জাবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি প্রস্তুতি

আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ৫৪তম আবর্তনের ভর্তি পরীক্ষা। ‘এ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফ মোহাম্মদ মাহিন

শিক্ষা ডেস্ক
Thumbnail image
ছবি: সংগৃহীত

গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজিভুক্ত (আইআইটি) ‘এ’ ইউনিটে ৭টি বিষয়ের ৪০০+ আসনের বিপরীতে লড়াই করবে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। এই ইউনিটে রয়েছে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই), পরিবেশবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, গণিত, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান, ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞানের মতো বিভাগ।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা তুলনামূলক আগে হয়। এই কম সময়ের মধ্যে সিলেবাস পুরােটা শেষ করা কিছুটা কঠিন। তবে আপনি যদি স্পেসিফিকভাবে পূর্বের প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করেন তাহলে সহজেই একটা রোডম্যাপ করে ফেলতে পারবেন। এই শেষ সময়ে সবচেয়ে বেশি ইফেকটিভ হবে আপনি যদি কিছু বিশেষ বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দেন এবং পরীক্ষার হলের কিছু সহজ টেকনিক আপনাকে বাকিদের থেকে এগিয়ে রাখতে সাহায্য করবে।

প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় আশার জায়গা হচ্ছে আগের বছরের প্রশ্নপত্র। প্রশ্নব্যাংক থেকে পরীক্ষার প্যাটার্ন, প্রশ্নের ধরন এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। প্রতিবছরই আগের বছরের প্রশ্ন কমন পড়তে দেখা যায়। এ ছাড়া বিগত বছরের প্রশ্ন প্র্যাকটিস করলে নিজের মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস বাড়বে। সবচেয়ে ইফেকটিভ এই শেষ মুহূর্তে হলো বিগত বছরের প্রশ্নের ওপর মক টেস্ট দিয়ে নিজেকে যাচাই করা এবং নিজের ভুলগুলো শেষ সময়ে ঠিক করে ফেলা।

মূল বইয়ের অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি

জাবিতে চান্স পাওয়ার মূলমন্ত্রই হলো অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি। বিশেষ করে কেমিস্ট্রি বিষয়ে হাজারী স্যারের চ্যাপ্টারের ভেতরের এমসিকিউ এবং চ্যাপ্টারের শেষের এমসিকিউ খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ফিজিকসের ইসহাক স্যারের বইয়ের এমসিকিউ বেশি কমন পড়ে। এরপরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো দাগানো বই। আপনারা চাইলে সহজেই biohaters এর ওয়েবসাইট থেকে দাগানো বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়ে নিতে পারেন।

ক্যালকুলেটর ছাড়া ম্যাথমেটিকস

ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষার একটা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ক্যালকুলেটর ছাড়া হিসাব করা। তবে আপনারা কিছু কৌশল করতে পারেন এ বিষয়ে। সবচেয়ে বড় কৌশল হলো অপশন টেস্ট। আরেকটি কথা আছে, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় আপনাকে সবচেয়ে এগিয়ে রাখবে যে আপনি কোনটা এড়িয়ে যেতে পারেন। এমন অনেক প্রশ্ন থাকবে, যেগুলো কেউই পারবেন না। ওগুলো দেওয়া হয় সময় নষ্ট করার জন্য। ওইগুলো যাঁরা এড়িয়ে যেতে পারবেন, ধরেই নেন তিনিই দাবার ঘোড়ার চাল ভালোভাবে দিতে সক্ষম হবেন। আপনাকে ওই প্রশ্নগুলো বাছাই করতে হবে সবার আগে এবং সেগুলো এড়িয়ে যেতে হবে।

কোনটা আগে উত্তর করব

আপনারা জানেন, ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষায় ফিজিকস, কেমিস্ট্রি, ম্যাথ ২২ নম্বর করে এবং বাংলা, ইংরেজি থাকে ৩ নম্বর করে ও আইসিটি থাকে ৮ নম্বর। আপনাদের উচিত সবচেয়ে ভালো যেটা পারেন সেটার উত্তর আগে দেওয়া। সে ক্ষেত্রে আপনারা যদি শুরুতেই ম্যাথ উত্তর করেন তাহলে সময় নিয়ে একটা সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই আমি বলব, আপনারা মুখস্থ টপিকগুলো আগে উত্তর করবেন। যেমন—বাংলা, ইংরেজি, আইসিটি, কেমিস্ট্রির পরে ফিজিকস এবং শেষে ম্যাথমেটিকস।

এই সিকোয়েন্সটা মেইনটেইন করলে পরীক্ষা হলে আশা করি একটু বাড়তি সুবিধা পাবেন। জাহাঙ্গীরনগরের পরীক্ষা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আপনার যদি বেসিক ক্লিয়ার থাকে এবং আপনি যদি একটু দক্ষতার সঙ্গে পড়াশোনা করেন, তাহলে আপনাকে কেউ আটকাতে পারবে না। পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতির সঙ্গে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে পরীক্ষা দিলে সফলতা আসবেই

ইনশা আল্লাহ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত