নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
সাত দিন আগে বিয়ে হয় সৌদি আরব প্রবাসী যুবক সোহান আহমদের (২৩)। হাত থেকে মেহেদির রং মোছার আগেই ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন এ যুবক। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ উপজেলা ও সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার সীমান্তে অবস্থিত ইনাতগঞ্জ বাজারে প্রতিপক্ষের হামলায় মৃত্যু হয় সোহান আহমদের। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুজন।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। হত্যাকাণ্ডের স্থান জগন্নাথপুর থানা এলাকায়।
নিহত সোহান ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন, সোহানের চাচাতো দুই ভাই নুর আলমের ছেলে মোসাদ্দেক আলম (২৪) ও আবু সায়েদের ছেলে শহীদুল্লা (২৫)। আহতদের মধ্যে মোসাদ্দেকের অবস্থা সংকটাপন্ন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুই সপ্তাহ আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন সোহান আহমদ। এক সপ্তাহ আগে পাঞ্জারাই গ্রামে বিয়ে করেন সোহান। স্বপ্ন ছিল স্ত্রী সহকারে যাবেন স্বপ্নের দেশ যুক্তরাজ্যে। কিন্তু স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল সোহানের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের উমরপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে নুরকাছ ও তার সহযোগীদের সঙ্গে সোহানের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সোহানের ওপর হামলা চালায় তারা। বাঁচতে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে সোহান। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। ইনাতগঞ্জ বাজারের গলিতে ফেলে প্রকাশ্যে নুরকাছ ও তার সহযোগীরা ধারালো ছুরি দিয়ে সোহানকে একাধিক জখম করা হয়। এ সময় সোহানকে বাঁচাতে মোসাদ্দেক ও শহীদুল্লা এগিয়ে এলে তাদেরও ছুরিকাঘাত করা হয়।
ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও নিহত সোহানের চাচা মাসুদ আহমেদ জিহাদী জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় সোহান ও মোসাদ্দেককে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শহীদুল্লাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহানের মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, ‘আমার ভাতিজাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীরা এলাকায় নানা অপকর্মে জড়িত। প্রতিনিয়ত তারা অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। আগের একাধিকবার অপরাধ কর্মকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসে সোহান, তার স্বপ্ন ছিল বিয়ে করে স্ত্রীসহ যুক্তরাজ্যে যাবে, এ জন্য গত এক সপ্তাহ আগে পাঞ্জারাই গ্রামে বিয়ে করে। কিন্তু তার স্বপ্ন আর সত্যি হলো না।’ সোহানকে যারা প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোমান হোসেন বলেন, নিহত সোহানের বাসার সামনে নুরকাছ ও তার এক সহযোগীর মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সোহান ঘটনাস্থলে গিয়ে নুরকাছকে জানায় তার বাসার সামনে কোনো ধরনের ঝামেলা না করার জন্য, পাওনা টাকার আলাপ অন্যত্র গিয়ে করতে। এ ঘটনায় সোহানের ওপর ক্ষিপ্ত হয় নুরকাছ ও তার সহযোগীরা। একপর্যায়ে সোহানের ওপর তারা একত্রিতভাবে হামলা চালায়। এতে সোহান প্রথমে গুরুতর আহত ও পরবর্তীতে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে বিয়ের মেহেদির রং মোছার আগেই সোহানের চলে যাওয়ার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অধরাই রয়ে গেল সোহানের স্ত্রী নিয়ে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার স্বপ্ন। নববধূসহ পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
সাত দিন আগে বিয়ে হয় সৌদি আরব প্রবাসী যুবক সোহান আহমদের (২৩)। হাত থেকে মেহেদির রং মোছার আগেই ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন এ যুবক। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ উপজেলা ও সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার সীমান্তে অবস্থিত ইনাতগঞ্জ বাজারে প্রতিপক্ষের হামলায় মৃত্যু হয় সোহান আহমদের। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুজন।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। হত্যাকাণ্ডের স্থান জগন্নাথপুর থানা এলাকায়।
নিহত সোহান ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন, সোহানের চাচাতো দুই ভাই নুর আলমের ছেলে মোসাদ্দেক আলম (২৪) ও আবু সায়েদের ছেলে শহীদুল্লা (২৫)। আহতদের মধ্যে মোসাদ্দেকের অবস্থা সংকটাপন্ন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুই সপ্তাহ আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন সোহান আহমদ। এক সপ্তাহ আগে পাঞ্জারাই গ্রামে বিয়ে করেন সোহান। স্বপ্ন ছিল স্ত্রী সহকারে যাবেন স্বপ্নের দেশ যুক্তরাজ্যে। কিন্তু স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল সোহানের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের উমরপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে নুরকাছ ও তার সহযোগীদের সঙ্গে সোহানের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সোহানের ওপর হামলা চালায় তারা। বাঁচতে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে সোহান। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। ইনাতগঞ্জ বাজারের গলিতে ফেলে প্রকাশ্যে নুরকাছ ও তার সহযোগীরা ধারালো ছুরি দিয়ে সোহানকে একাধিক জখম করা হয়। এ সময় সোহানকে বাঁচাতে মোসাদ্দেক ও শহীদুল্লা এগিয়ে এলে তাদেরও ছুরিকাঘাত করা হয়।
ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও নিহত সোহানের চাচা মাসুদ আহমেদ জিহাদী জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় সোহান ও মোসাদ্দেককে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শহীদুল্লাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহানের মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, ‘আমার ভাতিজাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীরা এলাকায় নানা অপকর্মে জড়িত। প্রতিনিয়ত তারা অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। আগের একাধিকবার অপরাধ কর্মকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসে সোহান, তার স্বপ্ন ছিল বিয়ে করে স্ত্রীসহ যুক্তরাজ্যে যাবে, এ জন্য গত এক সপ্তাহ আগে পাঞ্জারাই গ্রামে বিয়ে করে। কিন্তু তার স্বপ্ন আর সত্যি হলো না।’ সোহানকে যারা প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোমান হোসেন বলেন, নিহত সোহানের বাসার সামনে নুরকাছ ও তার এক সহযোগীর মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সোহান ঘটনাস্থলে গিয়ে নুরকাছকে জানায় তার বাসার সামনে কোনো ধরনের ঝামেলা না করার জন্য, পাওনা টাকার আলাপ অন্যত্র গিয়ে করতে। এ ঘটনায় সোহানের ওপর ক্ষিপ্ত হয় নুরকাছ ও তার সহযোগীরা। একপর্যায়ে সোহানের ওপর তারা একত্রিতভাবে হামলা চালায়। এতে সোহান প্রথমে গুরুতর আহত ও পরবর্তীতে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে বিয়ের মেহেদির রং মোছার আগেই সোহানের চলে যাওয়ার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অধরাই রয়ে গেল সোহানের স্ত্রী নিয়ে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার স্বপ্ন। নববধূসহ পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করার অনুরোধের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন। তিনি এই বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপরাধকে লঘু করার কোনো...
১৩ দিন আগেধর্ষণের শিকার নারীর ছবি বা পরিচয় সংবাদ মাধ্যম কিংবা ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে কেউ প্রকাশ করলেই পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে আটক করতে পারবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারায় বর্ণিত এই অপরাধ আমলযোগ্য হওয়ায় জড়িত অভিযোগে কোনো ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে আটক করা যাবে।
২০ দিন আগেসাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫রাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫