Ajker Patrika

কলেজের ছাদবাগানে

সায়েক সজীব, নারায়ণগঞ্জ
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭: ৫২
কলেজের ছাদবাগানে

একসময় শিক্ষার্থীরা বলত, তাদের স্কুলটি মরুভূমির মাঝে! কিন্তু এক বছরের মাথায় সেই চিত্র বদলে গেছে। এখন দূর থেকে চোখ আটকে যায় স্কুলের ছাদবাগানে। কাছে গেলে তো আর কথাই নেই! স্কুলের ছাদে অনেক টবে নানা প্রজাতির দেশি-বিদেশি গাছ আর ফুল ও ফলের সমারোহ। না দেখলে কেউ বিশ্বাসই করবে না যে স্কুলের ছাদে গড়ে তোলা বাগান কতটা সুন্দর হতে পারে। বলছি জলসিঁড়ি ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজের ছাদবাগানের কথা। এটি এখন এক মায়ার রাজ্য। ঢাকার পূর্বাচলে জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্প এলাকায় ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়।

মূলত কাছাকাছি জনবসতি না থাকার কারণে এমন মন্তব্য ছিল শিক্ষার্থীদের। সেই মরুর বুকে মরূদ্যান এখন সহজেই চোখে পড়ে। আর সেই কারণে জলসিঁড়ি ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ এখন পূর্বাচলে সবার নজর কাড়ছে।

ছাদবাগান তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মেজর মোহাম্মাদ আনিসুজ্জামান। স্কুলের বিশাল ছাদ ফেলে না রেখে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, তাঁর সে ভাবনার ফল আজকের ফুলে-ফলে সেজে ওঠা বাগানটি। পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি কর্নেল শাহজাদ পারভেজ মহিউদ্দিনের নেতৃত্ব ছাদবাগানটিকে পূর্ণতা দিয়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ, অভিভাবক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এই ছাদবাগান দেখতে আসেন। দেখার পর তাঁদের চোখমুখে লেগে থাকে মুগ্ধতা।

ছবি: লেখকশুধু ছাদবাগানে বিভিন্ন প্রজাতির নয়নাভিরাম ফুল ফোটানোই নয়, এই প্রতিষ্ঠানের সব শ্রেণির নামকরণ হয়েছে ফুলের নামে। বাগান যেন শুধু বাগান হয়েই না থাকে, শিক্ষার্থীদের উপভোগের জায়গায়ও পরিণত হয়, সে জন্য ছাদবাগানে বসানো হয়েছে একটি দোলনা। সেখানে শিক্ষার্থীরা দোল খায়। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শাখার শিক্ষার্থীরা তাদের ব্যবহারিক ক্লাসের জন্যও ব্যবহার করে ছাদবাগানটি।  
কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ খান বলে, ‘আমাদের ছাদবাগানটা আসলেই চমৎকার। তা ছাড়া ব্যবহারিক ক্লাসের ক্ষেত্রেও অনেক উপকারী এটি।’

ছবি: লেখককলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক কামরুজ্জামান সরদার বলেন, ‘আমাদের ছাদবাগান কলেজের সৌন্দর্য বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে শেষ বিকেলে এটি আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।’

অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ মেজর আনিসুজ্জামান বলেন, ‘আমি হয়তো কিছুদিন পরেই বদলি হয়ে অন্য জায়গায় চলে যাব। কিন্তু স্কুলের ছাদবাগানটা সবার জন্য থেকে যাবে। তখন মাঝে মাঝে আমি হয়তো এখানে বেড়াতে আসব স্কুল আর এই ছাদবাগানটা দেখতে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত