্রথমে ঝুপড়ির একটি চায়ের দোকানে এবং পরে কলাতলীর একটি হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করেন আশিকের নেতৃত্বে কয়েকজন।
আজ র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গ্রেপ্তার আশিক বলেছেন, ওই দম্পতির আট মাস বয়সী সন্তানটির জন্মগতভাবে হৃদ্যন্ত্রে ছিদ্র। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ছিল ১০ লাখ টাকা। সেই টাকা জোগাড় করতে স্বামীসহ কক্সবাজারে অবস্থান করছিল পরিবারটি। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে সহায়তা চাচ্ছিল। পর্যটকদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহের বিষয়টি জেনে যায় আশিকের চক্র। তাঁদের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। সে টাকা না পাওয়ার ক্ষোভে ওই নারীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ওই দিন নারীকে সৈকত থেকে তুলে নিয়ে পোস্ট অফিসের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানে নিয়ে যায় আশিকের চক্র। দোকানটির পেছনে থাকা কক্ষে আশিকের দুই বন্ধু নারীকে ধর্ষণ করে। এর পর তাঁকে মোটরসাইকেলে তুলে কলাতলী জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে নেন আশিক। সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করেন তিনিও। বিষয়টি ব্যাপকভাবে স্থানীয় পর্যায়ে ও বিভিন্ন মিডিয়াতে জানাজানি হলে আশিক আত্মগোপন করেন। পরে বেশভূষা পরিবর্তন করে ঘটনার দুদিন পর কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসে। রোববার ঢাকা থেকে পটুয়াখালী যাওয়ার পথে মাদারীপুরের মোস্তাফাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন আশিক।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘গণমাধ্যমে যেমনটা এসেছিল, বিষয়টি তেমন না। ওই নারী চক্রটির পূর্বপরিচিত ছিলেন না। ঘটনার এক দিন আগে সৈকতে তাঁদের পরিচয় হয়।’
কক্সবাজার জেলা ও ট্যুরিস্ট পুলিশের শেখানো কথা সব জায়গায় বলতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সৈকতে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী। তিনি বলেছেন, আদালতে জবানবন্দি, ৯৯৯-এ ফোনসহ অনেক সত্য গোপন করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
আজ সোমবার রাতে আজকের পত্রিকাকে ফোনে এসব কথা বলেন তিনি।
টানা চার দিন ট্যুরিস্ট পুলিশের হেফাজতে ‘বন্দিদশা’ থেকে মুক্তি পেয়ে অনেকটা গোপনে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর বাসায় ফিরেছেন ভোক্তভোগী ও তাঁর পরিবার। আজ সকালে তাঁরা ঢাকায় ফেরেন।
আজকের পত্রিকাকে ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, চার দিন থানা-পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশের জেরার মুখে পড়েছিলেন। অনেক সত্য লুকিয়ে মিথ্যা বলতে হয়েছে। এমনকি আদালতেও পুলিশের শেখানো কথা বলতে হয়েছে। এখন এসব বিষয় তিনি গণমাধ্যমকে বলতে চান।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী আরও বলেন, ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেওয়ার কথা পুলিশ অস্বীকার করলেও ঘটনাটি সত্য। ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি ট্রিপল নাইনে তিনবার ফোন করেন। এর মধ্যে দুবার সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়। তবু তাঁরা সাহায্য করেননি। তাঁর অভিযোগ, নিজেদের দোষ ঢাকতে সবার সামনে ৯৯৯-এ ফোন দেওয়া নিয়ে মিথ্যা বলছে পুলিশ।
ব্যাপক সমালোচনার পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারী পর্যটক ও তাঁর স্বামী-সন্তানকে নিজেদের হেফাজত থেকে ছেড়ে দিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। গত রোববার রাত ৮টার দিকে তাঁদের বাসে তুলে দেয় পুলিশ। আজ সকালে ভুক্তভোগী নারী ও তাঁর স্বামী-সন্তান ঢাকার যাত্রাবাড়ীর জুরাইনের বাসায় পৌঁছান।
তবে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তাঁদের আটকে রাখিনি। তাঁরা নিজেদের মতো চলে গেছেন। সকালে ঢাকায় পৌঁছেছেন।’
২৩ ডিসেম্বর রাতে ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সন্ত্রাসী মো. আশিক (২৮), মো. বাবু (২৫), ইসরাফিল হুদা ওরফে জয় (২৮), রিয়াজ উদ্দিন ওরফে ছোটন (৩০) এবং অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
রোববার রাতে মাদারীপুর থেকে প্রধান আসামি আশিককে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর বাড়ি কক্সবাজার শহরের মধ্যম বাহারছড়া এলাকায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।
ভুক্তভোগীর স্বামীর করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২২ ডিসেম্বর বিকেলে স্বামী ও ৮ মাসের শিশুসন্তানকে নিয়ে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে নামেন ওই নারী। বালুচর দিয়ে হেঁটে পানির দিকে নামার সময় তাঁর স্বামীর সঙ্গে সামান্য ধাক্কা লাগে আশিকের। এর জের ধরে সন্ধ্যায় পর্যটন গলফ মাঠ এলাকা থেকে ওই নারীকে তুলে নিয়ে প্রথমে ঝুপড়ির একটি চায়ের দোকানে এবং পরে কলাতলীর একটি হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করেন আশিকের নেতৃত্বে কয়েকজন।
আজ র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গ্রেপ্তার আশিক বলেছেন, ওই দম্পতির আট মাস বয়সী সন্তানটির জন্মগতভাবে হৃদ্যন্ত্রে ছিদ্র। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ছিল ১০ লাখ টাকা। সেই টাকা জোগাড় করতে স্বামীসহ কক্সবাজারে অবস্থান করছিল পরিবারটি। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে সহায়তা চাচ্ছিল। পর্যটকদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহের বিষয়টি জেনে যায় আশিকের চক্র। তাঁদের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। সে টাকা না পাওয়ার ক্ষোভে ওই নারীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ওই দিন নারীকে সৈকত থেকে তুলে নিয়ে পোস্ট অফিসের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানে নিয়ে যায় আশিকের চক্র। দোকানটির পেছনে থাকা কক্ষে আশিকের দুই বন্ধু নারীকে ধর্ষণ করে। এর পর তাঁকে মোটরসাইকেলে তুলে কলাতলী জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে নেন আশিক। সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করেন তিনিও। বিষয়টি ব্যাপকভাবে স্থানীয় পর্যায়ে ও বিভিন্ন মিডিয়াতে জানাজানি হলে আশিক আত্মগোপন করেন। পরে বেশভূষা পরিবর্তন করে ঘটনার দুদিন পর কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসে। রোববার ঢাকা থেকে পটুয়াখালী যাওয়ার পথে মাদারীপুরের মোস্তাফাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন আশিক।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘গণমাধ্যমে যেমনটা এসেছিল, বিষয়টি তেমন না। ওই নারী চক্রটির পূর্বপরিচিত ছিলেন না। ঘটনার এক দিন আগে সৈকতে তাঁদের পরিচয় হয়।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১২ দিন আগে