বিনোদন ডেস্ক
২ নভেম্বর সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় ছিল দেশ নাটকের ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের প্রদর্শনী। প্রদর্শনী শুরুর আগেই দলটির সদস্য এহসানুল আজিজ বাবুকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে শিল্পকলার সামনে বিক্ষোভ করেন একদল লোক। পরে একাডেমির মহাপরিচালক গিয়ে তাঁদের শান্ত করলে প্রদর্শনী শুরু হয়। পরে বিক্ষোভকারীরা নাট্যশালার গেটের সামনে জড়ো হয়ে আবারও বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে মহাপরিচালক দেশ নাটকের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে প্রদর্শনী বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন নাট্যজনেরা, জানিয়েছেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া।
আমি এটা করেছি বৃহৎ যুদ্ধে জিতব বলে
সৈয়দ জামিল আহমেদ—মহাপরিচালক, শিল্পকলা একাডেমি
একটি পোস্টের ওপর বিবেচনা করে আমরা নাটক বন্ধ করব, এমন সিদ্ধান্ত নিইনি। আমরা চাই, সবাই এখানে নাটক করুক। আমি বাবুকে বলেছি, আপনি যে কাজটা করেছেন এটা খুব নিচু রুচিসম্পন্ন একটি কাজ। এ রকম কাজ না করে যদি বুকের পাটা থাকে তাহলে আপনি একটা নাটক করে যুক্তি দিয়ে দেখান, এই সরকারের ব্যর্থতা কোথায়। আমার মনে হয়েছে, সেনাবাহিনী এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল ছিল। আমি তাদের জড়াতে চাইনি। এগুলো এ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার দরকার নাই। আমি খুব দায়িত্ব নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি মনে করি, এটা পুলিশ, সেনাবাহিনীর জায়গা না। এটা শিল্পকলা একাডেমির জায়গা। আমি এটা করেছি এ কারণে যে, বৃহৎ যুদ্ধে জিতব বলে, আপনারা শুধু সঙ্গে থাকেন।
থিয়েটার হেরে যায়, এমন কাজ দেশ নাটক করবে না
মাসুম রেজা—নাট্যকার ও নির্দেশক (দেশ নাটক)
শনিবার শিল্পকলায় যেটা হয়ে গেল এটা দুঃখজনক ও তীব্রভাবে নিন্দনীয়। দেশ নাটক সেই নাটকগুলোই করে যেগুলো দেশ ও সমাজের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলে। নিত্যপুরাণ নতুন কোনো নাটক নয়। এদিন নাটকের ১২৭তম প্রদর্শনী হচ্ছিল। এর আগে ২৪ অক্টোবর মহিলা সমিতিতে একটি নাটকের শো আমরা নিশ্চিন্তে করেছি। সেখানে কোনো সমস্যা হলো না। নিত্যপুরাণের জন্য পাঁচ দিন শিল্পকলায় রিহার্সেল করলাম, তখন কোনো সমস্যা হলো না। কিন্তু প্রদর্শনীর দিন সমস্যাটা কেন হলো? যে মানুষগুলো এই কাজ করলেন, তাঁদের আমরা চিনি না। এই অপরিচিত মানুষগুলো কীভাবে একজন নন-সেলিব্রিটি বাবুর ফেসবুক পোস্ট নিয়ে আন্দোলনে এল? এই মুহূর্তে কোনো কিছুই অনুমান করতে চাইছি না। কারণ, আমি জানি কোনো এক সময় পুরো বিষয়টি সবাই জানতে পারবে। এমন ঘটনার পরে সবাই দেশ নাটকের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমার বিশ্বাস, থিয়েটারের পাশে মানুষ আছে। থিয়েটার কখনো বন্ধ হবে না এবং থিয়েটার হেরে যায়, এমন কোনো কাজ দেশ নাটক করবে না।
ঘটনার অন্তরালের তথ্যগুলো জানা জরুরি
—মোহাম্মদ বারী অভিনেতা ও নির্দেশক (অনুস্বর)
প্রদর্শনী চলাকালে নাটক বন্ধ করে দেওয়ার মতো ঘটনা নিন্দনীয় এবং কোনোভাবেই কাম্য নয়। দেশ নাটকের একজন ব্যক্তির ফেসবুক পোস্টের কারণে নাকি এই বিক্ষোভ। একজন মানুষের রাজনৈতিক মতাদর্শের দায় তো পুরো দল নিতে পারে না। এটাও ভাবনার বিষয়, শিল্পকলায় নাটক বন্ধ করতে যাঁরা মব করলেন, তাঁরা কারা! তাঁদের পেছনে কারা? উদ্দেশ্য কী? মাত্র ২০-২৫ জনের দাবিতে নাটক বন্ধ করতে হলো? শিল্পকলার নতুন মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ এখন পর্যন্ত যা যা করছেন, তা সত্যি প্রশংসনীয়। অনেকেই বলছে, নতুন মহাপরিচালককে হেনস্তা করতেই নাকি এ ধরনের কাজের ইন্ধন দিচ্ছেন কেউ কেউ। আমি মনে করি, পুরো ঘটনার অন্তরালের তথ্যগুলো জানা ভীষণ জরুরি। নইলে হয়তো সামনে আরও বড় কোনো অঘটন ঘটে যেতে পারে।
সারা দেশের নাট্যকর্মীদের সোচ্চার হতে হবে
—আজাদ আবুল কালাম অভিনেতা ও নির্দেশক (প্রাচ্যনাট)
এটা আসলে কিছু মানুষের মিথ্যা প্রচার, প্রপাগান্ডা। নিত্যপুরাণ বহু বছর ধরে দেশ-বিদেশে প্রদর্শিত হচ্ছে। সেই নাটক কেন বন্ধ করে দিতে হবে। যারা বিক্ষোভ করেছেন, তাঁরা আসলে বলতে চান, এই দলে এহসান বাবু নামে একজন আছেন, তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে নানা ধরনের প্রপাগান্ডা করছেন, তাই তাঁরা নাটকটা বন্ধ করে দিতে চান। একটা লোকের জন্য দলের নাটক কেন বন্ধ হবে! এটা খুবই নিন্দনীয় ঘটনা। এটা হতেই পারে না। কে কোথায় কী করছে, এ জন্য দীর্ঘ বছর ধরে চলা একটা রেপুটেড নাটকের প্রদর্শনী বন্ধ করে দেওয়াটা পুরো সংস্কৃতির ওপরে হামলা। সংস্কৃতিবিরুদ্ধ একটা গোষ্ঠী তৈরি হচ্ছে। এই ঘটনার পেছনে একদল ইন্ধনদাতা আছে, এরা কারা, সেটা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে, পূর্বের মতো বুঝতে পারি, একটা মৌলবাদী শক্তি এর পেছনে থাকতে পারে, যারা সংস্কৃতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছে। এই ঘটনা সংস্কৃতির বিরুদ্ধে একটা থ্রেড, সারা দেশের নাট্যকর্মীদের একত্র হয়ে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
২ নভেম্বর সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় ছিল দেশ নাটকের ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের প্রদর্শনী। প্রদর্শনী শুরুর আগেই দলটির সদস্য এহসানুল আজিজ বাবুকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে শিল্পকলার সামনে বিক্ষোভ করেন একদল লোক। পরে একাডেমির মহাপরিচালক গিয়ে তাঁদের শান্ত করলে প্রদর্শনী শুরু হয়। পরে বিক্ষোভকারীরা নাট্যশালার গেটের সামনে জড়ো হয়ে আবারও বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে মহাপরিচালক দেশ নাটকের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে প্রদর্শনী বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন নাট্যজনেরা, জানিয়েছেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া।
আমি এটা করেছি বৃহৎ যুদ্ধে জিতব বলে
সৈয়দ জামিল আহমেদ—মহাপরিচালক, শিল্পকলা একাডেমি
একটি পোস্টের ওপর বিবেচনা করে আমরা নাটক বন্ধ করব, এমন সিদ্ধান্ত নিইনি। আমরা চাই, সবাই এখানে নাটক করুক। আমি বাবুকে বলেছি, আপনি যে কাজটা করেছেন এটা খুব নিচু রুচিসম্পন্ন একটি কাজ। এ রকম কাজ না করে যদি বুকের পাটা থাকে তাহলে আপনি একটা নাটক করে যুক্তি দিয়ে দেখান, এই সরকারের ব্যর্থতা কোথায়। আমার মনে হয়েছে, সেনাবাহিনী এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল ছিল। আমি তাদের জড়াতে চাইনি। এগুলো এ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার দরকার নাই। আমি খুব দায়িত্ব নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি মনে করি, এটা পুলিশ, সেনাবাহিনীর জায়গা না। এটা শিল্পকলা একাডেমির জায়গা। আমি এটা করেছি এ কারণে যে, বৃহৎ যুদ্ধে জিতব বলে, আপনারা শুধু সঙ্গে থাকেন।
থিয়েটার হেরে যায়, এমন কাজ দেশ নাটক করবে না
মাসুম রেজা—নাট্যকার ও নির্দেশক (দেশ নাটক)
শনিবার শিল্পকলায় যেটা হয়ে গেল এটা দুঃখজনক ও তীব্রভাবে নিন্দনীয়। দেশ নাটক সেই নাটকগুলোই করে যেগুলো দেশ ও সমাজের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলে। নিত্যপুরাণ নতুন কোনো নাটক নয়। এদিন নাটকের ১২৭তম প্রদর্শনী হচ্ছিল। এর আগে ২৪ অক্টোবর মহিলা সমিতিতে একটি নাটকের শো আমরা নিশ্চিন্তে করেছি। সেখানে কোনো সমস্যা হলো না। নিত্যপুরাণের জন্য পাঁচ দিন শিল্পকলায় রিহার্সেল করলাম, তখন কোনো সমস্যা হলো না। কিন্তু প্রদর্শনীর দিন সমস্যাটা কেন হলো? যে মানুষগুলো এই কাজ করলেন, তাঁদের আমরা চিনি না। এই অপরিচিত মানুষগুলো কীভাবে একজন নন-সেলিব্রিটি বাবুর ফেসবুক পোস্ট নিয়ে আন্দোলনে এল? এই মুহূর্তে কোনো কিছুই অনুমান করতে চাইছি না। কারণ, আমি জানি কোনো এক সময় পুরো বিষয়টি সবাই জানতে পারবে। এমন ঘটনার পরে সবাই দেশ নাটকের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমার বিশ্বাস, থিয়েটারের পাশে মানুষ আছে। থিয়েটার কখনো বন্ধ হবে না এবং থিয়েটার হেরে যায়, এমন কোনো কাজ দেশ নাটক করবে না।
ঘটনার অন্তরালের তথ্যগুলো জানা জরুরি
—মোহাম্মদ বারী অভিনেতা ও নির্দেশক (অনুস্বর)
প্রদর্শনী চলাকালে নাটক বন্ধ করে দেওয়ার মতো ঘটনা নিন্দনীয় এবং কোনোভাবেই কাম্য নয়। দেশ নাটকের একজন ব্যক্তির ফেসবুক পোস্টের কারণে নাকি এই বিক্ষোভ। একজন মানুষের রাজনৈতিক মতাদর্শের দায় তো পুরো দল নিতে পারে না। এটাও ভাবনার বিষয়, শিল্পকলায় নাটক বন্ধ করতে যাঁরা মব করলেন, তাঁরা কারা! তাঁদের পেছনে কারা? উদ্দেশ্য কী? মাত্র ২০-২৫ জনের দাবিতে নাটক বন্ধ করতে হলো? শিল্পকলার নতুন মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ এখন পর্যন্ত যা যা করছেন, তা সত্যি প্রশংসনীয়। অনেকেই বলছে, নতুন মহাপরিচালককে হেনস্তা করতেই নাকি এ ধরনের কাজের ইন্ধন দিচ্ছেন কেউ কেউ। আমি মনে করি, পুরো ঘটনার অন্তরালের তথ্যগুলো জানা ভীষণ জরুরি। নইলে হয়তো সামনে আরও বড় কোনো অঘটন ঘটে যেতে পারে।
সারা দেশের নাট্যকর্মীদের সোচ্চার হতে হবে
—আজাদ আবুল কালাম অভিনেতা ও নির্দেশক (প্রাচ্যনাট)
এটা আসলে কিছু মানুষের মিথ্যা প্রচার, প্রপাগান্ডা। নিত্যপুরাণ বহু বছর ধরে দেশ-বিদেশে প্রদর্শিত হচ্ছে। সেই নাটক কেন বন্ধ করে দিতে হবে। যারা বিক্ষোভ করেছেন, তাঁরা আসলে বলতে চান, এই দলে এহসান বাবু নামে একজন আছেন, তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে নানা ধরনের প্রপাগান্ডা করছেন, তাই তাঁরা নাটকটা বন্ধ করে দিতে চান। একটা লোকের জন্য দলের নাটক কেন বন্ধ হবে! এটা খুবই নিন্দনীয় ঘটনা। এটা হতেই পারে না। কে কোথায় কী করছে, এ জন্য দীর্ঘ বছর ধরে চলা একটা রেপুটেড নাটকের প্রদর্শনী বন্ধ করে দেওয়াটা পুরো সংস্কৃতির ওপরে হামলা। সংস্কৃতিবিরুদ্ধ একটা গোষ্ঠী তৈরি হচ্ছে। এই ঘটনার পেছনে একদল ইন্ধনদাতা আছে, এরা কারা, সেটা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে, পূর্বের মতো বুঝতে পারি, একটা মৌলবাদী শক্তি এর পেছনে থাকতে পারে, যারা সংস্কৃতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছে। এই ঘটনা সংস্কৃতির বিরুদ্ধে একটা থ্রেড, সারা দেশের নাট্যকর্মীদের একত্র হয়ে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
বিকেলের মধ্যেই কনসার্টস্থলে জমায়েত হন লাখো মানুষ। ভিড় ঠেকাতে হিমশিম অবস্থা আয়োজকদের। অনুষ্ঠানের শেষদিকে নগর বাউলের পারফর্ম করার কথা থাকলেও, ভিড় সামাল দিতে নির্ধারিত সময়ের আগেই জেমসকে মঞ্চে আনা হয়।
১ ঘণ্টা আগেপ্রায় চার দশক পর আবারও মিঠুনের সঙ্গে দেখা যাবে বাংলাদেশের কোনো অভিনেত্রীকে। নির্মাতা মানস মুকুল পাল তাঁর পরবর্তী সিনেমায় মিঠুনের বিপরীতে আফসানা মিমির কথা ভাবছেন।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলা ভাষায় জনপ্রিয় গান ‘লাল পাহাড়ের দেশে যা, রাঙামাটির দেশে...’ গানের লেখক, কবি অরুণ চক্রবর্তী মারা গেছেন। শুক্রবার গভীর রাতে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর চুঁচুড়ার ফার্ম সাইড রোডের বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। ৮০ বছর বয়স হয়েছিল গুণী এই লেখকের...
৩ ঘণ্টা আগেপ্রখ্যাত সংগীত পরিচালক এ আর রহমানের বিবাহবিচ্ছেদের খবর প্রায় ৭২ ঘণ্টা ধরেই শিরোনামে। নেটিজেনদের কৌতূহল যেন থামছেই না। এরই মধ্যে যেন আগুনে ঘি পড়েছে তাঁর দলের বেস গিটারিস্টেরও বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণায়। একদিনের ব্যবধানে দুজনের বিচ্ছেদকে জুড়ে দিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনায় মেতেছেন নেটিজেনরা...
৮ ঘণ্টা আগে