অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা: পিকে হালদারসহ ১৪ জনের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি রাষ্ট্রপক্ষের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার যুক্তিতর্ক শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছে। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০–এ যুক্তি তর্ক শুনানি হয়। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের দুদক বিশেষ পিপি মীর আহমেদ আব্দুস সালাম রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, এই মামলার সাক্ষীরা পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করেছেন। তাই তিনি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। 

শুনানি শেষে বিচারক মো. নজরুল ইসলাম আগামী ৯ আগস্ট কারাগারে থাকা আসামিদের পক্ষে যুক্তি তর্ক শুনানির দিন ধার্য করেন। শুনানিতে এই মামলায় কারাগারে থাকা চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। 

গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। ৯৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। 

পিকে হালদার ছাড়া অন্য যারা আসামি তাঁরা হলেন পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, নিকটাত্মীয় পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা অনিন্দিতা, অনন্য মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।

এই মামলায় অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা কারাগারে রয়েছেন। অন্যরা পলাতক রয়েছেন। পিকে হালদার ভারতে কারাগারে আটক রয়েছেন। ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, পিকে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। এ ছাড়া ওই অর্থ আড়াল করতে বিদেশে পাচার করে মানিলন্ডারিং আইনেও অপরাধ করেন তিনি। 
মামলাটি তদন্ত শেষে ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত