শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৩, ১৬: ৪১
Thumbnail image

করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্য, বাড়িভাড়া, শিক্ষাব্যয়সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ বাড়ছে। এমন অবস্থায় শঙ্কায় দিন কাটছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। এই প্রেক্ষাপটে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের বিকল্প নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর প্রেসক্লাবে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে তারা। একই সঙ্গে এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিন মাসব্যপী কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিলকিস জামান বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ, শিক্ষকদের পূর্ণাঙ্গ বাড়িভাড়া, উৎসব ভাতা ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেলের অনুরূপ বেতন স্কেল নির্ধারণ, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে আর্থিক সুবিধা প্রদানের পরিবর্তে পূর্ণাঙ্গ পেনশন চালু করতে হবে।

বিলকিস জামান আরও জানান, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজশিক্ষকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনুপাত প্রথা বাতিল ও প্রভাষকদের ‘জ্যেষ্ঠ প্রভাষক’ নামকরণের পরিবর্তে আগের ‘সহকারী অধ্যাপক’ পদ বহাল রাখা, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষদের দুটি উচ্চতর গ্রেড প্রদান এবং বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সব পদের নিয়োগ এনটিআরসির মাধ্যমে ব্যবস্থাকরণের দাবি জানান তিনি। 

সংবাদ সম্মেলনে সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তিন মাসব্যাপী কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ৩০ মার্চ সারা দেশে জেলা সদরে মানববন্ধন, ৬ এপ্রিল সারা দেশে জেলা সদরে শিক্ষক-কর্মচারী সমাবেশ ও সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান এবং ৬ মে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষক-কর্মচারী সমাবেশের ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা। 

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি এম এ আউয়াল সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন অধ্যক্ষ সমরেন্দ্রনাথ রায় সমর, অধ্যাপক মো. ফজলুল হক খান, অধ্যাপক মধুসুদন বাগচী, অধ্যাপক বিপ্লব কুমার সেন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত