Ajker Patrika

অপহরণের ২ মাস পর ফোনকলের সূত্র ধরে তরুণের মরদেহ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩ 

বগুড়া প্রতিনিধি
অপহরণের ২ মাস পর ফোনকলের সূত্র ধরে তরুণের মরদেহ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩ 

বগুড়ার কাহালু উপজেলায় অপহরণের ২ মাস ১৩ দিন পর বিধান চন্দ্র সরকার (২০) নামের এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মালঞ্চা ইউনিয়নের শিবাকলমা গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ বলছে, মুক্তিপণ আদায়ের জন্য তাঁকে অপহরণের পর একই গ্রামের তিন যুবক হত্যা করে। গ্রামের পাশের মাঠে পানি সেচের ড্রেনের মধ্যে মরদেহ মাটিচাপা দেয়। নিখোঁজের প্রায় দুই মাস পর তার বাবার কাছে ফোন করে মুক্তিপণ দাবির সূত্র ধরেই হত্যাকারীদের শনাক্ত ও তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহটি উদ্ধার করে।

নিহত বিধান চন্দ্র শিবাকলমা গ্রামের অনিল চন্দ্র সরকারের ছেলে। লক্ষী সম্প্রদায় নামের কীর্তনীয়া দলের সদস্য হিসেবে মা-বাবার সঙ্গে কীর্তন গাইতেন বিধান।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন—একই গ্রামের বিদু চন্দ্র প্রামানিকের ছেলে বিপুল চন্দ্র প্রামানিক (৩৫), জিতেন চন্দ্র বর্মনের ছেলে দিনেশ চন্দ্র বর্মন (৩৮) ও বাবু চন্দ্র প্রামানিকের ছেলে উৎপল চন্দ্র (২৪)। তাঁরা কখনো দিনমজুরি, কখনো ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

নিহত বিধানের মা লক্ষী রানী জানান, গত ১১ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে বিধান চন্দ্র মোবাইল ফোনে টাকা রিচার্জের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন ১২ এপ্রিল এ বিষয়ে কাহালু থানায় সাধারণ ডাইরি (জিডি) করা হয়। এরপর ছেলের সন্ধান পেতে পুলিশ-র‍্যাবের সহযোগিতা চায়। পাশাপাশি গত ১৭ মে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।

বিধানের বাবা অনিল চন্দ্র বলেন, ‘গ্রামে আমাদের সঙ্গে কারও বিরোধ নাই। কারণ আমরা অধিকাংশ সময়ই কীর্তন দল নিয়ে গ্রামের বাইরে থাকি। ছেলে নিখোঁজ হওয়ার দুই মাসেও কেউ মুক্তিপণও দাবি করেনি। কয়েক দিন আগে হঠাৎ একটি নম্বর থেকে ফোন করে জানানো হয় বিধান তাদের কাছে আছে। ৬ লাখ টাকা দিলে বিধানকে ফেরত দেওয়া হবে। এরপর বিষয়টি পুলিশকে জানাই।’

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার জানান, মুক্তিপণ দাবি করা মোবাইল ফোনটি শনাক্ত করে ওই গ্রামের বিপুল, জিতেন ও উৎপল নামের তিনজনকে আটক করেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে ওই তিনজন জানান মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা থেকেই তারা বিধানের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। ঘটনার দিন কৌশলে তাকে গ্রামের পাশে মাঠের মধ্যে নিয়ে গিয়ে মদ পান করানো হয়। পরে তাঁকে অজ্ঞান করানোর উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়। তখন অবস্থা বেগতিক দেখে বিধানকে হত্যা করে মাটিচাপা দেন তাঁরা। ঘটনার পর দীর্ঘদিন তারা নিশ্চুপ থাকার পর বিধানের মা-বাবার কাছ থেকে টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোনে মুক্তিপণ দাবি করেন।

মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় কাহালু থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে। সেই মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান অতিরিক্ত এই পুলিশ সুপার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত