ত্বকী হত্যার বিচার বিলম্বের পেছনে প্রভাবশালী পরিবার: আইভী

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২২, ১৭: ০৬
আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২২, ১৭: ২৩

তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যায় নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী পরিবার জড়িত থাকায় বিচার বিলম্ব হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। আজ রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে সিরাজ শাহ মাজারে অবস্থিত ত্বকীর কবরের পাশে দাঁড়িয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। 

এর আগে ত্বকীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া-মিলাদে অংশ নেন মেয়রসহ বিভিন্ন বাম রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। 

মেয়র আইভী বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী পরিবার এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বিধায় ত্বকী হত্যার বিচার বিলম্বিত হচ্ছে বলে ধারণা নারায়ণগঞ্জের মানুষের। আমরা চাই এই ধারণা থেকে বের হয়ে আমাদের সরকার যেটা সঠিক ও যেটা ন্যায্য সেটাই করবে। আমাদের সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। আমরা চাই না প্রতি মাসের ৮ তারিখে নারায়ণগঞ্জের মানুষ মোমশিখা প্রজ্বালন করে ত্বকী হত্যার বিচারের দাবি জানাক। প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে দ্রুত বিচার করা হোক।’ 

আইভী আরও বলেন, ‘দীর্ঘ ৯ বছর যাবৎ আমাদের সন্তান ত্বকী হত্যার বিচার হচ্ছে না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। দেশের অনেক আলোচিত হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। নারায়ণগঞ্জেরও কিছু আলোচিত হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা বলতে চাই, ত্বকী হত্যার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা হোক।’ 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নিহত ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বী, সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর রায়, সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদ, জেলা বাসদের সমন্বয়ক নিখিল দাস, জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, জেলা সিপিবির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, সুজনের জেলা সমন্বয়ক ধীমান সাহা জুয়েল, উন্মেষ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি প্রদীপ ঘোষ বাবু প্রমুখ। 

প্রসঙ্গত, ত্বকী হত্যার ৯ বছর উপলক্ষে ঘোষিত পাঁচ দিনের কর্মসূচির প্রথম দিনে এই দোয়া ও মিলাদ কর্মসূচি পালন করা হয়। আগামী ৭, ৮, ১১ এবং ১৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকায় কর্মসূচি পালন করবে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ। 

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকেলে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরে ৮ মার্চ সকালে শহরের চারারগোপ এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয় আটজনকে। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ইউসুফ হোসেন লিটন ও সুলতান শওকত ভ্রমর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তবে মামলার ৯ বছর পূর্ণ হলেও এখন পর্যন্ত অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেনি তদন্তকারী সংস্থা র‍্যাব।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত