কুষ্টিয়ার খোকসায় চলছে ট্রাক মালিক-শ্রমিকদের কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন

খোকসা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮: ২৯
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯: ০০

দেশজুড়ে চলছে ট্রাক মালিক-শ্রমিকদের কর্মবিরতি। ১৫ দফা দাবিতে সারা দেশে ৭২ ঘণ্টার কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন পালন করছে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। ১৫ দফা দাবি বাস্তবায়নে মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত এ কর্মবিরতি চলবে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। 

উক্ত কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় ও সর্বাত্মক পণ্য পরিবহন। কুষ্টিয়া জেলার মহাসড়কের চারটি পয়েন্টের পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে মহাসড়কে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান গাড়ি চলাচলের ব্যারিকেড তৈরি করে। তেমনিভাবেই খোকসা উপজেলার কুষ্টিয়া রাজবাড়ী মহাসড়কের খোকসা অংশেও ব্যারিকেড তৈরি করে পণ্য পরিবহন গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিক কর্মবিরতিতে সারা দেশের ন্যায় কুষ্টিয়ার খোকসায় পণ্য পরিবহনে অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। 

কুষ্টিয়া জেলা পণ্য পরিবহন মালিক সমিতির সম্পাদক আসাদুজ্জামান টোকন বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতিতে পুলিশের হস্তক্ষেপে সড়ক থেকে পণ্য পরিবহনে গাড়ি চলাচলে আমাদের তাড়িয়ে দিয়েছে। তবুও নিজেদের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শ্রমিকেরা এবং মালিকেরা তাঁদের পণ্য পরিবহনের গাড়ি বন্ধ রেখেছে। 

এ দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কে ব্যারিকেড তৈরি করে ট্রাক এবং পণ্য পরিবহন বন্ধ রাখা হয়। দুপুরে খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সৈয়দ মো. আশিকুর রহমানের হস্তক্ষেপে এ সড়কের ট্রাক ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। 

ট্রাক ও লরী সংগঠনের খোকসা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম বাবলু বলেন, `শান্তিপূর্ণভাবে আমরা সারা দেশের কর্মসূচির অংশ হিসাবে ৭২ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করছি। মালিক-শ্রমিকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এই সকল পণ্যবাহী গাড়ি পরিবহন বন্ধ রয়েছে।' 

সড়কপথে ‘পুলিশের ঘুষ বাণিজ্য’ সহ সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ ছাড়া গাড়ির কাগজপত্র চেক করা যাবে না। এ ছাড়া যেসব চালক ভারী মোটরযান চালাচ্ছে তাঁদের সবাইকে সহজ শর্তে অবিলম্বে ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে। মোটরযান মালিকদের ওপর আরোপিত অগ্রিম আয়কর বা বর্ধিত আয়কর অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। এ ছাড়া ইতি মধ্যে আদায় করা বর্ধিত কর স্ব স্ব মালিককে ফেরত দিতে হবে। 

সড়ক-মহাসড়কে শ্রমিকদের বিশ্রামের কোনো জায়গা নেই উল্লেখ করে এই শ্রমিক নেতা বলেন, `আমরা দাবি রেখেছি নির্ধারিত দূরত্বে শ্রমিকদের ট্রাক টার্মিনালসহ বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে হবে। মোটরযান মালিকদের ওপর আরোপিত অগ্রিম আয়কর বাতিল করতে হবে। ইতি মধ্যে আদায়কৃত বর্ধিত কর স্ব স্ব মালিকদের ফেরত দিতে হবে।' 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত