ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের শৈলকুপার সাফখোলা গ্রামের ঘুমন্ত নারীদের শতাধিক নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে গ্রেপ্তার জুলকার খাঁ এক নারীকে জিম্মি করে যৌন সম্পর্কে বাধ্য করেছিলেন।
পুলিশ বলছে, ৩৫ বছর বয়সী এই যুবককে তাঁর তিন স্ত্রী ছেড়ে চলে গেছে। এরপর ‘নারীদের প্রতি আসক্তি’ থেকে নগ্ন ভিডিও ধারণ করতেন। জিম্মি করে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করার পাশাপাশি অর্থ হাতিয়ে নেওয়ারও তাঁর পরিকল্পনা ছিল।
এই ঘটনায় জুলকার খাঁর সঙ্গে আরেক নারীকে গ্রেপ্তারের পর আজ শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান।
প্রায় দুই বছর ধরে রাতের আঁধারে নারীদের নগ্ন ভিডিও ধারণ ও ছবি তোলার ঘটনা চললেও গত ২২ এপ্রিল ঈদের রাতে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়। ওই ঘটনায় ৪ মে পর্নোগ্রাফি আইনে অজ্ঞাতদের আসামি করে শৈলকুপা থানায় মামলা হয়।
ওই মামলার তদন্তের পর জুলকার খাঁ ও জান্নাতী খাতুনকে (২০) আজ ভোররাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান জানান, থানায় মামলার পর ঘটনার তদন্ত করে গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল। মোবাইল ফোনের সিম কার্ডের মালিক শনাক্ত করার পর কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের মোবাইলে প্রায় ৫০টির মতো ভিডিও পাওয়া গেছে, রয়েছে নগ্ন ছবিও। তবে অন্য মোবাইলে আরও ভিডিও আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তারকৃত জুলকার খাঁ ওই গ্রামের এক নারীকে ব্ল্যাকমেল করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। তবে অন্য নারীদের বিষয়ে জানা যায়নি এবং ব্ল্যাকমেল করে অর্থ আত্মসাতের পরিকল্পনা তাদের ছিল, যেটা জ্ঞিাসাবাদে আসামিরা বলেছে।’
অপরাধের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আশিকুর বলেন, ‘ইতিপূর্বে জুলকার খাঁর তিন স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। পরে একই গ্রামের জান্নাতীর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জান্নাতী তার বাবার নামে রেজিস্ট্রেশন করা সিম কার্ড জুলকারকে ব্যবহারের জন্য দেয়। সেই থেকেই নিজের যৌন চাহিদা পূরণ ও অর্থ আত্মসাতের পরিকল্পনা থেকে রাতের আঁধারে তারা দুজনে মিলে নারীদের ভিডিও ধারণ করত।’
তবে এখন পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তিকর ভিডিও এবং ছবি আপলোডের তথ্য পায়নি পুলিশ।
সাফখোলা গ্রামের আকিবুল ইসলাম রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, জুলকার খাঁ গ্রামে কৃষিকাজ করতেন। আর স্বামী ছেড়ে যাওয়ার পর জান্নাতী খাতুন বাবার বাড়িতেই থাকতেন।
‘পুলিশ তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের পর আমরা খুবই স্বস্তি পেয়েছি। এখন তাদের সঠিক বিচার হোক—এটাই প্রত্যাশা আমাদের।’
উল্লেখ্য, সাফখোলা গ্রামে একটি বাড়িতে এপ্রিল মাসের ২২ তারিখ রাতে জানালা দিয়ে নারীদের ভিডিও ধারণের সময় বাড়ির লোকজন টের পেয়ে মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে গেলে সেটি ফেলেই ব্যক্তিটি পালিয়ে যায়।
ঝিনাইদহের শৈলকুপার সাফখোলা গ্রামের ঘুমন্ত নারীদের শতাধিক নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে গ্রেপ্তার জুলকার খাঁ এক নারীকে জিম্মি করে যৌন সম্পর্কে বাধ্য করেছিলেন।
পুলিশ বলছে, ৩৫ বছর বয়সী এই যুবককে তাঁর তিন স্ত্রী ছেড়ে চলে গেছে। এরপর ‘নারীদের প্রতি আসক্তি’ থেকে নগ্ন ভিডিও ধারণ করতেন। জিম্মি করে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করার পাশাপাশি অর্থ হাতিয়ে নেওয়ারও তাঁর পরিকল্পনা ছিল।
এই ঘটনায় জুলকার খাঁর সঙ্গে আরেক নারীকে গ্রেপ্তারের পর আজ শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান।
প্রায় দুই বছর ধরে রাতের আঁধারে নারীদের নগ্ন ভিডিও ধারণ ও ছবি তোলার ঘটনা চললেও গত ২২ এপ্রিল ঈদের রাতে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়। ওই ঘটনায় ৪ মে পর্নোগ্রাফি আইনে অজ্ঞাতদের আসামি করে শৈলকুপা থানায় মামলা হয়।
ওই মামলার তদন্তের পর জুলকার খাঁ ও জান্নাতী খাতুনকে (২০) আজ ভোররাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান জানান, থানায় মামলার পর ঘটনার তদন্ত করে গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল। মোবাইল ফোনের সিম কার্ডের মালিক শনাক্ত করার পর কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের মোবাইলে প্রায় ৫০টির মতো ভিডিও পাওয়া গেছে, রয়েছে নগ্ন ছবিও। তবে অন্য মোবাইলে আরও ভিডিও আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তারকৃত জুলকার খাঁ ওই গ্রামের এক নারীকে ব্ল্যাকমেল করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। তবে অন্য নারীদের বিষয়ে জানা যায়নি এবং ব্ল্যাকমেল করে অর্থ আত্মসাতের পরিকল্পনা তাদের ছিল, যেটা জ্ঞিাসাবাদে আসামিরা বলেছে।’
অপরাধের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আশিকুর বলেন, ‘ইতিপূর্বে জুলকার খাঁর তিন স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। পরে একই গ্রামের জান্নাতীর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জান্নাতী তার বাবার নামে রেজিস্ট্রেশন করা সিম কার্ড জুলকারকে ব্যবহারের জন্য দেয়। সেই থেকেই নিজের যৌন চাহিদা পূরণ ও অর্থ আত্মসাতের পরিকল্পনা থেকে রাতের আঁধারে তারা দুজনে মিলে নারীদের ভিডিও ধারণ করত।’
তবে এখন পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তিকর ভিডিও এবং ছবি আপলোডের তথ্য পায়নি পুলিশ।
সাফখোলা গ্রামের আকিবুল ইসলাম রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, জুলকার খাঁ গ্রামে কৃষিকাজ করতেন। আর স্বামী ছেড়ে যাওয়ার পর জান্নাতী খাতুন বাবার বাড়িতেই থাকতেন।
‘পুলিশ তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের পর আমরা খুবই স্বস্তি পেয়েছি। এখন তাদের সঠিক বিচার হোক—এটাই প্রত্যাশা আমাদের।’
উল্লেখ্য, সাফখোলা গ্রামে একটি বাড়িতে এপ্রিল মাসের ২২ তারিখ রাতে জানালা দিয়ে নারীদের ভিডিও ধারণের সময় বাড়ির লোকজন টের পেয়ে মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে গেলে সেটি ফেলেই ব্যক্তিটি পালিয়ে যায়।
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৭ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৬ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫