গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
নিজ বুদ্ধমত্তায় অপহরণকারী চক্রের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী (১৪)। সে গোয়ালন্দ পৌরসভার বাসিন্দা এবং স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গত রোববার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে খালাতো ভাইয়ের কাছে প্রাইভেট পড়তে যায় ওই শিক্ষার্থী। পথে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ রেলগেট থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা।
আজ মঙ্গলবার কথা হয় ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে। ওই স্কুলছাত্রী জানায়, গত রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কুন্ডুপাড়া এলাকায় খালুর বাড়িতে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বের হয় সে। মাঝপথে গোয়ালন্দ রেলগেট পার হওয়ার পর স্থানীয় একটি বহুতল ভবনের সামনে নীল রঙের একটি মাইক্রোবাস পথরোধ করে তার। মাইক্রোবাসে বোরকা পরা এক যুবতী ও তিন তরুণ ছিল। ওই নারী নাম জিজ্ঞাসা করে আচমকা টান দিয়ে গাড়িতে তুলেই দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের দিকে রওনা করে। এ সময় কাঁধ থেকে স্কুল ব্যাগটি ওই ভবনের সামনে পড়ে যায়। তাকে মাঝে রেখে ডানে পাশে ওই নারী এবং বাম পাশে এক তরুণ বসা ছিল। এরপর সে অচেতন হয়ে পড়ে।
ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রী আরও জানায়, দুপুর ১২টার দিকে নবীনগর এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় মাইক্রোবাস থামায়। জ্ঞান ফিরলে দেখতে সে দেখতে পায় ওই নারী তার ডান হাত ধরে আছেন। বাম পাশের তরুণ নেই, গাড়ির দরজা খোলা। সবাই চা খেতে নেমেছে। এ সময় সে ওই নারীকে ধাক্কা দিয়ে গাড়ি থেকে নেমেই দৌড় দিয়ে স্থানীয় এক চায়ের দোকানে আশ্রয় নেয়।
এ সময় স্থানীয় বয়স্ক এক ব্যক্তির কাছে ঘটনাটি খুলে বলে সে। ওই সময় চক্রের সদস্যরা কিছু দূর পথ পিছু নিয়ে কেটে পড়ে। পরে ওই ব্যক্তি স্কুলছাত্রীর বাবা-মাকে ফোনে বিষয়টি জানান। রাতেই বাবা-মার সঙ্গে বাড়িতে ফিরে আসে ওই সে।
এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা জানান, বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মেয়ে বাড়ি ফিরে না আসায় বোনের কাছে ফোন করে জানতে পারেন প্রাইভেট পড়তে যায়নি। তখন সবাই বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিতে থাকলে রাস্তায় স্কুল ব্যাগ পড়ে থাকার বিষয়টি জানতে পেরে ধারণা করে অপহরণ করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক ৯৯৯-এ ফোন করে গোয়ালন্দ ঘাট থানাকে অবগত করা হয়। থানা থেকে বলা হয় সেখানে গিয়ে অভিযোগ দিতে। অভিযোগ লিখতে থানায় গেলে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তার সামনেই অপরিচিত এক নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনে বলা হয় তাঁর মেয়েকে ঢাকা নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় পাওয়া গেছে। তাঁদের দ্রুত সেখানে যেতে বলা হয়। এ সময় তাঁরা অভিযোগ না লিখিয়েই দ্রুত মেয়ের কাছে ছুটে যান এবং সেখান থেকে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত নবীনগর পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় পৌঁছে আমার মেয়েকে পাই। আমার একমাত্র মেয়ে অল্পের জন্য রক্ষা পায়।’ কিন্তু দিনের বেলায় মহাসড়ক থেকে এভাবে তুলে নেওয়ায় মেয়েকে নিরাপদে পড়ানো নিয়ে তিনি শঙ্কায় আছেন বলে জানান তিনি।
নবীনগর পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার অনামিকা হেয়ার ড্রেসার সেলুনের মালিক স্বপন চন্দ্র শীল বলেন, ‘আমি চা খাচ্ছিলাম। এ সময় অল্প বয়সের ওই মেয়েকে আতঙ্কগ্রস্ত দেখে কি হয়েছে জানতে চাইলাম। পরে বিষয়টি খুলে বললে তার কাছ থেকে নম্বর নিয়ে বাবা-মাকে ফোনে জানাই এবং তারা এসে মেয়েটিকে বাড়ি নিয়ে যায়।’
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, ‘এ বিষয়ে স্কুলছাত্রীর পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপরও আমি বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখব।’
নিজ বুদ্ধমত্তায় অপহরণকারী চক্রের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী (১৪)। সে গোয়ালন্দ পৌরসভার বাসিন্দা এবং স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গত রোববার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে খালাতো ভাইয়ের কাছে প্রাইভেট পড়তে যায় ওই শিক্ষার্থী। পথে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ রেলগেট থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা।
আজ মঙ্গলবার কথা হয় ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে। ওই স্কুলছাত্রী জানায়, গত রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কুন্ডুপাড়া এলাকায় খালুর বাড়িতে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বের হয় সে। মাঝপথে গোয়ালন্দ রেলগেট পার হওয়ার পর স্থানীয় একটি বহুতল ভবনের সামনে নীল রঙের একটি মাইক্রোবাস পথরোধ করে তার। মাইক্রোবাসে বোরকা পরা এক যুবতী ও তিন তরুণ ছিল। ওই নারী নাম জিজ্ঞাসা করে আচমকা টান দিয়ে গাড়িতে তুলেই দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের দিকে রওনা করে। এ সময় কাঁধ থেকে স্কুল ব্যাগটি ওই ভবনের সামনে পড়ে যায়। তাকে মাঝে রেখে ডানে পাশে ওই নারী এবং বাম পাশে এক তরুণ বসা ছিল। এরপর সে অচেতন হয়ে পড়ে।
ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রী আরও জানায়, দুপুর ১২টার দিকে নবীনগর এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় মাইক্রোবাস থামায়। জ্ঞান ফিরলে দেখতে সে দেখতে পায় ওই নারী তার ডান হাত ধরে আছেন। বাম পাশের তরুণ নেই, গাড়ির দরজা খোলা। সবাই চা খেতে নেমেছে। এ সময় সে ওই নারীকে ধাক্কা দিয়ে গাড়ি থেকে নেমেই দৌড় দিয়ে স্থানীয় এক চায়ের দোকানে আশ্রয় নেয়।
এ সময় স্থানীয় বয়স্ক এক ব্যক্তির কাছে ঘটনাটি খুলে বলে সে। ওই সময় চক্রের সদস্যরা কিছু দূর পথ পিছু নিয়ে কেটে পড়ে। পরে ওই ব্যক্তি স্কুলছাত্রীর বাবা-মাকে ফোনে বিষয়টি জানান। রাতেই বাবা-মার সঙ্গে বাড়িতে ফিরে আসে ওই সে।
এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা জানান, বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মেয়ে বাড়ি ফিরে না আসায় বোনের কাছে ফোন করে জানতে পারেন প্রাইভেট পড়তে যায়নি। তখন সবাই বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিতে থাকলে রাস্তায় স্কুল ব্যাগ পড়ে থাকার বিষয়টি জানতে পেরে ধারণা করে অপহরণ করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক ৯৯৯-এ ফোন করে গোয়ালন্দ ঘাট থানাকে অবগত করা হয়। থানা থেকে বলা হয় সেখানে গিয়ে অভিযোগ দিতে। অভিযোগ লিখতে থানায় গেলে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তার সামনেই অপরিচিত এক নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনে বলা হয় তাঁর মেয়েকে ঢাকা নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় পাওয়া গেছে। তাঁদের দ্রুত সেখানে যেতে বলা হয়। এ সময় তাঁরা অভিযোগ না লিখিয়েই দ্রুত মেয়ের কাছে ছুটে যান এবং সেখান থেকে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত নবীনগর পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় পৌঁছে আমার মেয়েকে পাই। আমার একমাত্র মেয়ে অল্পের জন্য রক্ষা পায়।’ কিন্তু দিনের বেলায় মহাসড়ক থেকে এভাবে তুলে নেওয়ায় মেয়েকে নিরাপদে পড়ানো নিয়ে তিনি শঙ্কায় আছেন বলে জানান তিনি।
নবীনগর পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার অনামিকা হেয়ার ড্রেসার সেলুনের মালিক স্বপন চন্দ্র শীল বলেন, ‘আমি চা খাচ্ছিলাম। এ সময় অল্প বয়সের ওই মেয়েকে আতঙ্কগ্রস্ত দেখে কি হয়েছে জানতে চাইলাম। পরে বিষয়টি খুলে বললে তার কাছ থেকে নম্বর নিয়ে বাবা-মাকে ফোনে জানাই এবং তারা এসে মেয়েটিকে বাড়ি নিয়ে যায়।’
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, ‘এ বিষয়ে স্কুলছাত্রীর পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপরও আমি বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখব।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৬ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৬ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৬ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
২০ দিন আগে