Ajker Patrika

ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি প্রস্তুতি

শাহ বিলিয়া জুলফিকার
Thumbnail image
ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল। ছবি: ফাইল ছবি

ক) বাংলা

বাংলা প্রথম পত্রের শব্দার্থ ও টিকা, লেখক পরিচিতি খুবই ভালো করে পড়তে হবে। পদ্যের ক্ষেত্রে কোন লাইনের পরে কোন লাইন আসে, সেটা মনে রাখতে হবে। কবিতার চরণগুলোর অর্থ বুঝে পড়ার চেষ্টা করা উচিত। ব্যাকরণের ক্ষেত্রে প্রথমে যে টপিকটা পড়বে, সেটার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ পড়ে এমসিকিউ প্র্যাকটিস করতে হবে। তখন যেসব ভুল যাবে, সেগুলো আবার ব্যাখ্যা দেখে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। এভাবে বারবার এমসিকিউ প্র্যাকটিস করতে হবে। বিরচন বারবার পড়ার কোনো বিকল্প নেই। প্রতিদিন নতুন পড়ার পাশাপাশি আগে যেগুলো পড়া হয়েছে, সেগুলো রিভিশন দিতে হবে।

খ) ইংরেজি

গ্রামারের জন্য প্রথমেই একদম কঠিন কিছু না পড়ে আগে বেসিক ঠিক করতে হবে। এই জন্য আগে Sentence Structure, Voice, Degree, Tense এগুলো দেখা উচিত। তারপর Phrase & Clause, Parts of Speech Identification & Classification পড়া উচিত। Grammatical Rules মুখস্থ না করে বুঝে পড়তে হবে এবং বারবার এমসিকিউ প্র্যাকটিস করতে হবে। English for Today থেকে ব্যবসায় শিক্ষার পরীক্ষায় প্রশ্ন হয়নি কখনো, সে জন্য বইয়ের গল্পগুলো পড়ার আলাদাভাবে কোনো প্রয়োজন নেই।

Vocabulary একসঙ্গে অনেক না পড়ে সাপ্তাহিক একটা রুটিন করে তারপর প্রতিদিন কিছু নতুন শব্দ পড়ার সঙ্গে আগেরগুলো দেখতে হবে। যেগুলো মনে রাখতে কষ্ট হবে, দাগিয়ে রেখে সেগুলো বারবার দেখতে হবে। Vocabulary পড়ার সময় নতুন কোনো শব্দ যার স্পেলিং কঠিন একই সঙ্গে দেখে রাখা ভালো। কারণ, বর্তমানে স্পেলিংও আসে। এ ছাড়া Phase & Idioms-ও ভালো করে Vocabulary এর মতো পড়তে হবে। Appropriate Preposition সব মুখস্থ না করে বাক্যগুলো বারবার রিডিং পড়লে বাক্যগুলোর সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করলে মনে রাখাটা সহজ হয়ে যাবে।

গ) হিসাববিজ্ঞান

ক্যালকুলেটর ছাড়া অঙ্ক করার প্র্যাকটিস প্রথম থেকেই করতে হবে। প্রথমে জাবেদার কনসেপ্ট ভালো করে বুঝতে হবে; বিশেষ করে সমন্বয় ও সংশোধনী জাবেদা। বড় নম্বরের পারসেন্টেজ বের করতে অনেকের সমস্যা হয়। এ জন্য যেকোনো সংখ্যার প্রথমে ১-১০% বের করে সেটা থেকে সহজে অন্য যেকোনো পারসেন্টেজ ক্যালকুলেটর ছাড়া সহজে বের করা যায়। নিয়মিত বিগত বছরে আসা এমসিকিউ প্র্যাকটিস করতে হবে। হিসাব সমীকরণ,

সমন্বয় জাবেদা, রেওয়ামিল, ব্যাংক সমন্বয় বিবরণী, হিসাববিজ্ঞানের নীতিমালা, অবচয়, ক্রয়-বিক্রয়সংক্রান্ত হিসাবনিকাশ—এই কনসেপ্টগুলো ভালো করে আয়ত্তে আনার চেষ্টা করবে।

ঘ) ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা

এই বিষয়ে খুব কম পড়েই ভালো করা যায়; কারণ, বেশির ভাগ পড়াই এইচএসসির সঙ্গে মিল রয়েছে। আবার বিগত বছরের প্রশ্ন সব সময় রিপিট হয় ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনায়। তাই বিগত বছরে যেকোনো পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো খুব ভালো করে পড়তে হবে। যেহেতু বর্ণনামূলক কোনো প্রশ্ন অ্যাডমিশন এক্সামে আসে না, তাই সংজ্ঞা মুখস্থ করার কোনো দরকার নেই। শিল্পের প্রকারভেদ, ব্যবসায় পরিবেশ, অংশীদারি ব্যবসায়, যৌথ মূলধনি ব্যবসায়, ব্যবস্থাপনার নীতি, পরিকল্পনা, সংগঠন, প্রেষণা—এই অধ্যায়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ঙ) ফিন্যান্স, ব্যাংকিং এবং বিমা বা উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন

নিজেকে মূল্যায়ন করতে হবে, কোন বিষয়ে ভালো মার্ক তোলা সম্ভব নিজের পক্ষে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, কেউ অঙ্কে দুর্বল হলে ফিন্যান্স না নেওয়াই ভালো। আবার কারও যদি এইচএসসিতে এর কোনোটা না থেকে থাকে, তবে অ্যাডমিশন টাইমে একদম নতুন করে সেটা না পড়াই ভালো। ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা নিলে বেশি বেশি অঙ্ক করতে হবে এবং বিষয়গুলোর বেসিক ঠিক করে পড়তে হবে। উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণনের ক্ষেত্রে ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনার মতো কোনো একটি চ্যাপ্টার পড়া শেষ হলে বেশি বেশি এমসিকিউ করতে হবে।

লিখিত প্রস্তুতি

বাংলা টু ইংলিশ এবং ইংরেজি টু বাংলা অনুবাদ পড়তে হবে। যেসব প্রবাদ রয়েছে, সেগুলো মুখস্থ করে ফেলা এবং কালের সঙ্গে অনুবাদের পরিবর্তন বুঝতে হবে। বাংলা বাক্য শুদ্ধীকরণের জন্য বানান ও বাক্যের গঠন ভালো করে দেখে উত্তর করতে হবে। ইংলিশ বাক্য শুদ্ধীকরণের জন্য গ্রামার বুঝে সেন্টেন্স স্ট্রাকচার ঠিক আছে কি না দেখতে হবে।

হিসাববিজ্ঞানের জন্য এমসিকিউ করার সময় অপশনগুলো ঢেকে করার চেষ্টা করলে একসঙ্গে লিখিতের প্রস্তুতিও হয়ে যাবে। ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা, ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা বা উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণনের জন্য এমন যেসব তথ্য আছে, যার একটি নির্দিষ্ট উত্তর রয়েছে, সেগুলো মুখস্থ করতে হবে। এ ছাড়া বিগত বছরের এমন ধরনের প্রশ্ন যেগুলো আগে এমসিকিউ হিসেবে এসেছিল, সেগুলোই লিখিত অংশে এসে থাকে।

গ্রন্থনা: শাহ বিলিয়া জুলফিকার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত