ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
‘গরিবের বন্ধু’ রবিনহুডের গল্প পড়েননি বা শোনেননি এমন মানুষের সন্ধান পাওয়া কঠিনই বটে। তিনি ধনীদের কাছ থেকে ডাকাতি ও মালপত্র লুট করে গরিবদের মাঝে বিলিয়ে দিতেন। আলজেরিয়ার নাগরিক হামজা বেনডালেজ আধুনিক যুগের ‘রবিনহুড’ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন।
২০১৩ সালে থাইল্যান্ডের পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হামজা বেনডালেজকে নিয়ে ইন্টারনেটে প্রচলিত গল্পটি হলো—ফাঁসির মঞ্চে দড়ি গলায় দিয়েও হাসিমুখে থাকা পৃথিবী ইতিহাসে বিরল এক ব্যক্তি হামজা বেনডালেজ। ২১৭টি ব্যাংক থেকে চার হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার হ্যাক করে আফ্রিকা ও ফিলিস্তিনে অনাহারে থাকা মানুষদের জন্য দান করেন।
আদালতে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘আমি কোনো পাপ করিনি, দুর্নীতিবাজেরা গরিবদের পেট চাপা দিয়ে যে টাকা ব্যাংকে জমা রেখেছে, আমি তা গরিবদের মাঝে পৌঁছে দিয়েছি মাত্র।’
হামজা বেনডালেজ কি আফ্রিকান ও ফিলিস্তিনিদের সত্যিই বন্ধু ছিলেন? ব্যাংক থেকে হ্যাক করেছিলেন চার হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং এ জন্য তাঁর ফাঁসি হয়?
রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে থাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্টে ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সে সময় দেশটির পুলিশ যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এফবিআইয়ের সমনপ্রাপ্ত আলজেরিয়ার নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। ওই ব্যক্তির নাম হামজা বেনডালেজ। তাঁর বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধের মাধ্যমে মিলিয়ন ডলার চুরির অভিযোগ ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ২১৭টি ব্যাংকের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য চুরির অভিযোগ ছিল বলে ওই সময় সংবাদমাধ্যমকে জানায় থাইল্যান্ডের অভিবাসন ব্যুরোপ্রধান ফার্নু কেরডলারফন।
ফার্নু জানান, হামজা বেনডালেজ চুরি করা অর্থ ভ্রমণ এবং বিলাসবহুল জীবনযাপন যেমন, বিমানের প্রথম শ্রেণির ফ্লাইটে ভ্রমণ, বিলাসবহুল জায়গায় থাকা ইত্যাদি কাজে ব্যয় করতেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির ফ্যাক্টচেক বিভাগ হামজা বেনডালেজের কথিত এই গল্প নিয়ে ২০২১ সালে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থাটি যুক্তরাষ্ট্রে হওয়া হামজা বেনডালেজের বিচারকাজের নথিপত্র তুলে আনে।
এসব নথিপত্রের বরাত দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, হামজা বেনডালেজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে অর্থ চুরি করা এবং পরে সে অর্থ আফ্রিকা ও ফিলিস্তিনের অসহায় মানুষদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার দাবি করে প্রচারিত তথ্যগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। ২০১৩ সালে থাইল্যান্ডে গ্রেপ্তারের পর হামজা বেনডালেজ এসব অর্থ নিজের বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য ব্যয় করতেন বলে স্বীকারোক্তি দেন। হামজা বেনডালেজের বিচারকাজের নথিপত্র থেকেও এই অর্থ দিয়ে হামজা বেনডালেজ কী করতেন, তার কোনো স্বীকারোক্তি পাওয়া যায় না।
প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, হামজা বেনডালেজের বিরুদ্ধে ‘স্পাই আই’ নামে একটি ভাইরাস তৈরি, বিক্রি ও সরবরাহের অভিযোগ ছিল। এই ভাইরাস কম্পিউটারে প্রবেশ করিয়ে ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্য চুরি করা সম্ভব ছিল। ২০১৩ সালে থাইল্যান্ডে গ্রেপ্তার হওয়ার পর একই বছর তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসা হয়।
দেশটির বিচার বিভাগের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, হামজা বেনডালেজ শত হাজার ক্রেডিট কার্ড এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর চুরি করেছিলেন। ফলে বিশ্বজুড়ে ব্যক্তি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। হামজা বেনডালেজের ‘স্পাই আই’ ম্যালওয়্যারের সাইবার অপরাধীদের বৈশ্বিক সিন্ডিকেট ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ৫০ মিলিয়নের বেশি কম্পিউটারে হামলা চালিয়েছে। এতে বিশ্বব্যাপী ব্যক্তি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় এক বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।
এএফপির এ প্রতিবেদন ও হামজা বেনডালেজের বিচারকাজ-সংক্রান্ত নথি থেকে তাঁর চার হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার চুরির বিষয়ে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
হামজা বেনডালেজের কি ফাঁসি হয়েছিল
সোশ্যাল মিডিয়ায় হামজা বেনডালেজের ফাঁসি হয়েছে দাবি করে এক ব্যক্তির প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ার একটি ছবি প্রচার হতে দেখা যায়। অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ার ছবিতে থাকা ব্যক্তিটি হামজা বেনডালেজ নন। ছবির ওই ব্যক্তি মূলত একজন ইরানি নাগরিক। তাঁর নাম মজিদ কাউসিফার।
একজন বিচারককে হত্যার দায়ে তেহরানে দুই ব্যক্তিকে জনসমক্ষে ফাঁসি দেওয়া হয়। তাঁদের একজন ছিলেন এই মজিদ কাউসিফার। অর্থাৎ ছবিটি হামজা বেনডালেজের ফাঁসির নয়।
অন্যদিকে হামজা বেনডালেজের সাজা সম্পর্কে অনুসন্ধানে এফবিআইয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালে হামজা বেনডালেজ তাঁর অপরাধ স্বীকার করেন এবং এক বছর পরে তাঁকে ১৫ বছরের জেল দেওয়া হয়। অর্থাৎ হামজা বেনডালেজের ফাঁসি হওয়ার দাবিটি সঠিক নয়।
হামজা বেনডালেজ যেভাবে ‘হিরো’ হয়ে উঠলেন
এএফপির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালে হামজা বেনডালেজকে হিরো আখ্যায়িত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হয়, তিনি চুরি করা অর্থ ফিলিস্তিনি নাগরিকদের জন্য ব্যবহার করেছেন। পরে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় ২০১৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটির শিরোনাম করা হয়, ‘আলজেরিয়ান হ্যাকার হামজা বেনডালেজ হ্যাকার, না হিরো?’
প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়, হামজা বেনডালেজকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনার পর ইন্টারনেটে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে বলে একটি দাবি ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, আলজেরিয়ান হ্যাকার হামজা বেনডালেজ বিপজ্জনক ১০ জন হ্যাকারের একজন। যিনি ২১৭টি ব্যাংক হ্যাক করে ২৮০ মিলিয়ন ডলার ফিলিস্তিনিদের দান করেছেন। এর শাস্তি? মৃত্যুদণ্ড। তবে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, যুক্তরাষ্ট্র এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে। আলজেরিয়ার যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জোয়ান পোলাচি সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, সাইবার অপরাধের সাজা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে না।
ধারণা করা যায়, ২০১৫ সালে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া এসব তথ্য থেকেই হামজা বেনডালেজের ব্যাংক হ্যাক করে ফিলিস্তিনিদের অর্থসহায়তা দেওয়া এবং এই কারণে তাঁর মৃত্যুদণ্ড হওয়ার দাবিটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে।
‘গরিবের বন্ধু’ রবিনহুডের গল্প পড়েননি বা শোনেননি এমন মানুষের সন্ধান পাওয়া কঠিনই বটে। তিনি ধনীদের কাছ থেকে ডাকাতি ও মালপত্র লুট করে গরিবদের মাঝে বিলিয়ে দিতেন। আলজেরিয়ার নাগরিক হামজা বেনডালেজ আধুনিক যুগের ‘রবিনহুড’ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন।
২০১৩ সালে থাইল্যান্ডের পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হামজা বেনডালেজকে নিয়ে ইন্টারনেটে প্রচলিত গল্পটি হলো—ফাঁসির মঞ্চে দড়ি গলায় দিয়েও হাসিমুখে থাকা পৃথিবী ইতিহাসে বিরল এক ব্যক্তি হামজা বেনডালেজ। ২১৭টি ব্যাংক থেকে চার হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার হ্যাক করে আফ্রিকা ও ফিলিস্তিনে অনাহারে থাকা মানুষদের জন্য দান করেন।
আদালতে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘আমি কোনো পাপ করিনি, দুর্নীতিবাজেরা গরিবদের পেট চাপা দিয়ে যে টাকা ব্যাংকে জমা রেখেছে, আমি তা গরিবদের মাঝে পৌঁছে দিয়েছি মাত্র।’
হামজা বেনডালেজ কি আফ্রিকান ও ফিলিস্তিনিদের সত্যিই বন্ধু ছিলেন? ব্যাংক থেকে হ্যাক করেছিলেন চার হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং এ জন্য তাঁর ফাঁসি হয়?
রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে থাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্টে ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সে সময় দেশটির পুলিশ যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এফবিআইয়ের সমনপ্রাপ্ত আলজেরিয়ার নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। ওই ব্যক্তির নাম হামজা বেনডালেজ। তাঁর বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধের মাধ্যমে মিলিয়ন ডলার চুরির অভিযোগ ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ২১৭টি ব্যাংকের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য চুরির অভিযোগ ছিল বলে ওই সময় সংবাদমাধ্যমকে জানায় থাইল্যান্ডের অভিবাসন ব্যুরোপ্রধান ফার্নু কেরডলারফন।
ফার্নু জানান, হামজা বেনডালেজ চুরি করা অর্থ ভ্রমণ এবং বিলাসবহুল জীবনযাপন যেমন, বিমানের প্রথম শ্রেণির ফ্লাইটে ভ্রমণ, বিলাসবহুল জায়গায় থাকা ইত্যাদি কাজে ব্যয় করতেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির ফ্যাক্টচেক বিভাগ হামজা বেনডালেজের কথিত এই গল্প নিয়ে ২০২১ সালে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থাটি যুক্তরাষ্ট্রে হওয়া হামজা বেনডালেজের বিচারকাজের নথিপত্র তুলে আনে।
এসব নথিপত্রের বরাত দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, হামজা বেনডালেজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে অর্থ চুরি করা এবং পরে সে অর্থ আফ্রিকা ও ফিলিস্তিনের অসহায় মানুষদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার দাবি করে প্রচারিত তথ্যগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। ২০১৩ সালে থাইল্যান্ডে গ্রেপ্তারের পর হামজা বেনডালেজ এসব অর্থ নিজের বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য ব্যয় করতেন বলে স্বীকারোক্তি দেন। হামজা বেনডালেজের বিচারকাজের নথিপত্র থেকেও এই অর্থ দিয়ে হামজা বেনডালেজ কী করতেন, তার কোনো স্বীকারোক্তি পাওয়া যায় না।
প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, হামজা বেনডালেজের বিরুদ্ধে ‘স্পাই আই’ নামে একটি ভাইরাস তৈরি, বিক্রি ও সরবরাহের অভিযোগ ছিল। এই ভাইরাস কম্পিউটারে প্রবেশ করিয়ে ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্য চুরি করা সম্ভব ছিল। ২০১৩ সালে থাইল্যান্ডে গ্রেপ্তার হওয়ার পর একই বছর তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসা হয়।
দেশটির বিচার বিভাগের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, হামজা বেনডালেজ শত হাজার ক্রেডিট কার্ড এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর চুরি করেছিলেন। ফলে বিশ্বজুড়ে ব্যক্তি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। হামজা বেনডালেজের ‘স্পাই আই’ ম্যালওয়্যারের সাইবার অপরাধীদের বৈশ্বিক সিন্ডিকেট ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ৫০ মিলিয়নের বেশি কম্পিউটারে হামলা চালিয়েছে। এতে বিশ্বব্যাপী ব্যক্তি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় এক বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।
এএফপির এ প্রতিবেদন ও হামজা বেনডালেজের বিচারকাজ-সংক্রান্ত নথি থেকে তাঁর চার হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার চুরির বিষয়ে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
হামজা বেনডালেজের কি ফাঁসি হয়েছিল
সোশ্যাল মিডিয়ায় হামজা বেনডালেজের ফাঁসি হয়েছে দাবি করে এক ব্যক্তির প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ার একটি ছবি প্রচার হতে দেখা যায়। অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ার ছবিতে থাকা ব্যক্তিটি হামজা বেনডালেজ নন। ছবির ওই ব্যক্তি মূলত একজন ইরানি নাগরিক। তাঁর নাম মজিদ কাউসিফার।
একজন বিচারককে হত্যার দায়ে তেহরানে দুই ব্যক্তিকে জনসমক্ষে ফাঁসি দেওয়া হয়। তাঁদের একজন ছিলেন এই মজিদ কাউসিফার। অর্থাৎ ছবিটি হামজা বেনডালেজের ফাঁসির নয়।
অন্যদিকে হামজা বেনডালেজের সাজা সম্পর্কে অনুসন্ধানে এফবিআইয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালে হামজা বেনডালেজ তাঁর অপরাধ স্বীকার করেন এবং এক বছর পরে তাঁকে ১৫ বছরের জেল দেওয়া হয়। অর্থাৎ হামজা বেনডালেজের ফাঁসি হওয়ার দাবিটি সঠিক নয়।
হামজা বেনডালেজ যেভাবে ‘হিরো’ হয়ে উঠলেন
এএফপির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালে হামজা বেনডালেজকে হিরো আখ্যায়িত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হয়, তিনি চুরি করা অর্থ ফিলিস্তিনি নাগরিকদের জন্য ব্যবহার করেছেন। পরে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় ২০১৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটির শিরোনাম করা হয়, ‘আলজেরিয়ান হ্যাকার হামজা বেনডালেজ হ্যাকার, না হিরো?’
প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়, হামজা বেনডালেজকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনার পর ইন্টারনেটে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে বলে একটি দাবি ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, আলজেরিয়ান হ্যাকার হামজা বেনডালেজ বিপজ্জনক ১০ জন হ্যাকারের একজন। যিনি ২১৭টি ব্যাংক হ্যাক করে ২৮০ মিলিয়ন ডলার ফিলিস্তিনিদের দান করেছেন। এর শাস্তি? মৃত্যুদণ্ড। তবে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, যুক্তরাষ্ট্র এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে। আলজেরিয়ার যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জোয়ান পোলাচি সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, সাইবার অপরাধের সাজা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে না।
ধারণা করা যায়, ২০১৫ সালে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া এসব তথ্য থেকেই হামজা বেনডালেজের ব্যাংক হ্যাক করে ফিলিস্তিনিদের অর্থসহায়তা দেওয়া এবং এই কারণে তাঁর মৃত্যুদণ্ড হওয়ার দাবিটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৫ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৫ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৫ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৯ দিন আগে