ডুমুরিয়ায় গ্রামপুলিশের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফির মামলা

ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২: ৫১
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩: ০১

খুলনার ডুমুরিয়ায় গৃহবধূর নগ্ন ছবি ধারণের পর অনৈতিক কাজ ও ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে সার্থিক দাস (৪৩) নামে এক গ্রামপুলিশের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফির মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে সার্থিক দাস ও তাঁর আরেক সহযোগী সদাই দাসের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

আসামি সার্থিক দাস উপজেলার শোভনা ইউনিয়নের পশ্চিম দাসপাড়া এলাকার মৃত দুলাল দাসের ছেলে। তিনি শোভনা ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত গ্রামপুলিশ। অপর আসামি সদাই দাস একই এলাকার কেশব দাসের ছেলে। 

মামলার বিবরণ ও বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে সার্থিক দাস এক বাড়িতে প্রবেশ করে জানালার ধারে অবস্থান নেন। পরে জানালার ফাঁক দিয়ে মোবাইলে ওই গৃহবধূর গোসলের ভিডিও ধারণ করেন। ওই সময় গৃহবধূ বিষয়টি টের পেলে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। ওই দিন পর গৃহবধূর মেসেঞ্জারে নগ্ন ছবি দিয়ে তাঁকে ভয় দেখিয়ে অনৈতিক কাজ ও চাঁদার দাবি করেন সার্থিক দাস। তাঁর এ কাজে সহযোগিতা করেন মামলার অপর আসামি কেশব দাসের ছেলে সদাই দাস। বিষয়টি প্রথমে গৃহবধূ তাঁর স্বামী, পরে আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে জানাজানি হলে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। 

এ ছাড়াও সার্থিক দাস একই এলাকার এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছেন। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা ও একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে, শতাধিক গ্রামবাসী তাঁর অনৈতিক কার্যকলাপ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও কুকর্মের প্রতিকার চেয়ে খুলনা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

এ বিষয়ে ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত