কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আসামি মো. সেলিমকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৪ নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
মৃত সেলিম উপজেলার সদকী ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মৃত সেকেন আলীর ছেলে। তিনি একই এলাকার হুমায়ন মণ্ডলকে (৪৪) হত্যার মামলায় আসামি ছিলেন।
পুলিশ ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সেলিম পেশায় একজন ভাটা শ্রমিক ছিলেন। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কাজে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় প্রতিপক্ষের মো. সাইদুল ইসলাম (৩৫), মো. আসলাম হোসেন (৪০), মো. রাজু আহমেদসহ (২৫) কয়েকজন ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে সেলিমকে জখম করেন। তাঁর ডাকচিৎকারে স্বজন ও স্থানীয়রা ছুটে এলে অভিযুক্তরা চলে যান। পরে তাঁকে উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসক সেলিমকে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু কুষ্টিয়া হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা যান তিনি।
মৃতের ভাই শাহিন বলেন, ‘আমার ভাইকে পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের মো. সাইদুল ইসলাম (৩৫), মো. আসলাম হোসেন (৪০), মো. রাজু আহমেদসহ (২৫) বেশ কয়েকজন ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছেন। আমি এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।’
সদকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজুল আবেদীন দ্বীপ বলেন, ২০২০ সালে জমি সংক্রান্ত জেরে হুমায়ন মণ্ডল (৪৪) নামে একজনকে খুন করা হয়েছিল। সেলিম ওই মামলার আসামি ছিল। আজ প্রতিপক্ষরা তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে জানতে পেরেছি।'
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা জানান, হাসপাতালে আসার আগেই সেলিমের মৃত্যু হয়েছে। বেলা ১১টা ১০ মিনিটে তাঁকে হাসপাতালে আনা হলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
অপরদিকে, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন। তাই তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে মৃত হুমায়ন মণ্ডলের স্ত্রী রাজিয়া খাতুন বলেন, ‘মৃত সেলিম দলের কয়েকজন লোক আজ সকালে আমাদের ওপর হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে এমন ঘটনা ঘটে গেছে।'
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, মৃত ওই ব্যক্তি একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। আজ সকালে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তিনি মারা যান।
ওসি আরও বলেন, মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করা হয়। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তাঁদের নাম-পরিচয় জানানো যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৬ মে জমি সংক্রান্ত পূর্বশত্রুতার জেরে চরপাড়া জামে মসজিদ থেকে তারাবির নামাজ আদায় করে বাড়ির ফেরার পথে হুমায়ন মণ্ডলকে (৪৪) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। পরদিন মৃতের ছোট ভাই সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩৬ জনের নামে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিল। মামলা নম্বর ৯। সেই মামলায় মৃত সেলিমকে আসামি করা হয়েছিল। তিনি জামিনে ছিলেন।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আসামি মো. সেলিমকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৪ নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
মৃত সেলিম উপজেলার সদকী ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মৃত সেকেন আলীর ছেলে। তিনি একই এলাকার হুমায়ন মণ্ডলকে (৪৪) হত্যার মামলায় আসামি ছিলেন।
পুলিশ ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সেলিম পেশায় একজন ভাটা শ্রমিক ছিলেন। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কাজে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় প্রতিপক্ষের মো. সাইদুল ইসলাম (৩৫), মো. আসলাম হোসেন (৪০), মো. রাজু আহমেদসহ (২৫) কয়েকজন ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে সেলিমকে জখম করেন। তাঁর ডাকচিৎকারে স্বজন ও স্থানীয়রা ছুটে এলে অভিযুক্তরা চলে যান। পরে তাঁকে উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসক সেলিমকে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু কুষ্টিয়া হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা যান তিনি।
মৃতের ভাই শাহিন বলেন, ‘আমার ভাইকে পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের মো. সাইদুল ইসলাম (৩৫), মো. আসলাম হোসেন (৪০), মো. রাজু আহমেদসহ (২৫) বেশ কয়েকজন ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছেন। আমি এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।’
সদকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজুল আবেদীন দ্বীপ বলেন, ২০২০ সালে জমি সংক্রান্ত জেরে হুমায়ন মণ্ডল (৪৪) নামে একজনকে খুন করা হয়েছিল। সেলিম ওই মামলার আসামি ছিল। আজ প্রতিপক্ষরা তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে জানতে পেরেছি।'
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা জানান, হাসপাতালে আসার আগেই সেলিমের মৃত্যু হয়েছে। বেলা ১১টা ১০ মিনিটে তাঁকে হাসপাতালে আনা হলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
অপরদিকে, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন। তাই তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে মৃত হুমায়ন মণ্ডলের স্ত্রী রাজিয়া খাতুন বলেন, ‘মৃত সেলিম দলের কয়েকজন লোক আজ সকালে আমাদের ওপর হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে এমন ঘটনা ঘটে গেছে।'
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, মৃত ওই ব্যক্তি একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। আজ সকালে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তিনি মারা যান।
ওসি আরও বলেন, মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করা হয়। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তাঁদের নাম-পরিচয় জানানো যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৬ মে জমি সংক্রান্ত পূর্বশত্রুতার জেরে চরপাড়া জামে মসজিদ থেকে তারাবির নামাজ আদায় করে বাড়ির ফেরার পথে হুমায়ন মণ্ডলকে (৪৪) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। পরদিন মৃতের ছোট ভাই সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩৬ জনের নামে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিল। মামলা নম্বর ৯। সেই মামলায় মৃত সেলিমকে আসামি করা হয়েছিল। তিনি জামিনে ছিলেন।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
২০ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
২০ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
২০ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
২৪ দিন আগে