Ajker Patrika

চিলেকোঠায় ঝুলছিল গৃহবধূর মরদেহ, নিচে পড়ে ছিল চিরকুট

কলারোয়া সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: 
আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৩, ১০: ৫৬
চিলেকোঠায় ঝুলছিল গৃহবধূর মরদেহ, নিচে পড়ে ছিল চিরকুট

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বাড়ির চিলেকোঠা থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার থেকে কারও প্রতি কোনো অভিযোগ করা হয়নি। 

তবে, চিরকুটটি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। চিরকুটটিতে লেখা ছিল—‘...বাবা মা তোমরা আমাকে ক্ষমা করো। আমি তোমাদের ভালো মেয়ে হতে পারলাম না, ভালো বউ হতে পারলাম না, ভালো মা হতে পারলাম না, ভালো বউ মা হতে পারলাম না, ভালো প্রেমিকা হতে পারলাম না, এসব আমি আর সহ্য করতে পারছি না।’ 

গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে কলারোয়া উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের খাসপুর উত্তরপাড়া গ্রামের বজলুর রহমানের দ্বিতল ভবনের চিলেকোঠায় ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান। 

নিহত গৃহবধূর নাম লিপি খাতুন (৩৬)। তিনি লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের খাসপুর উত্তরপাড়া গ্রামের হাসানুজ্জামান বজলুর স্ত্রী। হাসানুজ্জামান বজলু পেশায় ইটভাটার ম্যানেজার। তাঁদের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছেলে রয়েছে। 

লিপি খাতুনের মা শাফিয়া খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জামাই মেয়ের মধ্যে খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল। মেয়ের কী কারণে মৃত্যু হয়েছে, তা আমরা জানি না। মৃত্যুর খবর শুনে আমরা এসে দেখলাম মেয়ের গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় চিলেকোঠায় ঝুলছে। তবে এই মৃত্যুর বিষয়ে কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নাই আমাদের।’ 

লিপি খাতুনের স্বামী হাসানুজ্জামান বজলু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে খাওয়া-দাওয়া করে বাইরে গিয়েছিলাম। স্ত্রীর সঙ্গে কোনো বিষয় নিয়ে আমার কোনো মতবিরোধ ছিল না। সন্ধ্যা ৭টা ২৩ মিনিটে আমার ভাই আসাদুজ্জামান বাড়ি থেকে কল দিয়ে আমাকে জানায়, আমার লিপি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ছুটে এসে দেখি চিলেকোঠায় লিপির মরদেহ ঝুলছে। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ নামিয়েছে। তবে কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে, তা সম্পূর্ণ অজানা।’ 

এদিকে এ বিষয়ে লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি রহস্যজনক। তবে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক ছিল। কী কারণে যে সে আত্মহত্যা করেছে বা এর পেছনে কোনো কারণ আছে কি না, তা গৃহবধূ ও তার স্বামী এ দুই পরিবারের কেউ বলতে পারছে না।’ 

এই ঘটনায় কলারোয়া থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় বজলুর রহমানের বাড়ির চিলেকোঠায় গৃহবধূর মৃতদেহ ঝুলছিল। তার পায়ের পাশে একটা বস্তা পড়ে ছিল। প্রাথমিক সুরতহাল করা হয়েছে। অনুমান করে কিছু বলা যাবে না। তবে মরদেহ ময়নাতদন্তে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে মূল রহস্য জানা যাবে।’ 

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি বিশেষ টিম পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে পাওয়া কাগজে লেখা একটি চিঠি ও মৃত্যুর ঘটনাটি নিয়ে গভীর তদন্ত চলছে। মেয়ে বা ছেলে উভয় পরিবার থেকে কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পরমাণু শক্তিধর হতে চেয়েছিল তাইওয়ান, সিআইএ এজেন্টের বিশ্বাসঘাতকতায় স্বপ্নভঙ্গ

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি: রিজার্ভ-ডেতেও সেমিফাইনাল না হলে হৃদয়বিদারক সমীকরণ

বগুড়ায় ইফতারের পর ডেকে নিয়ে যুবককে হত্যা

অমর্ত্য সেনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন জামায়াতের আমির

সেনাসদস্যকে এক গাড়ি ধাক্কা দেয়, আরেক গাড়ি পিষে যায়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত