২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাংলাদেশের সবচেয়ে গৌরবের দিন, দীর্ঘ পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীন পথে ঘুরে দাঁড়ানোর দিন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। এরপর শুরু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। মহান স্বাধীনতা দিবসে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন তাঁদের ভাবনা ও প্রত্যাশার কথা।
স্বাধীনতা হোক সবার জন্য
স্বাধীনতা মানে অন্যের ক্ষতির কারণ না হওয়া। স্বাধীনতা মানে শুধু নিজেকে নিয়ে না ভাবা; বরং স্বাধীনতা মানে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে মুক্ত পৃথিবীতে আনন্দ নিয়ে বাঁচতে চাওয়া। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিজের জীবন নিয়ে যেসব সাধারণ মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, তাঁদের কী তাড়িয়ে বেড়াত? তাঁরা কি শুধু ভেবেছিলেন নিজের স্বার্থ? একদিন সকালে স্বাধীন দেশের সূর্যটা উঠবে, এটাই তো ছিল তাঁদের স্বপ্ন। সূর্যটা তো উঠেছিল সবার জন্যই। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ব্যক্তিগত প্রাপ্তির চেয়ে অনেক বড় অর্জন হলো একটি দেশ। এই দেশকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। তাই স্বাধীনতা দিবসে নাম না জানা অসংখ্য যোদ্ধাদের স্মরণ করার পাশাপাশি আশা ব্যক্ত করি এমন বাংলাদেশের, যে বাংলাদেশে স্বাধীনতা হবে সবার জন্য। সবাই একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়াই হবে স্বাধীনতার আসল অর্থ।
জুবায়ের ইবনে কামাল
শিক্ষার্থী, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ভুলে অপসংস্কৃতির চর্চা বন্ধ হোক
৫৩ বছর হলো দেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার সোনালি রোদের বিপরীতে ঘনকালো মেঘের ছায়া এখনো স্পষ্ট নানা খাতে। এখন পর্যন্ত দুর্নীতি রোধে কার্যকর কোনো ভূমিকা নেই, লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা বা কাঠামো গড়ে ওঠেনি আজও। ফলস্বরূপ বেকারত্ব, বাস্তবমুখী ও কারিগরি জ্ঞানের অভাবসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশ। বর্তমানে দেশে বেকার জনসংখ্যা প্রায় ২৪ লাখ। পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে বিশ্বায়নের ভয়াল থাবায় যুবসমাজের অধঃপতন। কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি কিংবা স্বাধীনতা তথা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ভুলে অপসংস্কৃতির চর্চা করা অশনিসংকেত দিচ্ছে ক্রমাগত। তাই পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের একত্র হয়ে স্বাধীনতার সুফল সর্বস্তরে পেতে বুদ্ধিবৃত্তিক মেধা ও আত্মপরিচয়কে জাগ্রত করে সোনার বাংলা গঠনে কাজ করা উচিত।
মো. সৈয়দুর রহমান,
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
স্বাধীনতাহীনতায় কেউ বাঁচতে চায় না
১৯৭১ সালের এই দিনে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়ে বাঙালি জাতি স্বাধীন যাত্রা শুরু করে। স্বাধীন দেশের, স্বাধীন বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবের দিন, দীর্ঘ পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীন পথে ঘুরে দাঁড়ানোর দিন। স্বাধীনতাহীনতায় কেউ বাঁচতে চায় না। স্বাধীনতা মানে আত্মমর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকা। সব ধরনের অনাচার, বৈষম্য, শোষণ ও নির্যাতন থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে বাঁচা। স্বাধীনতার চেয়ে সুখ আর কিছু হতে পারে না। আর আমরা বাঙালিরা বিজয় এবং স্বাধীনতা দুটোই পেয়েছি। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন বাঙালি জাতি আমরা। স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে স্বাধীন বাংলাদেশ বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশের গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। সামনে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে স্বাধীন বাংলাদেশ, স্বাধীন বাঙালি জাতির এমনটাই প্রত্যাশা।
তারানা তানজিনা মিতু
শিক্ষার্থী, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম।
শিশুর কল্পনা যাতে দেয়ালে আটকে না যায়
স্বাধীনতা হলো একটি সাদা শুভ্র পাখির মতো। মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়ায়, এক বন থেকে আরেক বনে যায়। গলা ছেড়ে নিজের মতো করে গান গায়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে পড়ে আহারের সন্ধানে। সন্ধ্যার আকাশে বেলা গড়িয়ে পড়লে, সে আবার নিজের ঘরে ফিরে আসে।
মানুষও স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে পছন্দ করে। তাই বলে স্বাধীনতা বলতে যা খুশি, তা-ই করা নয়। নিজের কার্যক্রম দ্বারা চারপাশের কোনো কিছুর স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হলে তাকে স্বাধীনতা বলে না। মানুষ হিসেবে এই উপলব্ধিটুকু থাকা অত্যন্ত জরুরি। খাঁচায় বন্দী পাখি হঠাৎ ছাড়া পেলে, সে পাখিই কেবল জানে, মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়ানোর স্বাদ কেমন হয়! শিশুকে মুক্ত পাখির মতো স্বাদ নিতে দেওয়ার পাশাপাশি তাকে কল্পনা করতে দিতে হবে। একটি নিরাপদ, স্বাধীন ও সমৃদ্ধশীল আবাসযোগ্য পৃথিবীর জন্য শিশুর কল্পনা যাতে দেয়ালে আটকে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
মো. খশরু আহসান,
শিক্ষার্থী, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়
স্বাধীনতার যেন দাম রাখতে পারি
১৯৭১ সালে বাংলার দামাল ছেলেরা, যারা ঘুড়ি ওড়ানোর বয়সে হাতে তুলে নিয়েছিল অস্ত্র শুধু দেশের জন্য, রুখে দাঁড়িয়েছিল পৃথিবীর অন্যতম সুসজ্জিত সেনা বহরের সামনে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ এক মহানায়ক, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন স্বাধীনতার, নিঃসন্দেহে স্বাধীনতা ঘোষণার দিনটি যেকোনো জাতির জন্য আনন্দের দিন, কিন্তু আমাদের দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে সেই স্বাধীনতার দিনটিকে বাস্তবে অর্জন করতে হয়েছিল, এ জন্য আমরা পালন করি বিজয় দিবস, যা পৃথিবীর খুব কম দেশেই আছে। আমাদের এত কষ্টে পাওয়া স্বাধীনতার দাম যেন রাখতে পারি, এগিয়ে যেতে পারি দৃঢ় প্রত্যয়ে, বঙ্গবন্ধু এবং অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনায় নিজেদের সমৃদ্ধ করতে পারি, সেই প্রত্যাশাই আজকের এই দিনে।
রাদিয়া শানজান ইশমা,
শিক্ষার্থী, কুমুদিনী সরকারি কলেজ, টাঙ্গাইল
সোনার বাংলাদেশ তৈরি হোক
১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যে পরিপ্রেক্ষিত তৈরি হয়, তা হঠাৎ করে আসেনি। এই জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেওয়া ‘মুজিব’ নামের এক মহিরুহ। হাজার বছর ধরে পরাধীন-পর্যুদস্ত যে জাতি আধমরা থেকে পুরো মরায় পরিণত হচ্ছিল ক্রমশ; বজ্র হুংকারে শুধু নয়, আদরে-সোহাগে প্রাণের প্রবাহে স্পন্দন তুলে তিনি একটি বিন্দুতে এনে দাঁড় করিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু সব সময় বলতেন, ‘সোনার দেশ গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই।’ কথাটি অর্ধশত বছর পরেও এখনো সমানভাবে প্রাসঙ্গিক; স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সোনার মানুষ প্রয়োজন, যে বাংলাদেশ শিল্প-বাণিজ্য, অর্থনীতি, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, উদ্ভাবনসহ সব খাতেই হবে যথেষ্ট ভারসাম্যপূর্ণ ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় সক্ষম। আমাদের দেশে কোটি কোটি সোনার মানুষ তৈরি হোক। সোনার বাংলাদেশ তৈরি হোক, স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি হোক।
মো. আশিকুর রহমান
শিক্ষার্থী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাংলাদেশের সবচেয়ে গৌরবের দিন, দীর্ঘ পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীন পথে ঘুরে দাঁড়ানোর দিন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। এরপর শুরু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। মহান স্বাধীনতা দিবসে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন তাঁদের ভাবনা ও প্রত্যাশার কথা।
স্বাধীনতা হোক সবার জন্য
স্বাধীনতা মানে অন্যের ক্ষতির কারণ না হওয়া। স্বাধীনতা মানে শুধু নিজেকে নিয়ে না ভাবা; বরং স্বাধীনতা মানে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে মুক্ত পৃথিবীতে আনন্দ নিয়ে বাঁচতে চাওয়া। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিজের জীবন নিয়ে যেসব সাধারণ মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, তাঁদের কী তাড়িয়ে বেড়াত? তাঁরা কি শুধু ভেবেছিলেন নিজের স্বার্থ? একদিন সকালে স্বাধীন দেশের সূর্যটা উঠবে, এটাই তো ছিল তাঁদের স্বপ্ন। সূর্যটা তো উঠেছিল সবার জন্যই। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ব্যক্তিগত প্রাপ্তির চেয়ে অনেক বড় অর্জন হলো একটি দেশ। এই দেশকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। তাই স্বাধীনতা দিবসে নাম না জানা অসংখ্য যোদ্ধাদের স্মরণ করার পাশাপাশি আশা ব্যক্ত করি এমন বাংলাদেশের, যে বাংলাদেশে স্বাধীনতা হবে সবার জন্য। সবাই একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়াই হবে স্বাধীনতার আসল অর্থ।
জুবায়ের ইবনে কামাল
শিক্ষার্থী, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ভুলে অপসংস্কৃতির চর্চা বন্ধ হোক
৫৩ বছর হলো দেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার সোনালি রোদের বিপরীতে ঘনকালো মেঘের ছায়া এখনো স্পষ্ট নানা খাতে। এখন পর্যন্ত দুর্নীতি রোধে কার্যকর কোনো ভূমিকা নেই, লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা বা কাঠামো গড়ে ওঠেনি আজও। ফলস্বরূপ বেকারত্ব, বাস্তবমুখী ও কারিগরি জ্ঞানের অভাবসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশ। বর্তমানে দেশে বেকার জনসংখ্যা প্রায় ২৪ লাখ। পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে বিশ্বায়নের ভয়াল থাবায় যুবসমাজের অধঃপতন। কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি কিংবা স্বাধীনতা তথা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ভুলে অপসংস্কৃতির চর্চা করা অশনিসংকেত দিচ্ছে ক্রমাগত। তাই পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের একত্র হয়ে স্বাধীনতার সুফল সর্বস্তরে পেতে বুদ্ধিবৃত্তিক মেধা ও আত্মপরিচয়কে জাগ্রত করে সোনার বাংলা গঠনে কাজ করা উচিত।
মো. সৈয়দুর রহমান,
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
স্বাধীনতাহীনতায় কেউ বাঁচতে চায় না
১৯৭১ সালের এই দিনে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়ে বাঙালি জাতি স্বাধীন যাত্রা শুরু করে। স্বাধীন দেশের, স্বাধীন বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবের দিন, দীর্ঘ পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীন পথে ঘুরে দাঁড়ানোর দিন। স্বাধীনতাহীনতায় কেউ বাঁচতে চায় না। স্বাধীনতা মানে আত্মমর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকা। সব ধরনের অনাচার, বৈষম্য, শোষণ ও নির্যাতন থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে বাঁচা। স্বাধীনতার চেয়ে সুখ আর কিছু হতে পারে না। আর আমরা বাঙালিরা বিজয় এবং স্বাধীনতা দুটোই পেয়েছি। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন বাঙালি জাতি আমরা। স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে স্বাধীন বাংলাদেশ বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশের গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। সামনে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে স্বাধীন বাংলাদেশ, স্বাধীন বাঙালি জাতির এমনটাই প্রত্যাশা।
তারানা তানজিনা মিতু
শিক্ষার্থী, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম।
শিশুর কল্পনা যাতে দেয়ালে আটকে না যায়
স্বাধীনতা হলো একটি সাদা শুভ্র পাখির মতো। মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়ায়, এক বন থেকে আরেক বনে যায়। গলা ছেড়ে নিজের মতো করে গান গায়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে পড়ে আহারের সন্ধানে। সন্ধ্যার আকাশে বেলা গড়িয়ে পড়লে, সে আবার নিজের ঘরে ফিরে আসে।
মানুষও স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে পছন্দ করে। তাই বলে স্বাধীনতা বলতে যা খুশি, তা-ই করা নয়। নিজের কার্যক্রম দ্বারা চারপাশের কোনো কিছুর স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হলে তাকে স্বাধীনতা বলে না। মানুষ হিসেবে এই উপলব্ধিটুকু থাকা অত্যন্ত জরুরি। খাঁচায় বন্দী পাখি হঠাৎ ছাড়া পেলে, সে পাখিই কেবল জানে, মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়ানোর স্বাদ কেমন হয়! শিশুকে মুক্ত পাখির মতো স্বাদ নিতে দেওয়ার পাশাপাশি তাকে কল্পনা করতে দিতে হবে। একটি নিরাপদ, স্বাধীন ও সমৃদ্ধশীল আবাসযোগ্য পৃথিবীর জন্য শিশুর কল্পনা যাতে দেয়ালে আটকে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
মো. খশরু আহসান,
শিক্ষার্থী, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়
স্বাধীনতার যেন দাম রাখতে পারি
১৯৭১ সালে বাংলার দামাল ছেলেরা, যারা ঘুড়ি ওড়ানোর বয়সে হাতে তুলে নিয়েছিল অস্ত্র শুধু দেশের জন্য, রুখে দাঁড়িয়েছিল পৃথিবীর অন্যতম সুসজ্জিত সেনা বহরের সামনে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ এক মহানায়ক, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন স্বাধীনতার, নিঃসন্দেহে স্বাধীনতা ঘোষণার দিনটি যেকোনো জাতির জন্য আনন্দের দিন, কিন্তু আমাদের দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে সেই স্বাধীনতার দিনটিকে বাস্তবে অর্জন করতে হয়েছিল, এ জন্য আমরা পালন করি বিজয় দিবস, যা পৃথিবীর খুব কম দেশেই আছে। আমাদের এত কষ্টে পাওয়া স্বাধীনতার দাম যেন রাখতে পারি, এগিয়ে যেতে পারি দৃঢ় প্রত্যয়ে, বঙ্গবন্ধু এবং অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনায় নিজেদের সমৃদ্ধ করতে পারি, সেই প্রত্যাশাই আজকের এই দিনে।
রাদিয়া শানজান ইশমা,
শিক্ষার্থী, কুমুদিনী সরকারি কলেজ, টাঙ্গাইল
সোনার বাংলাদেশ তৈরি হোক
১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যে পরিপ্রেক্ষিত তৈরি হয়, তা হঠাৎ করে আসেনি। এই জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেওয়া ‘মুজিব’ নামের এক মহিরুহ। হাজার বছর ধরে পরাধীন-পর্যুদস্ত যে জাতি আধমরা থেকে পুরো মরায় পরিণত হচ্ছিল ক্রমশ; বজ্র হুংকারে শুধু নয়, আদরে-সোহাগে প্রাণের প্রবাহে স্পন্দন তুলে তিনি একটি বিন্দুতে এনে দাঁড় করিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু সব সময় বলতেন, ‘সোনার দেশ গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই।’ কথাটি অর্ধশত বছর পরেও এখনো সমানভাবে প্রাসঙ্গিক; স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সোনার মানুষ প্রয়োজন, যে বাংলাদেশ শিল্প-বাণিজ্য, অর্থনীতি, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, উদ্ভাবনসহ সব খাতেই হবে যথেষ্ট ভারসাম্যপূর্ণ ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় সক্ষম। আমাদের দেশে কোটি কোটি সোনার মানুষ তৈরি হোক। সোনার বাংলাদেশ তৈরি হোক, স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি হোক।
মো. আশিকুর রহমান
শিক্ষার্থী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ ‘ইউআইইউ সিএসই ফেস্ট ২০২৫’ শিরোনামে আন্তকলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্লক চেইন অলিম্পিয়াড, আইসিটি অলিম্পিয়াড, প্রজেক্ট শো, লাইন ফলোয়িং রোবট (এলএফআর), প্রোগ্রামিং কনটেস্টসহ মোট ছয়টি বিষয়ে দুই দি
৮ ঘণ্টা আগেজীবনের প্রতিটি ধাপে ছোট-বড় অসংখ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। কখনো কি ভেবে দেখেছেন যে আপনার অস্তিত্ব শুরু হয়েছিল অসাধারণ জয় দিয়ে। আমরা ৪০ কোটি শুক্রাণুর মধ্যে একমাত্র বিজয়ী হয়ে জন্মেছি।
৮ ঘণ্টা আগেঅনেকে মনে করেন, জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রস্তুতির সময়। কারণ, সামনের চার-পাঁচ বছর বা আরও বেশি সময়ের পড়ালেখার বিষয় নিশ্চিত করতে হয় এই সময়ে। তাই প্রথমে নির্ধারণ করুন—কী করতে চান, কী নিয়ে এগোতে চান এবং পাঁচ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান। এভাবে লক্ষ্য ঠিক করুন।
২১ ঘণ্টা আগেএতক্ষণ প্রশ্নপত্র দেখেছেন, বিশ্লেষণ করেছেন এবং সম্ভাব্য উত্তর ধরে নিয়েছেন। এখন রেকর্ডিং শোনার পালা। এবার রেকর্ডিং শুনে প্রশ্নপত্রের ওপর নোট নিতে থাকুন। যেহেতু সম্ভাব্য উত্তর কী হবে তা আগে থেকে জানেন, তাই সঠিক উত্তর ধরতে পারা সহজ হবে। তবে যতটা সম্ভব নোট নিতে থাকুন। প্রয়োজন না হলে বাদ দেওয়া যাবে...
২১ ঘণ্টা আগে