এইচএসসির ফলাফল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ নিয়ে যা বললেন শিক্ষা উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৪, ২২: ০১
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৪, ২২: ২৩

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে এইচএসসি ও সমমানের বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিল করার সিদ্ধান্তকে ‘অনভিপ্রেত’ বলছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। এখন ফলাফল কোন পদ্ধতিতে নির্ধারণ করা হবে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান তিনি।

আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

চলতি বছরে স্থগিত এইচএসসির পরীক্ষাগুলো বাতিলের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘ (গত) কালকে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে। এ সম্পর্কে আমি এখনো চিন্তাও করিনি। আমার মাথায় এটা ঢুকছে না এখন। এটা নিয়ে আমি এককভাবে কিছু করব না। বোর্ডগুলো এক্সপার্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। এইচএসসির এবার অর্ধেক পরীক্ষা হয়ে গেছে, সব মিলিয়ে তারা কী করবেন তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন।’

এসব শিক্ষার্থীর পরবর্তী পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কীভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেবে, সেটা আমাদের আওতায় নেই। তবে তারা যদি ভর্তি পরীক্ষার জন্য আরও যাচাই–বাছাই করতে চায়, সে সুযোগ তো রয়ে গেছে। যেহেতু এইচএসসির বাকি পরীক্ষাগুলো হচ্ছে না।’

বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ প্রসঙ্গে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আগে যে সুবিধা ছিল, বিশেষ করে যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, তাদের শিক্ষকদের একটা সংগঠন থাকে। সেখান থেকে টেনে একজনকে ভিসি বানিয়ে দেওয়া হতো। আমাদের ক্ষেত্রে তো সেই সুযোগ পাচ্ছি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব শিক্ষককে আমরা চিনি, তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা, ব্যক্তিত্ব এবং প্রশাসনিক দক্ষতার দিক থেকে যারা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য— এ রকম শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করছি। যত দ্রুত সম্ভব আমরা প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়োগ দেব। প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একত্রে নিয়োগ দিয়ে দেব ভাবছি।’

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের বেসরকারি কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে রাজনীতিকরণ হয়েছিল। তাতে শিক্ষক নিয়োগে যে অনিয়ম হয়েছে, সেটা ছিল পুঞ্জীভূত অনিয়ম। অত্যন্ত অসংগত কারণে অনেককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এ রকম হাজার হাজার অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। এগুলো নীতিগত সিদ্ধান্ত ছাড়া তো ঠিক করা যাবে না। তবে কথা হচ্ছে, শিক্ষাঙ্গনে ভদ্রতা বজায় রাখতে হবে, বল প্রয়োগ করা যাবে না, ব্যক্তিগতভাবে অপমানিত করা যাবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত