বিনোদন ডেস্ক
ভারতে ব্যবসার ক্ষেত্রে হাত মেলাল জি গোষ্ঠী ও সনি করপোরেশন। ১১ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা দিয়ে জি এন্টারটেইনমেন্টের একটি বড় স্বত্ব সনি পিকচার্সের কাছে যাবে। এর ফলে জির ৫২ দশমিক ৯৩ শতাংশের স্বত্ব ব্যবসায়িক ভিত্তিতে গেছে সনির কাছে। চুক্তি অনুযায়ী যাবতীয় কার্যকলাপ আগামী ৯০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে। ভারতীয় গণমাধ্যমের মতে, উভয় পক্ষের বোর্ড অব ডিরেক্টরস নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে দুই প্রতিষ্ঠানকে মিলিয়ে অভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরিতে। যার ফলে আগামী দিনে একই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উভয় প্ল্যাটফর্মে থাকা কেব্ল চ্যানেল, ডিজিটাল ভিডিও স্ট্রিমিং, প্রোডাকশন অপারেশনস এবং মিউজিক ভিডিও লাইব্রেরি একই প্ল্যাটফর্মে দেখতে পাবেন গ্রাহকেরা। সে ক্ষেত্রে নতুন নামে শুরু হবে কি না তা এখনো ঠিক হয়নি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এই পদক্ষেপ? জি নেটওয়ার্কের ওপর দীর্ঘদিন ধরেই বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে চাপ আসছিল ম্যানেজমেন্টে বদল আনার জন্য। দুই সপ্তাহও হয়নি জির বৃহত্তম লগ্নিকারী ইনভেস্কো এক নোটিশ পাঠিয়ে এক্সট্রা অর্ডিনারি জেনারেল (ইজিএম) মিটিং ডেকেছিল। কারণ ক্রমাগত ব্যবসায়িক লোকসান। মিটিংয়ে জির দুই ডিরেক্টর অশোক কুল্লিমেন ও মণীশ চৌখানির সঙ্গে ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও পুনীত গোয়েঙ্কারেরও অপসারণের দাবি উঠেছিল। অশোক ও মণীশকে ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করতে হয়েছে। জি গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা সুভাষ চন্দ্রের ছেলে পুনীতেরও যাওয়া প্রায় অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছিল, তখনই সবাইকে চমকে দিয়ে এই চুক্তির কথা ঘোষণা করল জি গোষ্ঠী। যেখানে নতুন সংস্থার সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে পুনীতেরই নাম রাখা হয়েছে। সনির হাতে শেয়ারের বেশি অংশ থাকায় যেকোনো সিদ্ধান্তে এবার থেকে তাদেরই বেশি অধিকার থাকবে। এমনকি বোর্ড অব ডিরেক্টরসে কারা থাকবেন তা বেশির ভাগই ঠিক করে দেবেন সনি কর্তৃপক্ষ। এই সিদ্ধান্তে খুশি ইনভেস্কো।
সনির সঙ্গে জির এই ব্যবসায়িক সম্পর্ক অবশ্য নতুন কিছু নয়। ২০১৮ সালে জি কর্তৃপক্ষ তাদের চ্যানেল টেন স্পোর্টস সনির কাছে বিক্রি করে দেয়। ২০১৯ সালে দেনা মেটাতে জির চেয়ারম্যান সুভাষ কোম্পানির ১১ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। সেই সময় প্রায় কথা পাকাপাকি হয়েছিল সনির সঙ্গে। শেষ মুহূর্তে জির ১৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয় ইনভেস্কো। এই সুবাধে জির এখন সবচেয়ে বড় অংশীদার ইনভেস্কো।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের ১৮ শতাংশ দর্শক রয়েছে জির ঝুলিতে। সনির রয়েছে ৮ শতাংশ। দক্ষিণ ও মধ্য ভারতের অধিকাংশ জায়গায় জি প্রথম নয়তো স্টারের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে। আঞ্চলিক ক্ষেত্রে বাংলা এবং উত্তর-পূর্ব ভারতেও তারা প্রথম স্থানে। সনির লড়াই ছিল ডিজনি-স্টারকে সরিয়ে বাজার দখলের। সে ক্ষেত্রে ভারতজুড়ে থাকা জির বিনোদন চ্যানেলগুলো এবং তার কনটেন্ট তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে এলে বাজারের দখলদারিতে ২৬ শতাংশেরও বেশি অংশ নিয়ে তারা প্রতিপক্ষকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারবে।
টেলিভিশনের পাশাপাশি ওটিটি ক্ষেত্রেও ভারতে নেটফ্লিক্স এবং আমাজন প্রাইমের (২০ শতাংশ) পর তৃতীয় স্থানে রয়েছে ডিজনি প্লাস হটস্টার (১৭ শতাংশ)। সেখানে জি ফাইভ (৯ শতাংশ) এবং সনি লিভ (৪ শতাংশ) অনেকটাই পেছনে। এই দুই প্রতিষ্ঠান মিলে গেলে ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও একটা ভালো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারবে।
সে ক্ষেত্রে নতুন প্রতিষ্ঠানের হাতে থাকছে
৭৫টি টিভি চ্যানেল
২টি ভিডিও স্ট্রিমিং সার্ভিস (জি৫ ও সনি লিভ)
একটি ডিজিটাল কনটেন্ট স্টুডিও (স্টুডিও এনএক্সটি)
দুটি স্টুডিও (জি স্টুডিও এবং সনি পিকচার্স ফিল্মস ইন্ডিয়া)
ভারতের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান
নতুন বোর্ডে গরিষ্ঠসংখ্যক সদস্য নির্বাচিত করবে সনি
যৌথ প্রতিষ্ঠানের বর্তমান আয় ১৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, কর্মী ৪ হাজার।
১১ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা লগ্নি করবেন সনি কর্তৃপক্ষ, প্ল্যাটফর্মে আনতে পারেন নতুন গেমিং ও স্পোর্টস চ্যানেল
প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী, নতুন সংস্থার জির প্রমোটরদের অংশীদারত্ব ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হবে।
জির সিইও পুনীত গোয়েঙ্কাই নতুন প্রতিষ্ঠানের এমডি/সিইও পদে থাকছেন।
বর্তমানে জির হাতে রয়েছে
১৩০ কোটি দর্শক
৪৯টি জাতীয়, ৪০টি আন্তর্জাতিক চ্যানেল
১৭৩টি দেশে উপস্থিতি
২.৬০ লাখ ঘণ্টা টেলিভিশন কনটেন্ট
৪ হাজার ৮০০ সিনেমার স্বত্ব
সনির হাতে রয়েছে
৭০ কোটি দর্শক
১৬৭ দেশে প্রচার স্বত্ব
ভারতে ব্যবসার ক্ষেত্রে হাত মেলাল জি গোষ্ঠী ও সনি করপোরেশন। ১১ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা দিয়ে জি এন্টারটেইনমেন্টের একটি বড় স্বত্ব সনি পিকচার্সের কাছে যাবে। এর ফলে জির ৫২ দশমিক ৯৩ শতাংশের স্বত্ব ব্যবসায়িক ভিত্তিতে গেছে সনির কাছে। চুক্তি অনুযায়ী যাবতীয় কার্যকলাপ আগামী ৯০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে। ভারতীয় গণমাধ্যমের মতে, উভয় পক্ষের বোর্ড অব ডিরেক্টরস নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে দুই প্রতিষ্ঠানকে মিলিয়ে অভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরিতে। যার ফলে আগামী দিনে একই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উভয় প্ল্যাটফর্মে থাকা কেব্ল চ্যানেল, ডিজিটাল ভিডিও স্ট্রিমিং, প্রোডাকশন অপারেশনস এবং মিউজিক ভিডিও লাইব্রেরি একই প্ল্যাটফর্মে দেখতে পাবেন গ্রাহকেরা। সে ক্ষেত্রে নতুন নামে শুরু হবে কি না তা এখনো ঠিক হয়নি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এই পদক্ষেপ? জি নেটওয়ার্কের ওপর দীর্ঘদিন ধরেই বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে চাপ আসছিল ম্যানেজমেন্টে বদল আনার জন্য। দুই সপ্তাহও হয়নি জির বৃহত্তম লগ্নিকারী ইনভেস্কো এক নোটিশ পাঠিয়ে এক্সট্রা অর্ডিনারি জেনারেল (ইজিএম) মিটিং ডেকেছিল। কারণ ক্রমাগত ব্যবসায়িক লোকসান। মিটিংয়ে জির দুই ডিরেক্টর অশোক কুল্লিমেন ও মণীশ চৌখানির সঙ্গে ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও পুনীত গোয়েঙ্কারেরও অপসারণের দাবি উঠেছিল। অশোক ও মণীশকে ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করতে হয়েছে। জি গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা সুভাষ চন্দ্রের ছেলে পুনীতেরও যাওয়া প্রায় অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছিল, তখনই সবাইকে চমকে দিয়ে এই চুক্তির কথা ঘোষণা করল জি গোষ্ঠী। যেখানে নতুন সংস্থার সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে পুনীতেরই নাম রাখা হয়েছে। সনির হাতে শেয়ারের বেশি অংশ থাকায় যেকোনো সিদ্ধান্তে এবার থেকে তাদেরই বেশি অধিকার থাকবে। এমনকি বোর্ড অব ডিরেক্টরসে কারা থাকবেন তা বেশির ভাগই ঠিক করে দেবেন সনি কর্তৃপক্ষ। এই সিদ্ধান্তে খুশি ইনভেস্কো।
সনির সঙ্গে জির এই ব্যবসায়িক সম্পর্ক অবশ্য নতুন কিছু নয়। ২০১৮ সালে জি কর্তৃপক্ষ তাদের চ্যানেল টেন স্পোর্টস সনির কাছে বিক্রি করে দেয়। ২০১৯ সালে দেনা মেটাতে জির চেয়ারম্যান সুভাষ কোম্পানির ১১ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। সেই সময় প্রায় কথা পাকাপাকি হয়েছিল সনির সঙ্গে। শেষ মুহূর্তে জির ১৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয় ইনভেস্কো। এই সুবাধে জির এখন সবচেয়ে বড় অংশীদার ইনভেস্কো।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের ১৮ শতাংশ দর্শক রয়েছে জির ঝুলিতে। সনির রয়েছে ৮ শতাংশ। দক্ষিণ ও মধ্য ভারতের অধিকাংশ জায়গায় জি প্রথম নয়তো স্টারের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে। আঞ্চলিক ক্ষেত্রে বাংলা এবং উত্তর-পূর্ব ভারতেও তারা প্রথম স্থানে। সনির লড়াই ছিল ডিজনি-স্টারকে সরিয়ে বাজার দখলের। সে ক্ষেত্রে ভারতজুড়ে থাকা জির বিনোদন চ্যানেলগুলো এবং তার কনটেন্ট তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে এলে বাজারের দখলদারিতে ২৬ শতাংশেরও বেশি অংশ নিয়ে তারা প্রতিপক্ষকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারবে।
টেলিভিশনের পাশাপাশি ওটিটি ক্ষেত্রেও ভারতে নেটফ্লিক্স এবং আমাজন প্রাইমের (২০ শতাংশ) পর তৃতীয় স্থানে রয়েছে ডিজনি প্লাস হটস্টার (১৭ শতাংশ)। সেখানে জি ফাইভ (৯ শতাংশ) এবং সনি লিভ (৪ শতাংশ) অনেকটাই পেছনে। এই দুই প্রতিষ্ঠান মিলে গেলে ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও একটা ভালো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারবে।
সে ক্ষেত্রে নতুন প্রতিষ্ঠানের হাতে থাকছে
৭৫টি টিভি চ্যানেল
২টি ভিডিও স্ট্রিমিং সার্ভিস (জি৫ ও সনি লিভ)
একটি ডিজিটাল কনটেন্ট স্টুডিও (স্টুডিও এনএক্সটি)
দুটি স্টুডিও (জি স্টুডিও এবং সনি পিকচার্স ফিল্মস ইন্ডিয়া)
ভারতের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান
নতুন বোর্ডে গরিষ্ঠসংখ্যক সদস্য নির্বাচিত করবে সনি
যৌথ প্রতিষ্ঠানের বর্তমান আয় ১৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, কর্মী ৪ হাজার।
১১ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা লগ্নি করবেন সনি কর্তৃপক্ষ, প্ল্যাটফর্মে আনতে পারেন নতুন গেমিং ও স্পোর্টস চ্যানেল
প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী, নতুন সংস্থার জির প্রমোটরদের অংশীদারত্ব ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হবে।
জির সিইও পুনীত গোয়েঙ্কাই নতুন প্রতিষ্ঠানের এমডি/সিইও পদে থাকছেন।
বর্তমানে জির হাতে রয়েছে
১৩০ কোটি দর্শক
৪৯টি জাতীয়, ৪০টি আন্তর্জাতিক চ্যানেল
১৭৩টি দেশে উপস্থিতি
২.৬০ লাখ ঘণ্টা টেলিভিশন কনটেন্ট
৪ হাজার ৮০০ সিনেমার স্বত্ব
সনির হাতে রয়েছে
৭০ কোটি দর্শক
১৬৭ দেশে প্রচার স্বত্ব
প্রতি সপ্তাহেই নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খবর থাকছে এই প্রতিবেদনে।
৯ ঘণ্টা আগেবিচ্ছেদের পর একাই পালন করছেন মা-বাবার দায়িত্ব। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার ব্যবসায় নামছেন অভিনেত্রী। মা এবং নবজাতকের দরকারি পণ্যের ব্র্যান্ডশপ দিচ্ছেন পরীমনি।
১০ ঘণ্টা আগেপরদিনই কাকতালীয়ভাবে প্রকাশ্যে আসে বেজিস্ট মোহিনী দের বিবাহবিচ্ছেদের খবর। অনেকে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানো শুরু করেন। কেউ কেউ তো আগবাড়িয়ে এটাও বলে দিয়েছেন, মোহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণেই নাকি বিচ্ছেদ হয়েছে রাহমান-সায়রার!
১০ ঘণ্টা আগেআগামী ৪ ডিসেম্বর শুরু হবে ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের উৎসবে অংশ নেবে বিভিন্ন দেশের ২০০টির বেশি সিনেমা। তবে রাখা হয়নি না বাংলাদেশের কোনো সিনেমা।
১৫ ঘণ্টা আগে