Ajker Patrika

কাজে না যেতে চাওয়ায় খুন হন করিম 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২২, ১৮: ০৮
কাজে না যেতে চাওয়ায় খুন হন করিম 

পেশায় রংমিস্ত্রির সহকারী ছিলেন আব্দুল করিম। সহকারী হলেও কাজের যন্ত্রপাতি ছিল করিমের। কিন্তু তারপরও মিস্ত্রি মনির তাঁকে কম মজুরি দিত। তাই তাঁর সঙ্গে কাজে যেতে আপত্তি জানায় করিম। আর এতেই প্রাণ দিতে হলো করিমকে। 

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল আমিন। 

খায়রুল আমিন বলেন, গত ৫ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মনদী ইউনিয়নের ব্রাহ্মনদী ষাড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুল করিম মজুরি কম দেওয়ায় আপত্তি জানানো সহকর্মীর এলোপাতাড়ি মারপিটে আব্দুল করিমের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় মনির নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন সকাল ৭টায় করিমের বাসায় আসে সহকর্মী রংমিস্ত্রি মনির। মনির হোসেনের সঙ্গে কাজে যেতে অনীহা প্রকাশ করেন করিম। কারণ হিসেবে বলেন, তাঁর যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে মনির কাজ করলেও করিমকে মজুরি কম দেওয়া হতো। এমন অভিযোগ তোলায় করিমকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে গুরুতর আহত করে মাটিতে ফেলে দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে করিমের ডাক চিৎকারে তাঁর পরিবারের সদস্যরা এসে তাঁকে উদ্ধার করে জোবেদ আলী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য দিলে পরীক্ষার টাকা সংগ্রহ করতে করিমকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। বাড়িতে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই করিম মারা যান। 

ওই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নার্গিস (৪৮) মনিরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থেকে মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, প্রায় ৮ বছর ধরে করিম ঢাকা, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করে রংমিস্ত্রির কাজ করে আসছিল। তাঁর সঙ্গে প্রায় ৪ বছর ধরে কাজের সুবাদে মনিরের পরিচয় হলে সে তাঁর সহকারী হিসেবে কাজ করত। তাঁদের উভয়ের মধ্যে কাজের মজুরিসহ বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে মনোমালিন্য দেখা দেয়। 

তিনি আরও জানান, সম্প্রতি সহকারী হিসেবে করিমকে দৈনিক হাজিরা ৪শ টাকা ও নিজের জন্য দৈনিক হাজিরা ৫ শ টাকার নতুন একটি কাজ ঠিক করেন মনির। এদিকে করিম তাঁর যন্ত্রপাতি দিয়েই মূলত ঠিকাদারির কাজ করতেন মনির। তবুও তাঁর দৈনিক হাজিরা কম বিধায় সে মনিরের সঙ্গে কাজে যেতে অস্বীকৃতি জানান। তখন মনির হোসেন উত্তেজিত হয়ে করিমকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে গুরুতর আহত করে মাটিতে ফেলে দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় ও উক্ত আঘাতের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের বিপক্ষে সেমির আগেই ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া

পরমাণু শক্তিধর হতে চেয়েছিল তাইওয়ান, সিআইএ এজেন্টের বিশ্বাসঘাতকতায় স্বপ্নভঙ্গ

এলপি গ্যাস, তেল, আটাসহ বেশ কিছু পণ্যে ভ্যাট তুলে দিল এনবিআর

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি: রিজার্ভ-ডেতেও সেমিফাইনাল না হলে হৃদয়বিদারক সমীকরণ

অমর্ত্য সেনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন জামায়াতের আমির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত