Ajker Patrika

ইরানে হিজাব ছাড়তে উৎসাহ দিলে কঠিন শাস্তি

আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৩, ১৫: ৩৬
ইরানে হিজাব ছাড়তে উৎসাহ দিলে কঠিন শাস্তি

ইরানে কেউ নারীদের হিজাব ছাড়তে উৎসাহ দিলে কঠিন বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। বিচারে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কোনো সুযোগ রাখা হবে না। এক বিবৃতিতে শনিবার (১৫ এপ্রিল) এই শাস্তির কথা জানান ইরানের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আলি জামাদি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। 

আলি জামাদি বলেন, ‘হিজাব না পরতে উৎসাহিত করার অপরাধের বিচার ফৌজদারি আদালতে হবে। বিচারের রায়ই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। রায়ের বিরুদ্ধে কোনো আপিল গ্রহণযোগ্য হবে না।’ 

হিজাব ছাড়া চলাফেরা করা নারীদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে শনিবার দেশটির বিভিন্ন জনসমাগমস্থলে ক্যামেরা বসিয়েছে পুলিশ। এমন পরিকল্পনার কথা গত সপ্তাহে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। 

ইরানে আগে থেকেই বাধ্যতামূলক ছিল হিজাব। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশটির নারীরা বাধ্যতামূলক এই পোশাক নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। দেশটির শপিং মল, রেস্তোরাঁ, দোকানপাট ও রাস্তার মতো জনসমাগমস্থলে হিজাব ছাড়াই চলাফেরা করছেন অনেক নারী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও দেশটির নারী সেলিব্রিটি ও অধিকারকর্মীরা হিজাব ছাড়া ছবি আপলোড করছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নেয় ইরান সরকার। 
 
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল জামাদি জানান, ‘হিজাব না পরার চেয়ে হিজাববিরোধী প্রচার এবং হিজাব ছাড়তে উৎসাহ দেওয়ার শাস্তি অনেক কঠোর হবে। কারণ এটি স্পষ্টতই দুর্নীতিকে উৎসাহিত করার মতো অপরাধ।’ 

উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বরে তেহরানে নৈতিকতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনি। সঠিক নিয়মে হিজাব না পরায় তাঁকে আটক করা হয়। পরে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় মাহসার। এর জেরে ইরানজুড়ে হিজাববিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ দমাতে কঠোর অবস্থান নেয় দেশটির পুলিশ। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত