অনলাইন ডেস্ক
ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে শহরমুখী হয় অসংখ্য মানুষ। ভারতের মুম্বাই শহরও অসংখ্য মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছে। এর উদাহরণও আছে ভূরি ভূরি। এই শহরেই বস্তি থেকে উঠে এসে বলিউডের নামকরা তারকা হয়েছেন জ্যাকি শ্রফ। এই শহরেই একসময় বাসের কন্ডাক্টর ছিলেন অভিনেতা রজনীকান্ত।
এদিকে দিল্লি থেকে মুম্বাই শহরে গিয়ে ভাগ্যের চাকা ঘোরানো আরও একজনের খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিন। মনোজ রায় নামের সেই ব্যক্তিটিকে আমির খান অভিনীত বলিউডের পিকে সিনেমায় দেখা গিয়েছিল মাত্র পাঁচ সেকেন্ডের জন্য। সিনেমার পর্দায় ভিক্ষুকের বেশে থাকা মনোজ বাস্তব জীবনেও ছিলেন ভিক্ষুক। কিন্তু পিকে সিনেমার সেই পাঁচ সেকেন্ডে এখন বদলে গেছে তাঁর জীবন!
নিউজ এইটিন জানিয়েছে, দিল্লির যন্তরমন্তরে ভিক্ষা করতেন মনোজ। তাঁর বাবা ছিলেন দিনমজুর, আর জন্মের পরই হারিয়েছিলেন মাকে। এরপর একদিন বাবাও অসুস্থ হয়ে যান। বাধ্য হয়ে তাই অর্থ রোজগারের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন মনোজ। লেখাপড়ায়ও ইতি টেনেছিলেন। কিন্তু কোনো কাজ না পেয়ে ভিক্ষা করতে শুরু করেছিলেন তিনি। কাজের সন্ধানে এরপর দিল্লিতেও যান। কিন্তু সেখানেও তাঁর জীবনে কেবল হতাশাই ছিল সঙ্গী। ফলে আবারও ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করেন তিনি। এ ক্ষেত্রে ভালো রোজগারের একটি উপায় বের করেছিলেন মনোজ। আর তা হলো—অন্ধ সেজে ভিক্ষা করা। এভাবে ভিক্ষা করতে করতেই একদিন তাঁর কাছে আসে পিকে সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ। কারণ সিনেমার একটি দৃশ্যে একজন অন্ধ ভিক্ষুকের প্রয়োজন ছিল।
এ বিষয়ে মনোজ বলেন, ‘যখন আমি যন্তরমন্তরে ভিক্ষা করছিলাম, তখন দুজন আমার কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন—আমি অভিনয় জানি কি-না? সে সময় তাঁদের বলেছিলাম—আমি অন্ধ হওয়ার ভান করে দিনে দুই বেলার খাবার জোগাড় করতে পারি।’
পরে অবশ্য ওই দুই ব্যক্তি মনোজকে ২০ টাকা এবং একটি ফোন নম্বর দিয়ে যোগাযোগের কথা বলে চলে যান। এরই ধারাবাহিকতায় পিকে সিনেমায় ভিক্ষুকের ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য একদিন দিল্লির নেহরু স্টেডিয়ামে অডিশন দিতে হাজির হন মনোজ। সেখানে ওই চরিত্রটির জন্য আরও সাতজন অডিশন দিতে এসেছিলেন।
স্মৃতিচারণ করে মনোজ বলেন, ‘আমি অভিনেতা কিংবা চলচ্চিত্রের কথা ভাবিনি। শুধু জানতাম, নির্বাচিত হলে আমি খেতে পারব।’
অবশেষে মনোজকেই নির্বাচন করা হয় ভিক্ষুক চরিত্রটির জন্য। মাত্র ৫ সেকেন্ডের জন্য পিকে সিনেমায় তাঁকে দেখা গিয়েছিল। তবে সেই পাঁচ সেকেন্ডেই রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান মনোজ। আর ওই অল্প সময়ের অভিনয়ে তিনি যে অর্থ উপার্জন করেছিলেন, তা দিয়েই বদলে গেছে তাঁর ভাগ্য।
গ্রামে ফিরে উপার্জনের টাকায় একটি একটি দোকান কিনেছিলেন মনোজ। সেই দোকান থেকে তাঁর রোজগার অনেক ভালো। এর সঙ্গে সিনেমায় অভিনয়ের খ্যাতি যোগ হয়ে জীবনটাকে বেশ ভালোই উপভোগ করছেন তিনি।
মনোজ বলেন, ‘এখন আমার দোকান আছে। সেই সঙ্গে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আর সুন্দরী একজন বান্ধবীও আছে।’
গ্রামের মানুষেরা মনোজকে ভালোবেসে এখন ‘পিকে হানি সিং’ বলে ডাকে।
ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে শহরমুখী হয় অসংখ্য মানুষ। ভারতের মুম্বাই শহরও অসংখ্য মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছে। এর উদাহরণও আছে ভূরি ভূরি। এই শহরেই বস্তি থেকে উঠে এসে বলিউডের নামকরা তারকা হয়েছেন জ্যাকি শ্রফ। এই শহরেই একসময় বাসের কন্ডাক্টর ছিলেন অভিনেতা রজনীকান্ত।
এদিকে দিল্লি থেকে মুম্বাই শহরে গিয়ে ভাগ্যের চাকা ঘোরানো আরও একজনের খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিন। মনোজ রায় নামের সেই ব্যক্তিটিকে আমির খান অভিনীত বলিউডের পিকে সিনেমায় দেখা গিয়েছিল মাত্র পাঁচ সেকেন্ডের জন্য। সিনেমার পর্দায় ভিক্ষুকের বেশে থাকা মনোজ বাস্তব জীবনেও ছিলেন ভিক্ষুক। কিন্তু পিকে সিনেমার সেই পাঁচ সেকেন্ডে এখন বদলে গেছে তাঁর জীবন!
নিউজ এইটিন জানিয়েছে, দিল্লির যন্তরমন্তরে ভিক্ষা করতেন মনোজ। তাঁর বাবা ছিলেন দিনমজুর, আর জন্মের পরই হারিয়েছিলেন মাকে। এরপর একদিন বাবাও অসুস্থ হয়ে যান। বাধ্য হয়ে তাই অর্থ রোজগারের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন মনোজ। লেখাপড়ায়ও ইতি টেনেছিলেন। কিন্তু কোনো কাজ না পেয়ে ভিক্ষা করতে শুরু করেছিলেন তিনি। কাজের সন্ধানে এরপর দিল্লিতেও যান। কিন্তু সেখানেও তাঁর জীবনে কেবল হতাশাই ছিল সঙ্গী। ফলে আবারও ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করেন তিনি। এ ক্ষেত্রে ভালো রোজগারের একটি উপায় বের করেছিলেন মনোজ। আর তা হলো—অন্ধ সেজে ভিক্ষা করা। এভাবে ভিক্ষা করতে করতেই একদিন তাঁর কাছে আসে পিকে সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ। কারণ সিনেমার একটি দৃশ্যে একজন অন্ধ ভিক্ষুকের প্রয়োজন ছিল।
এ বিষয়ে মনোজ বলেন, ‘যখন আমি যন্তরমন্তরে ভিক্ষা করছিলাম, তখন দুজন আমার কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন—আমি অভিনয় জানি কি-না? সে সময় তাঁদের বলেছিলাম—আমি অন্ধ হওয়ার ভান করে দিনে দুই বেলার খাবার জোগাড় করতে পারি।’
পরে অবশ্য ওই দুই ব্যক্তি মনোজকে ২০ টাকা এবং একটি ফোন নম্বর দিয়ে যোগাযোগের কথা বলে চলে যান। এরই ধারাবাহিকতায় পিকে সিনেমায় ভিক্ষুকের ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য একদিন দিল্লির নেহরু স্টেডিয়ামে অডিশন দিতে হাজির হন মনোজ। সেখানে ওই চরিত্রটির জন্য আরও সাতজন অডিশন দিতে এসেছিলেন।
স্মৃতিচারণ করে মনোজ বলেন, ‘আমি অভিনেতা কিংবা চলচ্চিত্রের কথা ভাবিনি। শুধু জানতাম, নির্বাচিত হলে আমি খেতে পারব।’
অবশেষে মনোজকেই নির্বাচন করা হয় ভিক্ষুক চরিত্রটির জন্য। মাত্র ৫ সেকেন্ডের জন্য পিকে সিনেমায় তাঁকে দেখা গিয়েছিল। তবে সেই পাঁচ সেকেন্ডেই রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান মনোজ। আর ওই অল্প সময়ের অভিনয়ে তিনি যে অর্থ উপার্জন করেছিলেন, তা দিয়েই বদলে গেছে তাঁর ভাগ্য।
গ্রামে ফিরে উপার্জনের টাকায় একটি একটি দোকান কিনেছিলেন মনোজ। সেই দোকান থেকে তাঁর রোজগার অনেক ভালো। এর সঙ্গে সিনেমায় অভিনয়ের খ্যাতি যোগ হয়ে জীবনটাকে বেশ ভালোই উপভোগ করছেন তিনি।
মনোজ বলেন, ‘এখন আমার দোকান আছে। সেই সঙ্গে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আর সুন্দরী একজন বান্ধবীও আছে।’
গ্রামের মানুষেরা মনোজকে ভালোবেসে এখন ‘পিকে হানি সিং’ বলে ডাকে।
আগামী ৪ ডিসেম্বর শুরু হবে ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের উৎসবে অংশ নেবে বিভিন্ন দেশের ২০০টির বেশি সিনেমা। তবে রাখা হয়নি না বাংলাদেশের কোনো সিনেমা।
১ ঘণ্টা আগেঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন দম্পতির ঘর ভাঙার গুঞ্জন এখন বলিউডের লোকের মুখে মুখে। এই তারকা দম্পতির বিচ্ছেদের গুঞ্জন ঘিরে একের পর এক তথ্য সামনে আসছে। কখনো সংসারে বনিবনা না হওয়া কখনোবা তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশের কথাও শোনা যাচ্ছে। যদিও এ নিয়ে কুলুপ এঁটে ছিলেন পুরো বচ্চন পরিবার। এসবের মধ্যেই নিজের ব্ল
৩ ঘণ্টা আগেশুধু কিং খানই নন, তাঁর নিশানায় ছিলেন বাদশাপুত্র আরিয়ান খানও। শাহরুখের নিরাপত্তাবলয়ের বিষয়েও খুঁটিনাটি তথ্য ইন্টারনেট ঘেঁটে জোগাড় করেছিলেন ফয়জান। এমনকি শাহরুখ এবং আরিয়ান নিত্যদিন কোথায়, কখন যেতেন, কী করতেন সমস্ত গতিবিধির ওপর নজর ছিল ধৃতর। পুলিশি সূত্রে খবর, রীতিমতো আটঘাট বেঁধে শাহরুখ খানকে খুনের হুম
৬ ঘণ্টা আগেগত বছরের শেষ দিকে ‘নীলচক্র’ সিনেমার খবর দিয়েছিলেন আরিফিন শুভ। এতে শুভর বিপরীতে অভিনয় করেছেন মন্দিরা চক্রবর্তী। শুটিং শেষে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। ট্রেন্ডি ও সমসাময়িক গল্পে নীলচক্র বানিয়েছেন মিঠু খান।
৮ ঘণ্টা আগে