সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল ১৮ দিন বয়সী সোনালী। প্রতিপক্ষের লোকজনের ছোড়া অ্যাসিডে বাবা-মায়ের পাশাপাশি দগ্ধ হয় শিশুটিও। সেই সোনালী এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কুমিরা কেন্দ্রে তার আসন। সোনালী তালা উপজেলার নকাটি গ্রামের নুর ইসলাম ও খোদেজা খাতুন দম্পতির মেয়ে।
নকাটি গ্রামের নুর ইসলাম জানান, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০০২ সালে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী ও মেয়ে অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার হন।
সেদিনের ঘটনা বর্ণনা দিয়ে নুর ইসলাম বলেন, ‘আমাদের জমির ঝাড়ের বাঁশ প্রতিবেশীর জমিতে পড়ায় গন্ডগোল সূত্রপাত। এ সংক্রান্ত বিরোধের কথা-কাটাকাটির জেরে মৃদু সংঘর্ষ হয়। আমরা তালা থানায় মামলা করি। ২০০২ সালের ১৯ নভেম্বরের রাত আমাদের জীবনের একটি দুঃস্বপ্ন। মামলা করার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ নভেম্বর রাতে দুর্বৃত্তরা আমাকে, আমার স্ত্রীকে ও আমার ছোট্ট মেয়েটার ওপর জানালা দিয়ে অ্যাসিড ছোড়ে। এতে আমরা ও আমার মেয়েটা অ্যাসিডদগ্ধ হয়। তার চোখ-মুখ, মাথা ও ঘাড় ঝলসে যায়, পুড়ে যায় শরীরের একটি বড় অংশ।’
অ্যাসিডদগ্ধ হওয়ার পরে তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে (বর্তমান শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট) নেওয়া হয়।
সোনালী খাতুন জানায়, তার শরীরের ক্ষতস্থানগুলো এখনো চুলকায়। চোখ দিয়ে পানি ঝরে। সোনালী বলেন, ‘শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে আমি পড়ালেখা করেছি। একটি পরীক্ষা দিয়েছি। ভালো হয়েছে।’
এই অবস্থায় শুরুতে স্কুলে কোনো বন্ধু জোটেনি সোনালীর। সে জানায়, প্রথম দিকে স্কুলের অন্য ছাত্রছাত্রীরা সহজভাবে গ্রহণ করেনি। ধীরে ধীরে সবাই মানিয়ে নিয়েছে।
কুমিরা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌতম কুমার দাশ বলেন, ‘সোনালী সব প্রতিবন্ধকতা ঠেলে আজ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে যাওয়ার পর্যায় এসেছে। ওর অদম্য মানসিক সাহস ও সবার সহযোগিতা ওকে এত দূর আসতে সাহায্য করেছে। আমাদের পক্ষ থেকে সোনালীকে অভিনন্দন।’
বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল ১৮ দিন বয়সী সোনালী। প্রতিপক্ষের লোকজনের ছোড়া অ্যাসিডে বাবা-মায়ের পাশাপাশি দগ্ধ হয় শিশুটিও। সেই সোনালী এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কুমিরা কেন্দ্রে তার আসন। সোনালী তালা উপজেলার নকাটি গ্রামের নুর ইসলাম ও খোদেজা খাতুন দম্পতির মেয়ে।
নকাটি গ্রামের নুর ইসলাম জানান, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০০২ সালে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী ও মেয়ে অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার হন।
সেদিনের ঘটনা বর্ণনা দিয়ে নুর ইসলাম বলেন, ‘আমাদের জমির ঝাড়ের বাঁশ প্রতিবেশীর জমিতে পড়ায় গন্ডগোল সূত্রপাত। এ সংক্রান্ত বিরোধের কথা-কাটাকাটির জেরে মৃদু সংঘর্ষ হয়। আমরা তালা থানায় মামলা করি। ২০০২ সালের ১৯ নভেম্বরের রাত আমাদের জীবনের একটি দুঃস্বপ্ন। মামলা করার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ নভেম্বর রাতে দুর্বৃত্তরা আমাকে, আমার স্ত্রীকে ও আমার ছোট্ট মেয়েটার ওপর জানালা দিয়ে অ্যাসিড ছোড়ে। এতে আমরা ও আমার মেয়েটা অ্যাসিডদগ্ধ হয়। তার চোখ-মুখ, মাথা ও ঘাড় ঝলসে যায়, পুড়ে যায় শরীরের একটি বড় অংশ।’
অ্যাসিডদগ্ধ হওয়ার পরে তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে (বর্তমান শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট) নেওয়া হয়।
সোনালী খাতুন জানায়, তার শরীরের ক্ষতস্থানগুলো এখনো চুলকায়। চোখ দিয়ে পানি ঝরে। সোনালী বলেন, ‘শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে আমি পড়ালেখা করেছি। একটি পরীক্ষা দিয়েছি। ভালো হয়েছে।’
এই অবস্থায় শুরুতে স্কুলে কোনো বন্ধু জোটেনি সোনালীর। সে জানায়, প্রথম দিকে স্কুলের অন্য ছাত্রছাত্রীরা সহজভাবে গ্রহণ করেনি। ধীরে ধীরে সবাই মানিয়ে নিয়েছে।
কুমিরা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌতম কুমার দাশ বলেন, ‘সোনালী সব প্রতিবন্ধকতা ঠেলে আজ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে যাওয়ার পর্যায় এসেছে। ওর অদম্য মানসিক সাহস ও সবার সহযোগিতা ওকে এত দূর আসতে সাহায্য করেছে। আমাদের পক্ষ থেকে সোনালীকে অভিনন্দন।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৫ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৫ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৫ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৯ দিন আগে