Ajker Patrika

শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ আগস্ট ২০২৪, ১৫: ৩০
শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় হেলিকপ্টার থেকে র‍্যাবের গুলিতে ১২ বছরের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এই মামলা দায়ের করেন রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ ভূঁইয়া। 

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। মামলার বাদী আবু সাঈদ ভূঁইয়া নিজেই আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মামলায় আরও যাঁদের আসামি করা হয়েছে, তাঁরা হলেন—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের; সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, তাজুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, হাসান মাহমুদ ও মোহাম্মদ এ আরাফাত; সালমান এফ রহমান, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, র‍্যাবের সাবেক ডিজি হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি খ মাহিদ উদ্দিন, সাবেক ডিবি (ডিএমপি) প্রধান হারুন অর রশিদ এবং ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা র‍্যাব সদস্যদেরও আসামি করা হয়েছে। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়—গত ১৯ জুলাই রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় হেলিকপ্টার থেকে র‍্যাবের করা গুলিতে শিক্ষার্থী জোবাইদ হোসেন ইমন (১২) নিহত হয়। শিশু ইমন বাদীর ভাগনে। 

এদিন আসামিদের নির্দেশে র‍্যাব সদস্যরা হেলিকপ্টার থেকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এ সময় ভুক্তভোগী জোবাইদ হোসেন ইমনের বাঁ কানের ওপর দিয়ে গুলি প্রবেশ করে ডান কানের নিচ দিয়ে চোয়াল ভেদ করে বেরিয়ে যায়। গুলির আঘাতে ঘটনাস্থলেই ইমন মাটিতে পড়ে গেলে স্থানীয় লোকজন, মামলার বাদী ও অন্য সাক্ষীরা তাকে দ্রুত ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

অভিযোগে আরও বলা হয়—আসামিরা শেখ হাসিনার অবৈধ স্বৈরশাসনকে নিরঙ্কুশ ও দীর্ঘায়িত করার প্রয়াসে পরস্পরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে নির্মূল ও হত্যার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। তারই ধারাবাহিকতায় আন্দোলনরত নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে নির্মূল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সেই আলোকে পুলিশ, বিজিবি ও র‍্যাব সদস্যরা নীলনকশা বাস্তবায়নের নিমিত্তে পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড শুরু করে। নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অসংখ্য ছাত্র, শিশু, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে হত্যা ও আহত করে। 

এ ছাড়া বিভিন্ন উঁচু ভবনের ছাদে অবস্থান নিয়ে আসামিদের অনুগত বাহিনীর সদস্যরা স্নাইপার রাইফেলের মাধ্যমে দূর থেকে গুলি করে অনেক ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করে। আসামিদের দ্বারা নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর ভূমি থেকে, উঁচু ভবনের ছাদ থেকে এবং আকাশপথ থেকে উন্নত মারণাস্ত্রের মাধ্যমে অবিরাম গুলিবর্ষণের মাধ্যমে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড চালিয়ে অজস্র মানুষকে খুন ও আহত করা হয়। হত্যাকারী বাহিনীগুলো খুন ও আহত করেই ক্ষান্ত হয়নি, আহতদের পার্শ্ববর্তী হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে বাধা দেয় এবং হাসপাতালে ডাক্তারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে গুরুতর আহতদের চিকিৎসা প্রদানে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। 

এ ছাড়া আসামিদের নির্দেশে হত্যাকারী বাহিনীগুলো হাসপাতালগুলোতে ঢুকে নিহত অনেকের মরদেহ জোরপূর্বক নিয়ে গিয়ে গুম করে ফেলে। ফলে নিহতদের প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। অনেক মরদেহ পুলিশ জোরপূর্বক নিয়ে কোনো রকম ময়নাতদন্ত ছাড়াই অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে বিভিন্ন কবরস্থানে গোপনে দাফন করে হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ বিনষ্ট করার চেষ্টা করে। একইভাবে তারা আমার ভাগনে জোবাইদ হোসেন ইমনের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করতে বাধ্য করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মুসলিম থেকে খ্রিষ্টান হওয়া ইরানি নারী এখন পানামার জঙ্গলে

ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হেনস্তাকারীর পক্ষে নামা ‘তৌহিদী জনতার’ আড়ালে এরা কারা

বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা হলেই মেয়াদ শেষ নতুন পরিচালনা কমিটির

এনসিপিকে চাঁদা দিচ্ছেন ধনীরা, ক্রাউডফান্ডিং করেও অর্থ সংগ্রহ করা হবে: নাহিদ ইসলাম

ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান, সন্তানসহ ছিটকে পড়তেই তরুণীর গালে ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত