আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে রাতে এক গৃহবধূর ঘরে ঢুকে শ্লীলতাহানি করে মেরে হাতে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায় এক বখাটে। সেই ঘটনার বিচার পেতে গতকাল রোববার দুপুরে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগী পরিবার।
পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসেবে না নিয়ে উল্টো অভিযুক্ত বখাটে তরুণকে থানায় ডেকে ‘শাসন’ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ।
এ ঘটনায় এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে বিবাদী পক্ষের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বাদীর স্বজনেরা। তবে ওই এএসআই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অভিযুক্ত বখাটের বাড়ি উপজেলার কানুপুর সরদারপাড়া গ্রামে।
গৃহবধূর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেশী বখাটে তরুণ ইদ্রিস আলী তাঁকে নানাভাবে কুপ্রস্তাব দিতেন। রাজি না হওয়ায় ইদ্রিস আলী তাঁকে মেরে ফেলার ভয় দেখান। গত শনিবার রাতে গৃহবধূর স্বামী প্রতিবেশীর বাড়িতে মিলাদের দাওয়াত খেতে যান। এই সুযোগে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইদ্রিস আলী বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে জাপটে ধরেন। বাধা দিলে ইদ্রিস আলী তাঁকে কিলঘুষি মারেন। একপর্যায়ে গৃহবধূর বাঁহাতে কামড় দেন। এ সময় গৃহবধূর চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তখন ইদ্রিস আলী ঘরের জানালা ভেঙে পালিয়ে যান।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল রোববার দুপুরে থানায় গিয়ে ইদ্রিস আলীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন আমার স্ত্রী। তখন ওসি অভিযোগটি তদন্তের জন্য এএসআই মো. সাজুকে দায়িত্ব দেন। ওই দিন এএসআই সাজু তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে আসেন। ইদ্রিস আলীদের বাড়িতেও যান। ইদ্রিস আলী বাড়িতেই ছিলেন। আমাদের লোকজন এএসআই সাজুর সঙ্গে ইদ্রিস আলীর কথা বলতে দেখেছেন। এএসআই সাজু ইদ্রিসের অভিভাবকদের সঙ্গে টাকাপয়সা নিয়ে কথা বলছিলেন। পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ নেন তিনি। এরপর এসে আমাদের লোকজনদের বলেন, ইদ্রিস আলী বাড়িতে নেই। এএসআই সাজু চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর ইদ্রিস আলী বাড়ি থেকে বের হন।’
এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ ও তাঁর স্বামীসহ গ্রামের ৫০-৬০ জন নারী-পুরুষ থানায় আসেন। তাঁরা ইদ্রিস আলী ও তাঁর বাবাকে থানার ভেতর এএসআই সাজু ও থানার ওসির সঙ্গে কথা বলতে দেখেন। থানায় বসে ঘটনাটি আপসরফা করতে বলায় ভুক্তভোগীকে। এ বিষয়ে পরে জানাবেন বলে তাঁরা থানা থেকে বেরিয়ে আসেন। পুলিশের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েছেন ভুক্তভোগী, তাঁর পরিবার ও প্রতিবেশীরা।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, ‘ন্যায্যবিচার চেয়ে অনেক আশা নিয়ে থানায় এসে অভিযোগ দিয়েছিলাম। তখনো বুঝিনি পুলিশ টাকার বিনিময়ে পল্টি মারবে! এএসআই সাজু অভিযুক্তের বাড়ি থেকে আসার পর সুর পাল্টে গেছে। এখন পুলিশ আমাকে ঘটনাটি আপস করতে চাপ দিচ্ছে। আমি আপস করতে চাইনি।’
স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এএসআই ঘটনাস্থলে এসে বাদীপক্ষের কাছে টাকা চেয়েছিলেন। টাকা না পাওয়ায় কোনো পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। এরপর গতকাল সন্ধ্যায় গৃহবধূ ও তাঁর স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামের ৫০-৬০ জন থানায় গিয়েছিলাম। তখন অভিযুক্ত ইদ্রিস আলী ও তাঁর স্বজনেরা ওসির কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসছিলেন। আমাদের সঙ্গে ওসি থানা চত্বরে কথা বলেছেন। ওসি আমাদের আপস করতে বলেছেন। আমরা সময় নিয়ে চলে এসেছি।’
জানতে চাইলে অভিযুক্ত তরুণ ইদ্রিস আলী বলেন, ‘আমি ওই গৃহবধূকে কিছু করিনি। তারা আমাকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে। পুলিশ আমাকে থানায় ডেকে শাসন করেছে।’
এদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আজ সোমবার বিকেলে এএসআই সাজু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গৃহবধূর ওই অভিযোগটি তদন্তের জন্য আমি অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়েছিলাম। অভিযুক্ত বাড়িতে ছিলেন না। আমি টাকাপয়সা নিইনি। আমি ইদ্রিস আলীর পরিবারের লোকজনকে বলে এসেছিলাম, অভিযুক্তসহ তাঁরা সন্ধ্যায় যেন থানায় ওসির কাছে আসেন। পরে তাঁরা থানায় এসেছিলেন। ওসি স্যার ইদ্রিস আলীকে শাসন করেছেন। এ ঘটনাটি ওসি নিজেই দেখছেন।’
এ ব্যাপারে আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন হোসেন আজ বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গৃহবধূর অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি বিষয়টি তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে একজন অফিসার পাঠিয়েছি। বাদীপক্ষ আমাকে মামলা করতে বলেননি, তাই মামলা নেওয়া হয়নি। যদি তাঁরা মামলা করতে চান, তাহলে মামলা নেওয়া হবে।’
আপসের প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের লোকজন থানায় এসেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষ থানায় বসতে চেয়েছিল। বাদীপক্ষ সময় নিয়েছেন। আমি বিষয়টি এসপি স্যারকে জানিয়েছিলাম।’
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে রাতে এক গৃহবধূর ঘরে ঢুকে শ্লীলতাহানি করে মেরে হাতে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায় এক বখাটে। সেই ঘটনার বিচার পেতে গতকাল রোববার দুপুরে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগী পরিবার।
পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসেবে না নিয়ে উল্টো অভিযুক্ত বখাটে তরুণকে থানায় ডেকে ‘শাসন’ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ।
এ ঘটনায় এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে বিবাদী পক্ষের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বাদীর স্বজনেরা। তবে ওই এএসআই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অভিযুক্ত বখাটের বাড়ি উপজেলার কানুপুর সরদারপাড়া গ্রামে।
গৃহবধূর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেশী বখাটে তরুণ ইদ্রিস আলী তাঁকে নানাভাবে কুপ্রস্তাব দিতেন। রাজি না হওয়ায় ইদ্রিস আলী তাঁকে মেরে ফেলার ভয় দেখান। গত শনিবার রাতে গৃহবধূর স্বামী প্রতিবেশীর বাড়িতে মিলাদের দাওয়াত খেতে যান। এই সুযোগে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইদ্রিস আলী বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে জাপটে ধরেন। বাধা দিলে ইদ্রিস আলী তাঁকে কিলঘুষি মারেন। একপর্যায়ে গৃহবধূর বাঁহাতে কামড় দেন। এ সময় গৃহবধূর চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তখন ইদ্রিস আলী ঘরের জানালা ভেঙে পালিয়ে যান।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল রোববার দুপুরে থানায় গিয়ে ইদ্রিস আলীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন আমার স্ত্রী। তখন ওসি অভিযোগটি তদন্তের জন্য এএসআই মো. সাজুকে দায়িত্ব দেন। ওই দিন এএসআই সাজু তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে আসেন। ইদ্রিস আলীদের বাড়িতেও যান। ইদ্রিস আলী বাড়িতেই ছিলেন। আমাদের লোকজন এএসআই সাজুর সঙ্গে ইদ্রিস আলীর কথা বলতে দেখেছেন। এএসআই সাজু ইদ্রিসের অভিভাবকদের সঙ্গে টাকাপয়সা নিয়ে কথা বলছিলেন। পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ নেন তিনি। এরপর এসে আমাদের লোকজনদের বলেন, ইদ্রিস আলী বাড়িতে নেই। এএসআই সাজু চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর ইদ্রিস আলী বাড়ি থেকে বের হন।’
এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ ও তাঁর স্বামীসহ গ্রামের ৫০-৬০ জন নারী-পুরুষ থানায় আসেন। তাঁরা ইদ্রিস আলী ও তাঁর বাবাকে থানার ভেতর এএসআই সাজু ও থানার ওসির সঙ্গে কথা বলতে দেখেন। থানায় বসে ঘটনাটি আপসরফা করতে বলায় ভুক্তভোগীকে। এ বিষয়ে পরে জানাবেন বলে তাঁরা থানা থেকে বেরিয়ে আসেন। পুলিশের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েছেন ভুক্তভোগী, তাঁর পরিবার ও প্রতিবেশীরা।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, ‘ন্যায্যবিচার চেয়ে অনেক আশা নিয়ে থানায় এসে অভিযোগ দিয়েছিলাম। তখনো বুঝিনি পুলিশ টাকার বিনিময়ে পল্টি মারবে! এএসআই সাজু অভিযুক্তের বাড়ি থেকে আসার পর সুর পাল্টে গেছে। এখন পুলিশ আমাকে ঘটনাটি আপস করতে চাপ দিচ্ছে। আমি আপস করতে চাইনি।’
স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এএসআই ঘটনাস্থলে এসে বাদীপক্ষের কাছে টাকা চেয়েছিলেন। টাকা না পাওয়ায় কোনো পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। এরপর গতকাল সন্ধ্যায় গৃহবধূ ও তাঁর স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামের ৫০-৬০ জন থানায় গিয়েছিলাম। তখন অভিযুক্ত ইদ্রিস আলী ও তাঁর স্বজনেরা ওসির কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসছিলেন। আমাদের সঙ্গে ওসি থানা চত্বরে কথা বলেছেন। ওসি আমাদের আপস করতে বলেছেন। আমরা সময় নিয়ে চলে এসেছি।’
জানতে চাইলে অভিযুক্ত তরুণ ইদ্রিস আলী বলেন, ‘আমি ওই গৃহবধূকে কিছু করিনি। তারা আমাকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে। পুলিশ আমাকে থানায় ডেকে শাসন করেছে।’
এদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আজ সোমবার বিকেলে এএসআই সাজু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গৃহবধূর ওই অভিযোগটি তদন্তের জন্য আমি অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়েছিলাম। অভিযুক্ত বাড়িতে ছিলেন না। আমি টাকাপয়সা নিইনি। আমি ইদ্রিস আলীর পরিবারের লোকজনকে বলে এসেছিলাম, অভিযুক্তসহ তাঁরা সন্ধ্যায় যেন থানায় ওসির কাছে আসেন। পরে তাঁরা থানায় এসেছিলেন। ওসি স্যার ইদ্রিস আলীকে শাসন করেছেন। এ ঘটনাটি ওসি নিজেই দেখছেন।’
এ ব্যাপারে আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন হোসেন আজ বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গৃহবধূর অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি বিষয়টি তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে একজন অফিসার পাঠিয়েছি। বাদীপক্ষ আমাকে মামলা করতে বলেননি, তাই মামলা নেওয়া হয়নি। যদি তাঁরা মামলা করতে চান, তাহলে মামলা নেওয়া হবে।’
আপসের প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের লোকজন থানায় এসেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষ থানায় বসতে চেয়েছিল। বাদীপক্ষ সময় নিয়েছেন। আমি বিষয়টি এসপি স্যারকে জানিয়েছিলাম।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৪ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৪ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৫ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৯ দিন আগে