মো. সৈয়দুর রহমান
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বই পড়ার তাৎপর্যকে তুলে ধরার লক্ষ্যে ‘কেন্দ্রবিন্দু বিশ্ব বই দিবস-২০২৪’ উদ্যাপন করছে বিনা মূল্যে বই পড়ার প্ল্যাটফর্ম বই-বিহঙ্গ। ২৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় নান্দনিক কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ কর্তৃক সৃষ্ট বিভিন্ন চরিত্র নিয়ে ‘প্রিয় চরিত্রের কথোপকথন’ আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ‘কেন্দ্রবিন্দু বই-বিহঙ্গ বই দিবস-২০২৪’ উদ্যাপনের আনুষ্ঠানিকতা। দিবসটি উপলক্ষে নানান কর্মসূচি পালন করেছে বই-বিহঙ্গ।
২৪ এপ্রিল দুপুর তিনটায় বিশ্ব বই দিবসকে পাঠকপ্রেমীদের কাছে পৌঁছে দিতে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে বই-বিহঙ্গ। র্যালিটি বইয়ের গুরুত্ব বোঝাতে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে কলাভবন হয়ে ঘুরে বিজনেস ফ্যাকাল্টিতে পৌঁছায়।
র্যালি শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয় বই পড়ার গুরুত্ব বিষয়ক শীর্ষক একটি সেমিনার। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বই-বিহঙ্গের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক এবং বই বিহঙ্গের উপদেষ্টা ড. রেবেকা সুলতানা। বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন এবং ঢাকা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আয়েশা বেগম অনুষ্ঠানের অতিথি ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁরা উপস্থিত হতে না পারলেও আয়োজনের প্রতি শুভকামনা জানিয়েছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, ‘তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা যেভাবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বই বিহঙ্গের আয়োজনে উপস্থিত হয়েছে তা সত্যিই বিস্ময়কর। আলোকিত মানুষ গড়তে বই ও লাইব্রেরির গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি ভবিষ্যতেও বই বিহঙ্গের সকল আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পাশে থাকবে বলে জানান তিনি।’
অনুষ্ঠানের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে লাইব্রেরি গড়ে ওঠা প্রয়োজন। দেশব্যাপী বইয়ের আন্দোলন না গড়ে উঠলে জাতীয় উন্নতি সম্ভব নয়। তাই তরুণ প্রজন্মকে বই পড়ানোর মাধ্যমে জ্ঞানের সাগরে ভাসিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সৃষ্টির আহ্বান জানান তিনি।’
অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. রেবেকা সুলতানা বলেন, ‘বই পড়া থেকে দূরে থাকলে মানুষের অগ্রগতি থেমে যাবে, জ্ঞানের দরিদ্রতা সৃষ্টি হবে। সুন্দর সমাজ তৈরিতে বই-বিহঙ্গ যে অবদান রাখছে তার ভূয়সী প্রশংসার দাবি রাখে। ভবিষ্যতে এ ধরনের আয়োজন আরও করতে অনুপ্রাণিত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বই-বিহঙ্গের প্রতিষ্ঠাতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সজিব শিকদার। সজিব শিকদার বলেন, ‘বই দিবসকে নতুন করে দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেই এমন আয়োজন। পরবর্তী বছরগুলোতে জাতীয়ভাবে আরও বৃহৎ পরিসরে বই দিবস উদ্যাপনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।’ সংগঠনটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা মো. খশরু বলেন, ‘প্রতিনিয়ত আমরা নতুন কিছুর স্বপ্ন দেখি। আমাদের প্রত্যেক আয়োজন পূর্বের আয়োজনকে ছাড়িয়ে যাবে সে প্রত্যাশা করি। বই-বিহঙ্গের মাধ্যমে বাংলাদেশে বই দিবসের আয়োজনকে পৃথিবীব্যাপী পরিচিতি ও স্বীকৃতি এনে দিতে পারবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে দেশে বই-বিহঙ্গের আরও তিনটি শাখা—জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ এবং বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন বই-বিহঙ্গের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। বই-বিহঙ্গের আয়োজনে দেশের বিভিন্ন শাখায় একই সঙ্গে প্রিয় লেখককে চিঠি লেখা, পাঠচক্র, বিভিন্ন গল্প-উপন্যাসের ওপর কুইজ প্রতিযোগিতা, নীরব বই পাঠসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, পাশাপাশি প্রতিযোগীদের পুরস্কৃত করা হয়।
আয়োজনে উপস্থিত সকলের জন্য উপহার হিসেবে ছিল একটি বই ও হাতে লেখা চিঠি। পুরো আয়োজনের সহযোগী হিসেবে ছিল অনুজ প্রকাশনা, এশিয়া পাবলিকেশনস, এক্সিলেন্স বাংলাদেশ, আষাঢ় ও ইস্পাহানি। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল ‘আজকের পত্রিকা’ ও ‘ক্যাপিটাল রেডিও ৯৪.৮ ’।
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বই পড়ার তাৎপর্যকে তুলে ধরার লক্ষ্যে ‘কেন্দ্রবিন্দু বিশ্ব বই দিবস-২০২৪’ উদ্যাপন করছে বিনা মূল্যে বই পড়ার প্ল্যাটফর্ম বই-বিহঙ্গ। ২৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় নান্দনিক কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ কর্তৃক সৃষ্ট বিভিন্ন চরিত্র নিয়ে ‘প্রিয় চরিত্রের কথোপকথন’ আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ‘কেন্দ্রবিন্দু বই-বিহঙ্গ বই দিবস-২০২৪’ উদ্যাপনের আনুষ্ঠানিকতা। দিবসটি উপলক্ষে নানান কর্মসূচি পালন করেছে বই-বিহঙ্গ।
২৪ এপ্রিল দুপুর তিনটায় বিশ্ব বই দিবসকে পাঠকপ্রেমীদের কাছে পৌঁছে দিতে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে বই-বিহঙ্গ। র্যালিটি বইয়ের গুরুত্ব বোঝাতে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে কলাভবন হয়ে ঘুরে বিজনেস ফ্যাকাল্টিতে পৌঁছায়।
র্যালি শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয় বই পড়ার গুরুত্ব বিষয়ক শীর্ষক একটি সেমিনার। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বই-বিহঙ্গের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক এবং বই বিহঙ্গের উপদেষ্টা ড. রেবেকা সুলতানা। বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন এবং ঢাকা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আয়েশা বেগম অনুষ্ঠানের অতিথি ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁরা উপস্থিত হতে না পারলেও আয়োজনের প্রতি শুভকামনা জানিয়েছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, ‘তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা যেভাবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বই বিহঙ্গের আয়োজনে উপস্থিত হয়েছে তা সত্যিই বিস্ময়কর। আলোকিত মানুষ গড়তে বই ও লাইব্রেরির গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি ভবিষ্যতেও বই বিহঙ্গের সকল আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পাশে থাকবে বলে জানান তিনি।’
অনুষ্ঠানের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে লাইব্রেরি গড়ে ওঠা প্রয়োজন। দেশব্যাপী বইয়ের আন্দোলন না গড়ে উঠলে জাতীয় উন্নতি সম্ভব নয়। তাই তরুণ প্রজন্মকে বই পড়ানোর মাধ্যমে জ্ঞানের সাগরে ভাসিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সৃষ্টির আহ্বান জানান তিনি।’
অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. রেবেকা সুলতানা বলেন, ‘বই পড়া থেকে দূরে থাকলে মানুষের অগ্রগতি থেমে যাবে, জ্ঞানের দরিদ্রতা সৃষ্টি হবে। সুন্দর সমাজ তৈরিতে বই-বিহঙ্গ যে অবদান রাখছে তার ভূয়সী প্রশংসার দাবি রাখে। ভবিষ্যতে এ ধরনের আয়োজন আরও করতে অনুপ্রাণিত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বই-বিহঙ্গের প্রতিষ্ঠাতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সজিব শিকদার। সজিব শিকদার বলেন, ‘বই দিবসকে নতুন করে দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেই এমন আয়োজন। পরবর্তী বছরগুলোতে জাতীয়ভাবে আরও বৃহৎ পরিসরে বই দিবস উদ্যাপনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।’ সংগঠনটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা মো. খশরু বলেন, ‘প্রতিনিয়ত আমরা নতুন কিছুর স্বপ্ন দেখি। আমাদের প্রত্যেক আয়োজন পূর্বের আয়োজনকে ছাড়িয়ে যাবে সে প্রত্যাশা করি। বই-বিহঙ্গের মাধ্যমে বাংলাদেশে বই দিবসের আয়োজনকে পৃথিবীব্যাপী পরিচিতি ও স্বীকৃতি এনে দিতে পারবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে দেশে বই-বিহঙ্গের আরও তিনটি শাখা—জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ এবং বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন বই-বিহঙ্গের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। বই-বিহঙ্গের আয়োজনে দেশের বিভিন্ন শাখায় একই সঙ্গে প্রিয় লেখককে চিঠি লেখা, পাঠচক্র, বিভিন্ন গল্প-উপন্যাসের ওপর কুইজ প্রতিযোগিতা, নীরব বই পাঠসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, পাশাপাশি প্রতিযোগীদের পুরস্কৃত করা হয়।
আয়োজনে উপস্থিত সকলের জন্য উপহার হিসেবে ছিল একটি বই ও হাতে লেখা চিঠি। পুরো আয়োজনের সহযোগী হিসেবে ছিল অনুজ প্রকাশনা, এশিয়া পাবলিকেশনস, এক্সিলেন্স বাংলাদেশ, আষাঢ় ও ইস্পাহানি। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল ‘আজকের পত্রিকা’ ও ‘ক্যাপিটাল রেডিও ৯৪.৮ ’।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির তত্ত্বাবধানে আগামী ৭ ডিসেম্বর (শনিবার) ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্টের (আইসিপিসি) ঢাকা আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সাভারের ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটি ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা সম্মেলন কেন্দ্রে এই আয়োজন হবে
৪ ঘণ্টা আগেবইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠা যেন আমাদের নতুন পৃথিবীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়, অজানা অনুভূতিগুলোর কথা বলে এবং জীবনকে আরও গভীরভাবে বোঝার সুযোগ দেয়। এরই অংশ হিসেবে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম কলেজ শাখা পাঠকবন্ধুর উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে বই
৪ ঘণ্টা আগেবেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) অনলাইনে এমপিও আবেদন নিষ্পত্তির সময়সীমা নির্ধারণ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)
৭ ঘণ্টা আগে১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের মধ্যবর্তী শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে যাত্রা শুরু করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম এই বিশ্ববিদ্যালয় চার দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে গত ২২ নভেম্বর ৪৬ বছরে পদার্পণ করেছে
৭ ঘণ্টা আগে