মো. আশিকুর রহমান
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তো বটেই, বিশেষ করে একাডেমিক এবং ক্যারিয়ার জীবনে প্রত্যাখ্যান বা ‘না’ শব্দটি আমাদের অনেক সময় হতাশার দিকে ঠেলে দেয়। কিন্তু যদি আমরা ‘না’কে একটি বাধা না ভেবে বরং পরবর্তী সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করি, তাহলে সেই প্রত্যাখ্যান আমাদের জীবনে নতুন দিগন্তের পথ দেখাতে পারে। তবে, ‘না মানে পরবর্তী সুযোগ’ (No means Next Opportunities) এ ধারণাটি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে সাহায্য করতে পারে।
পুনর্বিবেচনার সুযোগ
একাডেমিক জীবনে প্রত্যাখ্যানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কীভাবে আমরা সে পরিস্থিতি থেকে কিছু একটা শিখব। অনেক সময় আমরা নির্দিষ্ট একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারি না অথবা কোনো পরীক্ষায় খারাপ ফলাফল করি; কিন্তু এই ‘না’ আমাদের সামনে নতুন সুযোগ এনে দিতে পারে। প্রতিটি ‘না’ আমাদের শেখায়, কীভাবে নিজেদের পরবর্তী পদক্ষেপ পরিবর্তন করে আরও উন্নতি করা যায়।
ধরা যাক, কোনো শিক্ষার্থী কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেননি। হতাশার পরিবর্তে তিনি যদি নিজেকে প্রশ্ন করেন, ‘আমি কেন এখানে ভর্তি হতে পারলাম না?’ তখন তিনি তার প্রস্তুতি এবং পদ্ধতি পুনর্বিবেচনা করার নতুন সুযোগ পাবেন। তা ছাড়া, এই ‘না’ তাঁকে অন্য বিকল্প বিশ্ববিদ্যালয় বা অনলাইন কোর্সের মতো অন্য শিক্ষার সুযোগের দিকে মনোযোগ দিতে উৎসাহিত করবে, যা তাঁর একাডেমিক উন্নতির জন্য আরও ভালো সুযোগ হতে পারে।
নতুন দিগন্তের দিকে এগোনো
ক্যারিয়ার জীবনে যখন কোনো বড় সুযোগ হারিয়ে যায়, তখন অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েন। তখন তাঁরা মনে করেন, তাঁদের আর কোনো সুযোগ নেই। চাকরির ইন্টারভিউতে ‘না’ শুনলে বা প্রমোশন না পেলে অনেকেই ভাবেন, তাঁরা ক্যারিয়ারে আর কিছুই অর্জন করতে পারবেন না। তবে, ‘না’ শব্দটি শুধু ব্যর্থতা নয়; বরং এটি আমাদের আরও শক্তিশালী এবং প্রস্তুত করে তোলার সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে।
ক্যারিয়ারে ‘না’ আমাদের আত্মবিশ্বাসের একটি বড় পরীক্ষাও হতে পারে। যখন আমরা একটি চাকরির জন্য আবেদন করি এবং তা না পাই, তখন এটি আমাদের সামনে নতুন সুযোগ খুঁজে বের করার এক অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়ায়। প্রথমবারের মতো না পেলে, আমাদের আত্মবিশ্বাসে ভাটা পড়তে পারে। কিন্তু দ্বিতীয় বা তৃতীয় সুযোগের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আবার চেষ্টা করা আমাদের দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে তোলে।
ব্যক্তিগত উন্নতি এবং দৃঢ়তা
একাডেমিক এবং ক্যারিয়ার জীবনে যখন আমাদের সামনে ‘না’ আসে, তখন তা আমাদের ব্যক্তিগতভাবে আরও দৃঢ় এবং শক্তিশালী হতে সাহায্য করে। প্রত্যাখ্যানের সময় আমরা অনেক সময় নিজের অক্ষমতাকে বা ব্যর্থতাকে দেখতে পাই। তবে যদি আমরা সে মুহূর্তটিকে আমাদের শক্তি হিসেবে ব্যবহার করি, তাহলে এটি আমাদের জীবনের অন্যতম বড় শিক্ষায় পরিণত হতে পারে।
দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন
‘না মানে পরবর্তী সুযোগ’—এ দর্শনটি আমাদের মানসিকতাকে বদলাতে সাহায্য করে। অধিকাংশ সময়, আমরা যদি ‘না’ শব্দটিকে ব্যর্থতা হিসেবে দেখি, তবে তা আমাদের আত্মবিশ্বাসে ভাটা
পড়তে পারে। কিন্তু যদি আমরা
এটি নতুন সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করি, তাহলে এটি আমাদের জীবনের পরবর্তী সাফল্যের দিকে পরিচালিত করতে পারে। একটি বড় সুযোগ না পাওয়া মানে কিন্তু কখনই এটি শেষ নয়। এর পরিবর্তে ‘না’ আমাদেরকে আরও বেশি কঠোর পরিশ্রম করতে এবং নিজেদের আরও ভালোভাবে প্রস্তুত করতে সাহায্য করে।
নেটওয়ার্কিং এবং সম্পর্ক গঠন
একাডেমিক এবং ক্যারিয়ার জীবনে যখন কোনো সুযোগ হারিয়ে যায়, তখন এটি আমাদের নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগও সৃষ্টি করে দেয়। চাকরি বা শিক্ষায় ‘না’ শোনার পর, আমাদের নতুন সুযোগ খুঁজে বের করতে এবং অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে আরও বেশি মনোযোগী করে তোলে।
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তো বটেই, বিশেষ করে একাডেমিক এবং ক্যারিয়ার জীবনে প্রত্যাখ্যান বা ‘না’ শব্দটি আমাদের অনেক সময় হতাশার দিকে ঠেলে দেয়। কিন্তু যদি আমরা ‘না’কে একটি বাধা না ভেবে বরং পরবর্তী সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করি, তাহলে সেই প্রত্যাখ্যান আমাদের জীবনে নতুন দিগন্তের পথ দেখাতে পারে। তবে, ‘না মানে পরবর্তী সুযোগ’ (No means Next Opportunities) এ ধারণাটি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে সাহায্য করতে পারে।
পুনর্বিবেচনার সুযোগ
একাডেমিক জীবনে প্রত্যাখ্যানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কীভাবে আমরা সে পরিস্থিতি থেকে কিছু একটা শিখব। অনেক সময় আমরা নির্দিষ্ট একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারি না অথবা কোনো পরীক্ষায় খারাপ ফলাফল করি; কিন্তু এই ‘না’ আমাদের সামনে নতুন সুযোগ এনে দিতে পারে। প্রতিটি ‘না’ আমাদের শেখায়, কীভাবে নিজেদের পরবর্তী পদক্ষেপ পরিবর্তন করে আরও উন্নতি করা যায়।
ধরা যাক, কোনো শিক্ষার্থী কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেননি। হতাশার পরিবর্তে তিনি যদি নিজেকে প্রশ্ন করেন, ‘আমি কেন এখানে ভর্তি হতে পারলাম না?’ তখন তিনি তার প্রস্তুতি এবং পদ্ধতি পুনর্বিবেচনা করার নতুন সুযোগ পাবেন। তা ছাড়া, এই ‘না’ তাঁকে অন্য বিকল্প বিশ্ববিদ্যালয় বা অনলাইন কোর্সের মতো অন্য শিক্ষার সুযোগের দিকে মনোযোগ দিতে উৎসাহিত করবে, যা তাঁর একাডেমিক উন্নতির জন্য আরও ভালো সুযোগ হতে পারে।
নতুন দিগন্তের দিকে এগোনো
ক্যারিয়ার জীবনে যখন কোনো বড় সুযোগ হারিয়ে যায়, তখন অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েন। তখন তাঁরা মনে করেন, তাঁদের আর কোনো সুযোগ নেই। চাকরির ইন্টারভিউতে ‘না’ শুনলে বা প্রমোশন না পেলে অনেকেই ভাবেন, তাঁরা ক্যারিয়ারে আর কিছুই অর্জন করতে পারবেন না। তবে, ‘না’ শব্দটি শুধু ব্যর্থতা নয়; বরং এটি আমাদের আরও শক্তিশালী এবং প্রস্তুত করে তোলার সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে।
ক্যারিয়ারে ‘না’ আমাদের আত্মবিশ্বাসের একটি বড় পরীক্ষাও হতে পারে। যখন আমরা একটি চাকরির জন্য আবেদন করি এবং তা না পাই, তখন এটি আমাদের সামনে নতুন সুযোগ খুঁজে বের করার এক অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়ায়। প্রথমবারের মতো না পেলে, আমাদের আত্মবিশ্বাসে ভাটা পড়তে পারে। কিন্তু দ্বিতীয় বা তৃতীয় সুযোগের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আবার চেষ্টা করা আমাদের দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে তোলে।
ব্যক্তিগত উন্নতি এবং দৃঢ়তা
একাডেমিক এবং ক্যারিয়ার জীবনে যখন আমাদের সামনে ‘না’ আসে, তখন তা আমাদের ব্যক্তিগতভাবে আরও দৃঢ় এবং শক্তিশালী হতে সাহায্য করে। প্রত্যাখ্যানের সময় আমরা অনেক সময় নিজের অক্ষমতাকে বা ব্যর্থতাকে দেখতে পাই। তবে যদি আমরা সে মুহূর্তটিকে আমাদের শক্তি হিসেবে ব্যবহার করি, তাহলে এটি আমাদের জীবনের অন্যতম বড় শিক্ষায় পরিণত হতে পারে।
দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন
‘না মানে পরবর্তী সুযোগ’—এ দর্শনটি আমাদের মানসিকতাকে বদলাতে সাহায্য করে। অধিকাংশ সময়, আমরা যদি ‘না’ শব্দটিকে ব্যর্থতা হিসেবে দেখি, তবে তা আমাদের আত্মবিশ্বাসে ভাটা
পড়তে পারে। কিন্তু যদি আমরা
এটি নতুন সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করি, তাহলে এটি আমাদের জীবনের পরবর্তী সাফল্যের দিকে পরিচালিত করতে পারে। একটি বড় সুযোগ না পাওয়া মানে কিন্তু কখনই এটি শেষ নয়। এর পরিবর্তে ‘না’ আমাদেরকে আরও বেশি কঠোর পরিশ্রম করতে এবং নিজেদের আরও ভালোভাবে প্রস্তুত করতে সাহায্য করে।
নেটওয়ার্কিং এবং সম্পর্ক গঠন
একাডেমিক এবং ক্যারিয়ার জীবনে যখন কোনো সুযোগ হারিয়ে যায়, তখন এটি আমাদের নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগও সৃষ্টি করে দেয়। চাকরি বা শিক্ষায় ‘না’ শোনার পর, আমাদের নতুন সুযোগ খুঁজে বের করতে এবং অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে আরও বেশি মনোযোগী করে তোলে।
অনেকে মনে করেন, জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রস্তুতির সময়। কারণ, সামনের চার-পাঁচ বছর বা আরও বেশি সময়ের পড়ালেখার বিষয় নিশ্চিত করতে হয় এই সময়ে। তাই প্রথমে নির্ধারণ করুন—কী করতে চান, কী নিয়ে এগোতে চান এবং পাঁচ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান। এভাবে লক্ষ্য ঠিক করুন।
১০ ঘণ্টা আগেএতক্ষণ প্রশ্নপত্র দেখেছেন, বিশ্লেষণ করেছেন এবং সম্ভাব্য উত্তর ধরে নিয়েছেন। এখন রেকর্ডিং শোনার পালা। এবার রেকর্ডিং শুনে প্রশ্নপত্রের ওপর নোট নিতে থাকুন। যেহেতু সম্ভাব্য উত্তর কী হবে তা আগে থেকে জানেন, তাই সঠিক উত্তর ধরতে পারা সহজ হবে। তবে যতটা সম্ভব নোট নিতে থাকুন। প্রয়োজন না হলে বাদ দেওয়া যাবে...
১০ ঘণ্টা আগেচীনে ইউইএসটিসি চায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ ২০২৫-২৬-এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ বৃত্তি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির ইলেকট্রনিক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের...
১০ ঘণ্টা আগেদেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ১৯টি কেন্দ্রের একাধিক ভেন্যুতে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগে