হোসেনপুরে প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যা মামলার দুই আসামির রিমান্ড মঞ্জুর

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৩, ১৩: ৫৬

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে প্রবাসীর স্ত্রী ও তাঁর দুই মেয়েকে হত্যার মামলায় রিমান্ড শুনানি শেষে গ্রেপ্তার দুই আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁদের আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড চায় হোসেনপুর থানা-পুলিশ। পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিন্নাত আরা দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশ দেন। 

এর আগে হত্যার ঘটনায় গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় হোসেনপুর উপজেলার সাহেদল ইউনিয়নের বাসুর চর গ্রাম থেকে জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) ও জহিরুল ইসলাম ছোটনকে (৩৩) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর আলম হোসেনপুর উপজেলার সাহেদল ইউনিয়নের বাসুর চর গ্রামের মৃত আবদুস সোবাহানের ছেলে এবং জহিরুল ইসলাম ছোটন একই গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। 

হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন, ‘আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলার রিমান্ড শুনানি হয়েছে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে যে প্রাথমিক তথ্য এবং এখন পর্যন্ত তদন্তে যে প্রাপ্ত তথ্য আছে তার সামঞ্জস্য ও সুস্পষ্টতা নির্ধারণের জন্যই আমরা ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করি। বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে ২ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।’ 

এর আগে ১৪ নভেম্বর রাতে হোসেনপুর থানায় নিহতের গৃহবধূর ভাই কবিরুল ইসলাম নয়ন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিন সকালে জেলার হোসেনপুর উপজেলার সাহেদল ইউনিয়নের বাসুর চর গ্রামে নিজ ঘরের দুটি বিছানা থেকে সৌদি আরব প্রবাসী মঞ্জিল মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা আক্তার (৩৫), বড় মেয়ে মোহনা (১১) ও ছোট মেয়ে বন্যার (৭) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মঞ্জিল মিয়া পাঁচ বছর আগে সৌদি আরবে যান। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী তাছলিমা তাঁদের দুই মেয়ে মোহনা ও বন্যাকে নিয়ে বসবাস করতেন। দুই মেয়ের মধ্যে মোহনা স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি এবং বন্যা প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। ঘটনার দিন সকালে মোহনাকে স্কুলে নিয়ে যেতে তাঁর বান্ধবী ফারজানা তাঁদের ঘরে যায়। মোহনাকে সে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে দরজায় ধাক্কা দিতেই দরজাটি খুলে যায়। 

পরে ভেতরে গিয়ে সে মা ও দুই মেয়েকে মৃত অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেয়। অন্যরা ঘরে গিয়ে তাদের লাশ দেখতে পায়। স্থানীয়দের খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের দুটি বিছানায় মা ও দুই মেয়ের লাশ পায়। খবর পেয়ে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। দুপুর ২টার দিকে ময়মনসিংহ অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে এসে নমুনা সংগ্রহ শুরু করে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত