কোলের সন্তানসহ গৃহবধূকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে আসামি

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
Thumbnail image

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় কোলের সন্তানসহ এক গৃহবধূকে (৩৩) তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় এক মাস পার হলেও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ভুক্তভোগীর পরিবার বলছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না। পুলিশ বলছে, আসামিকে পেলে গ্রেপ্তার করা হবে। 

গত ২৬ ডিসেম্বর চার সন্তানের জননী ওই গৃহবধূকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে আব্দুল হাই (৩৭) এর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করতে ব্যর্থ হলে ১৫ জানুয়ারি পাবনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ওই গৃহবধূ। মামলায় আব্দুল হাইসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করা হয়। 

ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামীর অভিযোগ, ‘মামলা দায়েরের পর থেকে আসামি আব্দুল হাই ও তাঁর লোকজন মামলা তুলে নিতে তাঁদের হুমকি দিচ্ছে। এ ছাড়া আসামি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না।’ 

তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সাবিনুর ইসলাম বলেন, ‘মামলার তদন্ত চলছে। আসামিকে পেলে অবশ্যই গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’ 

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল হাই ভুক্তভোগী গৃহবধূর বাড়িতে প্রায়ই আসা-যাওয়া করতেন। আব্দুল হাই ওই নারীকে বেশ কয়েকবার কুপ্রস্তাব দেয়। ২৬ ডিসেম্বর ওই গৃহবধূর স্বামী-সন্তান বাড়িতে ছিল না। এই সুযোগে বিকেল ৩টার দিকে ছয় মাসের কোলের শিশু সন্তানসহ ওই গৃহবধূকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে অজ্ঞাত স্থানে তুলে নিয়ে যায় আব্দুল হাইসহ অজ্ঞাত লোকজন। পরে ওই গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করে অভিযুক্ত আব্দুল হাই। 

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সন্তানসহ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হলেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় বিষয়টি থানা-পুলিশকে জানায় ভুক্তভোগী পরিবার। পুলিশ তাঁদের আদালতের শরণাপন্ন হতে পরামর্শ দেয়। 

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি দেওয়ায় তারা থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত