নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ফরিদপুরের সালথায় ৩৫ দিন আগে খুনের পর লাশ গুম হয়ে যাওয়া নুর ইসলাম চৌধুরীকে জীবিত উদ্ধার করেছে সালথা থানার পুলিশ। গত শুক্রবার (১৯ আগস্ট) গভীর রাতে বগুড়া সদর থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আজ রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সালথা থানার বারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক।
জানা গেছে, গত ১৪ জুলাই সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাঙ্গারদিয়া গ্রাম থেকে গুম হন নুর ইসলাম চৌধুরী। এ ঘটনায় ২৭ জুলাই স্থানীয় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ফরিদপুর আদালতে একটি মামলা করেন তাঁর স্ত্রী আন্না বেগম। আদালত মামলাটি সালথা থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। থানা থেকে মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় এসআই ফরহাদ হোসেনকে।
মামলার আসামিরা হলেন রাঙ্গারদিয়া গ্রামের মান্নান মাতুব্বর, সিদ্দিক মাতুব্বর, সানোয়ার মাতুব্বর, মুনছুর মুন্সী, হাবিব শেখ, আনিছ শেখ, হাসান শেখ, বাবলু মোল্লা, রাকিব শেখ, দবির শেখ, কবির শেখ, ইসমাইল মোল্লা, হিলাল শেখ ও হিমায়েত শেখ।
নুর ইসলামের স্ত্রী আন্না বেগম মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, ‘আসামিদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা ও গ্রাম্য দলাদলি নিয়ে বিরোধ চলছিল। আমার স্বামী একজন দরিদ্র কৃষক। কিছুদিন আগে গাছ কাটা নিয়ে মামলার এক আসামি আনিচের সঙ্গে আমার স্বামীর বিরোধ সৃষ্টি হয়। গত ১৪ জুলাই রাত ৯টার দিকে আমার স্বামী স্থানীয় সুইচগেট বাজারে চা খেতে যায়। সেখানে আসামিরা আমার স্বামীকে খুন করে লাশ গুম করেছে।’
এদিকে আসামিরা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের নামে এত বড় মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রায় এক মাস ধরে এলাকাছাড়া করে রেখেছে নুর ইসলামের স্ত্রী। মিথ্যা মামলা দেওয়ায় আমরা তার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করব। সঠিক তদন্ত করে সত্য ঘটনা উদ্ঘাটন করায় সালথা থানার পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সালথা থানার এসআই ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘মামলাটি নিবিড়ভাবে তদন্ত শুরু করার পর অনেক কিছু বেরিয়ে আসে। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমেও বেশ কিছু গুরুপূর্ণ তথ্য পাই। এসব তথ্যের সূত্র ধরেই নুর ইসলামকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। মূলত তদন্ত করে আমি যেটা পেয়েছি তা হলো, মামলার আসামিদের একজনের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া ছিল নুর ইসলামের। ঘটনার রাতে ওই আসামির স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় ধরা খেয়ে মারধরের শিকার হন নুর ইসলাম।’
এসআই বলেন, মার খাওয়ার পর পরিবারের পরামর্শে নুর ইসলামকে ওই রাতেই বাড়ি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরদিন নুর ইসলাম বগুড়া সদরে গিয়ে তাঁর শ্যালক ওমর ফারুকের কাছে আশ্রয় নেন। সেখানে তিনি আফরিন জুট মিলে চাকরি নেন। এদিকে তাঁর স্ত্রী আন্না বেগম আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি তদন্ত করে ক্লিয়ার হওয়ার পর আমি সঙ্গীয় পুলিশ দিয়ে বগুড়া সদরে গিয়ে প্রথমে তাঁর শ্যালককে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করি। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নুর ইসলামকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার ওসি মো. শেখ সাদিক বলেন, ‘নুর ইসলামকে লুকিয়ে রেখে তাঁর স্ত্রী মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। আমরা তাঁকে জীবিত উদ্ধার করে শনিবার আদালতে পাঠাই। আদালত তাঁর পরিবারের জিম্মায় তাঁকে ছেড়ে দেন। এখন আমরা নুর ইসলামের স্ত্রী আন্না বেগমকে খুঁজছি। মিথ্যা মামলা দেওয়ায় তাঁকেও আইনের আওতায় না হবে।’
ফরিদপুরের সালথায় ৩৫ দিন আগে খুনের পর লাশ গুম হয়ে যাওয়া নুর ইসলাম চৌধুরীকে জীবিত উদ্ধার করেছে সালথা থানার পুলিশ। গত শুক্রবার (১৯ আগস্ট) গভীর রাতে বগুড়া সদর থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আজ রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সালথা থানার বারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক।
জানা গেছে, গত ১৪ জুলাই সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাঙ্গারদিয়া গ্রাম থেকে গুম হন নুর ইসলাম চৌধুরী। এ ঘটনায় ২৭ জুলাই স্থানীয় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ফরিদপুর আদালতে একটি মামলা করেন তাঁর স্ত্রী আন্না বেগম। আদালত মামলাটি সালথা থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। থানা থেকে মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় এসআই ফরহাদ হোসেনকে।
মামলার আসামিরা হলেন রাঙ্গারদিয়া গ্রামের মান্নান মাতুব্বর, সিদ্দিক মাতুব্বর, সানোয়ার মাতুব্বর, মুনছুর মুন্সী, হাবিব শেখ, আনিছ শেখ, হাসান শেখ, বাবলু মোল্লা, রাকিব শেখ, দবির শেখ, কবির শেখ, ইসমাইল মোল্লা, হিলাল শেখ ও হিমায়েত শেখ।
নুর ইসলামের স্ত্রী আন্না বেগম মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, ‘আসামিদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা ও গ্রাম্য দলাদলি নিয়ে বিরোধ চলছিল। আমার স্বামী একজন দরিদ্র কৃষক। কিছুদিন আগে গাছ কাটা নিয়ে মামলার এক আসামি আনিচের সঙ্গে আমার স্বামীর বিরোধ সৃষ্টি হয়। গত ১৪ জুলাই রাত ৯টার দিকে আমার স্বামী স্থানীয় সুইচগেট বাজারে চা খেতে যায়। সেখানে আসামিরা আমার স্বামীকে খুন করে লাশ গুম করেছে।’
এদিকে আসামিরা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের নামে এত বড় মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রায় এক মাস ধরে এলাকাছাড়া করে রেখেছে নুর ইসলামের স্ত্রী। মিথ্যা মামলা দেওয়ায় আমরা তার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করব। সঠিক তদন্ত করে সত্য ঘটনা উদ্ঘাটন করায় সালথা থানার পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সালথা থানার এসআই ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘মামলাটি নিবিড়ভাবে তদন্ত শুরু করার পর অনেক কিছু বেরিয়ে আসে। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমেও বেশ কিছু গুরুপূর্ণ তথ্য পাই। এসব তথ্যের সূত্র ধরেই নুর ইসলামকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। মূলত তদন্ত করে আমি যেটা পেয়েছি তা হলো, মামলার আসামিদের একজনের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া ছিল নুর ইসলামের। ঘটনার রাতে ওই আসামির স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় ধরা খেয়ে মারধরের শিকার হন নুর ইসলাম।’
এসআই বলেন, মার খাওয়ার পর পরিবারের পরামর্শে নুর ইসলামকে ওই রাতেই বাড়ি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরদিন নুর ইসলাম বগুড়া সদরে গিয়ে তাঁর শ্যালক ওমর ফারুকের কাছে আশ্রয় নেন। সেখানে তিনি আফরিন জুট মিলে চাকরি নেন। এদিকে তাঁর স্ত্রী আন্না বেগম আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি তদন্ত করে ক্লিয়ার হওয়ার পর আমি সঙ্গীয় পুলিশ দিয়ে বগুড়া সদরে গিয়ে প্রথমে তাঁর শ্যালককে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করি। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নুর ইসলামকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার ওসি মো. শেখ সাদিক বলেন, ‘নুর ইসলামকে লুকিয়ে রেখে তাঁর স্ত্রী মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। আমরা তাঁকে জীবিত উদ্ধার করে শনিবার আদালতে পাঠাই। আদালত তাঁর পরিবারের জিম্মায় তাঁকে ছেড়ে দেন। এখন আমরা নুর ইসলামের স্ত্রী আন্না বেগমকে খুঁজছি। মিথ্যা মামলা দেওয়ায় তাঁকেও আইনের আওতায় না হবে।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৫ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৫ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৫ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৯ দিন আগে