৬ মেডিকেল কলেজে ভর্তি বন্ধ, দুটির নিবন্ধন বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯: ১৮
Thumbnail image

দেশের ছয়টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এবার এমবিবিএস প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রেখেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। এগুলোর মধ্যে দুটি মেডিকেল কলেজের নিবন্ধনই বাতিল করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা। 

আগামীকাল শুক্রবার সারা দেশে মেডিকেল ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে যে চারটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি স্থগিত রয়েছে সেগুলো হলো—আইচি মেডিকেল কলেজ, নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ধানমন্ডি, নর্দান প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ রংপুর, শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ রাজশাহী। নিবন্ধন বাতিল হওয়া কলেজ দুটি হলো-কেয়ার মেডিকেল কলেজ ও নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজ, আশুলিয়া। 

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. টিটো মিঞা বলেন, ‘মান সঠিকভাবে বজায় না থাকায় ৬টি মেডিকেল কলেজে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এদের মাঝে দুটি মেডিকেল কলেজের নিবন্ধন বাতিল ও চারটিতে ভর্তি স্থগিত রাখা হয়েছে।’ 

দেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৪৪টি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ৫ হাজার ৩৮০টি ও ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৬ হাজার ২৯৫টি আসন আছে। ১০৪টি কলেজের ১১ হাজার ৬৭৫টি আসনের জন্য ১ লাখ ৪ হাজার ৩৭৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস বা অন্য কোনো অসৎ কাজে শিক্ষার্থীরা বা তাঁদের অভিভাবকেরা যেন জড়িয়ে না পড়েন, সে জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তৎপর আছে।’ 

ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র যেন ফাঁস না হয় সেদিকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘মেডিকেল ভর্তিপ্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে। প্রশ্নপত্র বহনকরী প্রতিটি ট্রাঙ্কে এমন একটি যন্ত্র রাখা হয়েছে, তাতে বোঝা যাবে ট্রাঙ্কটি কোথায় আছে, কোন স্থান থেকে কোথায় যাচ্ছে।’ 

এ ছাড়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী উদ্দেশ্যে বলেন, ‘পরীক্ষা সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলবে বেলা ১১টা পর্যন্ত। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যেন নিজ নিজ কেন্দ্রে সকাল ৮টার মধ্যে পৌঁছে যান। সকাল সাড়ে ৯টার পর কোনো শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না। প্রবেশপত্র এবং বল পয়েন্ট কলম ছাড়া কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস কেন্দ্রের মধ্যে নেওয়া যাবে না। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর দেহ তল্লাশি করা হবে।’ 
 
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশীদ আলম, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. শারফুদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্যরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত