কালীগঞ্জে শ্যালকের বিরুদ্ধে ভগ্নিপতিকে হত্যার অভিযোগ, বোন আহত

কালীগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
Thumbnail image

ভাগনেকে চুরির অপবাদ এবং জমি-জমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে শ্যালকের শাবলের আঘাতে ভগ্নিপতি নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে আহত হয়েছেন অভিযুক্তের বোন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টার সময় কালীগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত শামসুর রহমান গাজী (৫৫) রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত ওবের আলী গাজীর ছেলে এবং আহত মাজদা খাতুন (৪৭) নিহতের স্ত্রী। অন্যদিকে অভিযুক্তের শ্যালকের নাম ফজর আলী গাজী (৫০)। তিনি ওই গ্রামের মৃত আরশাদ আলী গাজীর ছেলে। 

এদিকে ঘটনার পর থেকে শ্যালক ফজর আলী গাজী এবং তাঁর ভাই আহাদ আলী গাজী (৩২) মারা যাওয়ার খবরে শ্যামনগর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। 

রঘুনাথপুর গ্রামের মুস্তাহিদ ইসলাম, আব্দুল হাকিম, রফিকুল ইসলাম এবং নিহতের পুত্রবধূ শাহানারা খাতুন জানান, গত ২ / ৩ দিন আগে রাতে নিহত শামসুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান রঘুনাথপুর গ্রামের মাজেদ সরদার, শাহিনুর রহমানের মৎস্য ঘেরে গেলে তাঁকে চোর সন্দেহে আটকে রাখে। সেখান থেকে মারের ভয়ে মিজানুর পালিয়ে বাড়িতে আসেন। 

বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার আনুমানিক ১টার দিকে মিজানুরের মামা অর্থাৎ নিহত শামসুর রহমানের শ্যালক ফজর আলী এবং আহাদ আলী ভগ্নিপতি শামসুর রহমান এবং বোন মাজেদা খাতুনের সঙ্গে ঝগড়ায় বাধে। ওই সময় বোন ভগ্নিপতির সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় ফজর আলী এবং আহাদ আলী শাবল দিয়ে ভগ্নিপতি শামসুর রহমানের মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করেন। এতে ভগ্নিপতি শামসুর রহমান গুরুতর আহত হন। অন্যদিকে বোন মাজদা খাতুনকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়া হয়। 

পরে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। শামসুর রহমানকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। 

খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিলন হাসপাতালে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল তৈরি করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। 

কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুর রহমান জানান, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আসামি গ্রেপ্তার এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত