নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোড়ন তোলা বিতর্কিত সমাজকর্মী মিল্টন সমাদ্দারকে জাল মৃত্যুসনদ দেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কয়েক দিন ধরে তাঁকে নিয়ে আলোচনা চলছে গণমাধ্যমে। মানবহিতৈষী ও সমাজসেবী চেহারার আড়ালে তিনি ভয়ংকর সব কর্মকাণ্ড চালান বলে অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে এক শিশুকে পেটানোর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
তাঁকে গ্রেপ্তারের পর আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁর উত্থান ও তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কথা তুলে ধরেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘বরিশালের উজিরপুরের মিল্টন সমাদ্দারের উত্থান নিজ বাবাকে পিটিয়ে। এই অপরাধে এলাকাবাসী তাঁকে বাড়িছাড়া করেন। এরপর তিনি ঢাকার শাহবাগে এসে একটি ফার্মেসিতে কাজ শুরু করেন। কিন্তু ওষুধ বিক্রির টাকা চুরি করায়, সেখানেও বেশিদিন টিকতে পারেননি মিল্টন।’
এরপর মিঠু হালদার নামের এক নার্সকে বিয়ে করার পর তাঁর জীবনে নতুন উদ্যোগের যাত্রা শুরু হয় জানান হারুন। তিনি বলেন, ‘বিয়ের পর ওল্ড অ্যান্ড চাইল্ড নামের একটি কেয়ার সেন্টার স্থাপনের স্বপ্ন দেখেন তাঁরা। পরবর্তীকালে মিরপুর এলাকায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার সেন্টার স্থাপন করেন। তিনি খুঁজে খুঁজে গরিব, বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে আসতেন সেখানে।’
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘মিল্টন সমাদ্দারের সংস্থার অপারেশন থিয়েটারের লাইসেন্স ছিল না। সেখানে অবৈধভাবে অপারেশন করা হতো। বিভিন্ন মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছে, তাঁর কেয়ার সেন্টারে অপারেশন থিয়েটার আছে এবং সেখানে তিনি মানুষের সেবা প্রদান করেন। অপারেশন থিয়েটার থাকলে তো, লাইসেন্স থাকতে হবে। তাঁর লাইসেন্স ছিল না।’
পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, ‘মিল্টনের বিরুদ্ধে আমরা অজস্র অভিযোগ পেয়েছি। তিনি বলেছেন, তাঁর দুটি আশ্রম রয়েছে। সাভারের আশ্রমে পাঁচ থেকে সাত শত লোক রয়েছেন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে ২০ থেকে ৩০ জনের বেশি লোক নেই। আমরা তাঁকে নিয়ে এসেছি। কিছু অভিযোগকারী রয়েছেন, তাঁরাও মামলার রুজু করবেন। আমরা মিল্টনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করব—কতসংখ্যক মানুষ তাঁর কাছে আশ্রয়ের জন্য গিয়েছিল, কতসংখ্যক মানুষ মারা গেল। তাঁর আশ্রমে যে অপারেশন থিয়েটার রয়েছে, এর মাধ্যমে কিডনি বিক্রি করেছেন কি না, সেটাও তদন্ত করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘মিল্টন সমাদ্দার নিজেই কেন ডেথ সার্টিফিকেট নিজের স্বাক্ষরে তৈরি করেছেন এবং সেখানে ডাক্তারের কোনো সিগনেচার কেন নেন নাই, সেগুলো খুঁজে বের করা হবে। আমরা সবকিছু তদন্ত করে পরবর্তীতে আপনাদের জানাব। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ পেয়েছি, সেগুলো তদন্ত করে তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে পরবর্তী বিষয়গুলো জানাব।’
পেশায় নার্স মিল্টন সমাদ্দার ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার নামে বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে মানবদেহের অঙ্গ বিক্রিসহ বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। গণমাধ্যমে উঠে আসা এসব প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের তথ্যে দেশজুড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন:
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোড়ন তোলা বিতর্কিত সমাজকর্মী মিল্টন সমাদ্দারকে জাল মৃত্যুসনদ দেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কয়েক দিন ধরে তাঁকে নিয়ে আলোচনা চলছে গণমাধ্যমে। মানবহিতৈষী ও সমাজসেবী চেহারার আড়ালে তিনি ভয়ংকর সব কর্মকাণ্ড চালান বলে অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে এক শিশুকে পেটানোর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
তাঁকে গ্রেপ্তারের পর আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁর উত্থান ও তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কথা তুলে ধরেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘বরিশালের উজিরপুরের মিল্টন সমাদ্দারের উত্থান নিজ বাবাকে পিটিয়ে। এই অপরাধে এলাকাবাসী তাঁকে বাড়িছাড়া করেন। এরপর তিনি ঢাকার শাহবাগে এসে একটি ফার্মেসিতে কাজ শুরু করেন। কিন্তু ওষুধ বিক্রির টাকা চুরি করায়, সেখানেও বেশিদিন টিকতে পারেননি মিল্টন।’
এরপর মিঠু হালদার নামের এক নার্সকে বিয়ে করার পর তাঁর জীবনে নতুন উদ্যোগের যাত্রা শুরু হয় জানান হারুন। তিনি বলেন, ‘বিয়ের পর ওল্ড অ্যান্ড চাইল্ড নামের একটি কেয়ার সেন্টার স্থাপনের স্বপ্ন দেখেন তাঁরা। পরবর্তীকালে মিরপুর এলাকায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার সেন্টার স্থাপন করেন। তিনি খুঁজে খুঁজে গরিব, বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে আসতেন সেখানে।’
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘মিল্টন সমাদ্দারের সংস্থার অপারেশন থিয়েটারের লাইসেন্স ছিল না। সেখানে অবৈধভাবে অপারেশন করা হতো। বিভিন্ন মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছে, তাঁর কেয়ার সেন্টারে অপারেশন থিয়েটার আছে এবং সেখানে তিনি মানুষের সেবা প্রদান করেন। অপারেশন থিয়েটার থাকলে তো, লাইসেন্স থাকতে হবে। তাঁর লাইসেন্স ছিল না।’
পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, ‘মিল্টনের বিরুদ্ধে আমরা অজস্র অভিযোগ পেয়েছি। তিনি বলেছেন, তাঁর দুটি আশ্রম রয়েছে। সাভারের আশ্রমে পাঁচ থেকে সাত শত লোক রয়েছেন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে ২০ থেকে ৩০ জনের বেশি লোক নেই। আমরা তাঁকে নিয়ে এসেছি। কিছু অভিযোগকারী রয়েছেন, তাঁরাও মামলার রুজু করবেন। আমরা মিল্টনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করব—কতসংখ্যক মানুষ তাঁর কাছে আশ্রয়ের জন্য গিয়েছিল, কতসংখ্যক মানুষ মারা গেল। তাঁর আশ্রমে যে অপারেশন থিয়েটার রয়েছে, এর মাধ্যমে কিডনি বিক্রি করেছেন কি না, সেটাও তদন্ত করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘মিল্টন সমাদ্দার নিজেই কেন ডেথ সার্টিফিকেট নিজের স্বাক্ষরে তৈরি করেছেন এবং সেখানে ডাক্তারের কোনো সিগনেচার কেন নেন নাই, সেগুলো খুঁজে বের করা হবে। আমরা সবকিছু তদন্ত করে পরবর্তীতে আপনাদের জানাব। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ পেয়েছি, সেগুলো তদন্ত করে তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে পরবর্তী বিষয়গুলো জানাব।’
পেশায় নার্স মিল্টন সমাদ্দার ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার নামে বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে মানবদেহের অঙ্গ বিক্রিসহ বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। গণমাধ্যমে উঠে আসা এসব প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের তথ্যে দেশজুড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন:
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৪ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৩ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫