মীর রাকিব হাসান
ঢাকা: ফেরদৌস আহমেদ বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে একটি নাম, যাঁর সঙ্গে হঠাৎ ও বৃষ্টি দুটোই সম্পৃক্ত। কারণ ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমার শিরোনামের মতোই রোমান্টিক সিনেমার জগতে ফেরদৌস হয়ে ওঠেন হঠাৎ এক আলোর বিচ্ছুরণ। এখনো রোমান্টিক ঘরানার ছবিতে ফেরদৌসের নাম আসবেই। পাশাপাশি সময়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ফেরদৌস, রিয়াজ ও শাকিল খান। শাকিল খান সিনেমা থেকে হারিয়ে গেছেন অনেক আগেই। রিয়াজকেও সিনেমায় দেখা যায় না বললেই চলে। অন্যদিকে ফেরদৌস এখনো সিনেমায় নিয়মিত কাজ করছেন। সম্প্রতি শুটিং শেষ করলেন ‘৭১ সেইসব দিন’ ছবির। তিনি বলেন, ‘আমার দুইটা কাজ। পরিবারকে সময় দেওয়া ও শুটিং, শো। আমার স্ত্রীকে কাজের জন্য দেশ–বিদেশ ঘুরতে হয়। তখন দুই মেয়েকে আমি সময় দিই। ওদের খাওয়াদাওয়া পড়াশোনা– সবকিছু দেখভাল করি। এটা আমার বহু বছরের অভ্যাস। সেটা হিসাব করে শুটিং করি। এ ছবির কাহিনি, সংলাপ, চিত্রনাট্য ও নির্মাণ করছেন গুণী অভিনেত্রী ও নির্মাতা হৃদি হক। এর আগে ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন লোকেশনে শুটিং হলেও ২০ মে থেকে আমি পুরান ঢাকায় শুটিংয়ে অংশ নিয়েছি। টানা সপ্তাহখানেক শুটিং করে ফিরলাম। ছবিতে আমি অভিনয় করছি সঞ্জু চরিত্রে, যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক।’
আগামী মাসের শুরুতে আফজাল হোসেনের পরিচালনায় ‘মানিকের লাল কাঁকড়া’ ছবির শুটিং শুরু করবেন। এবারের শুটিং স্পট পটুয়াখালীর কুয়াকাটায়। এরপর কাজ করবেন সরকারি অনুদানের আরেকটি নতুন ছবি ‘রাসেলের জন্য অপেক্ষা’র। এ ছাড়া মাহমুদ দিদারের পরিচালনায় ‘বিউটি সার্কাস’ নামে আরও একটি ছবির ডাবিং শুরু করবেন। অন্যদিকে নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুলের পরিচালনায় ‘জ্যাম’ ও ‘গাঙচিল’ ছবির শুটিং শুরুরও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বলতে গেলে কোরবানির ঈদ পর্যন্ত তাঁর টানা শিডিউল। ফেরদৌসের সমসাময়িক অনেকেই সিনেমার এত কাছাকাছি নেই। তিনি ব্যতিক্রম। কীভাবে সম্ভব হচ্ছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ব্যতিক্রম না। আমার তো সিনেমাতেই ক্যারিয়ার। সেখানে না থাকা বড় অস্বাভাবিক কিংবা ব্যতিক্রম হতো। আমি আমার মতো করে কাজ করে যাচ্ছি। সাধারণ দর্শক কিংবা সমালোচকদের প্রশংসা পাওয়া কাজগুলোই করছি। অশ্লীলতার যুগেও আমি সিনেমায় অভিনয় করেছি। একটা ভালো কাজ পেয়েছি করেছি, অশ্লীলতার পথে তো হাঁটিনি কিংবা সিনেমাকে বিদায় জানাইনি। যার যতটুকু সামর্থ্য আছে ভালোবাসার কাজটাকে ততটুকু সময় দেওয়া উচিত।’
বড় পর্দার পাশাপাশি মঞ্চেও সরব ফেরদৌস সফল উপস্থাপক হিসেবে। বিজ্ঞাপনের মডেল হচ্ছেন নিয়মিত। প্রযোজনায়ও নাম লিখিয়েছেন অনেক আগে। আমার প্রতিষ্ঠান থেকে দুটি ছবি নির্মিত হয়েছে। এখলাছ আবেদীনের পরিচালনায় ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি’ নামে ছবিটি সেন্সর সার্টিফিকেট পেয়েছে কয়েক মাস আগে। ছবিটির মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হলেই লকডাউনের কারণে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হয়ে যায়। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে এলেই এটি মুক্তি দেবেন বলে ভাবছেন। এ ছাড়া ‘যদি আরেকটু সময় পেতাম’ নামের ছবির সেন্সর প্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি।
বছর দুই আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়া থেকেই যত বিপত্তির শুরু। এরপর ভিসা বাতিল হওয়ার পাশাপাশি আরও নানা খেসারত দিতে হয়েছে ফেরদৌসকে। বলেন, ‘ছোট্ট একটা ভুল। না বুঝেই করা। কিন্তু তার অনেক বড় মাশুল গুনতে হচ্ছে এখন আমাকে। কারণ ভারতে আর যাওয়ার অনুমতি মিলছে না সহসাই।’
এ বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে তাঁর কিছু বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করার সময় ফেরদৌসের ভিসা বাতিল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসবে বেশ বিব্রত ফেরদৌস নিজেই। তিনি মনে করেন, ওই দেশের প্রচারণায় তাঁর অংশ নেওয়াটা এবং সেটার জের এখন অবধি চলে আসা মোটেও সুখকর নয়। বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক, যার শুটিং হয়েছে ভারতে, সেখানে অভিনয় করতে না পারার দুঃখটাই অনেক বেশি। ফেরদৌস জানান, একটা বয়সে তাঁর পুরোদস্তুর কৃষক হওয়ার খুব শখ। কারণটাও জানালেন, ‘আমার দাদা ছিলেন কৃষক। আমার রক্তে আছে কৃষিকাজ। অনেকেই জানেন না, আমি কিন্তু এখনে কৃষক। আমাদের বাড়ির ছাদে এমন একটা বাগান আছে, যেখানে রোজ কিছু না কিছু উৎপাদিত হয়। আমার মায়ের ঔষধির ভান্ডার তো আছেই, এ ছাড়া আছে অন্য সবজি।’
শুধু ছাদ নয়, ঢাকার অদূরে নিজের এক টুকরো জমিতে নিয়মিত চাষ করেন ফেরদৌস। বাসায় আসে টাটকা সবজি। তাতে তাঁর আনন্দের সীমা নেই। তবে সহসাই ছাড়ছেন না বড় পর্দা। নায়ক ফেরদৌসকে আরও দেখা যাবে বহুদিন।
ঢাকা: ফেরদৌস আহমেদ বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে একটি নাম, যাঁর সঙ্গে হঠাৎ ও বৃষ্টি দুটোই সম্পৃক্ত। কারণ ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমার শিরোনামের মতোই রোমান্টিক সিনেমার জগতে ফেরদৌস হয়ে ওঠেন হঠাৎ এক আলোর বিচ্ছুরণ। এখনো রোমান্টিক ঘরানার ছবিতে ফেরদৌসের নাম আসবেই। পাশাপাশি সময়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ফেরদৌস, রিয়াজ ও শাকিল খান। শাকিল খান সিনেমা থেকে হারিয়ে গেছেন অনেক আগেই। রিয়াজকেও সিনেমায় দেখা যায় না বললেই চলে। অন্যদিকে ফেরদৌস এখনো সিনেমায় নিয়মিত কাজ করছেন। সম্প্রতি শুটিং শেষ করলেন ‘৭১ সেইসব দিন’ ছবির। তিনি বলেন, ‘আমার দুইটা কাজ। পরিবারকে সময় দেওয়া ও শুটিং, শো। আমার স্ত্রীকে কাজের জন্য দেশ–বিদেশ ঘুরতে হয়। তখন দুই মেয়েকে আমি সময় দিই। ওদের খাওয়াদাওয়া পড়াশোনা– সবকিছু দেখভাল করি। এটা আমার বহু বছরের অভ্যাস। সেটা হিসাব করে শুটিং করি। এ ছবির কাহিনি, সংলাপ, চিত্রনাট্য ও নির্মাণ করছেন গুণী অভিনেত্রী ও নির্মাতা হৃদি হক। এর আগে ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন লোকেশনে শুটিং হলেও ২০ মে থেকে আমি পুরান ঢাকায় শুটিংয়ে অংশ নিয়েছি। টানা সপ্তাহখানেক শুটিং করে ফিরলাম। ছবিতে আমি অভিনয় করছি সঞ্জু চরিত্রে, যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক।’
আগামী মাসের শুরুতে আফজাল হোসেনের পরিচালনায় ‘মানিকের লাল কাঁকড়া’ ছবির শুটিং শুরু করবেন। এবারের শুটিং স্পট পটুয়াখালীর কুয়াকাটায়। এরপর কাজ করবেন সরকারি অনুদানের আরেকটি নতুন ছবি ‘রাসেলের জন্য অপেক্ষা’র। এ ছাড়া মাহমুদ দিদারের পরিচালনায় ‘বিউটি সার্কাস’ নামে আরও একটি ছবির ডাবিং শুরু করবেন। অন্যদিকে নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুলের পরিচালনায় ‘জ্যাম’ ও ‘গাঙচিল’ ছবির শুটিং শুরুরও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বলতে গেলে কোরবানির ঈদ পর্যন্ত তাঁর টানা শিডিউল। ফেরদৌসের সমসাময়িক অনেকেই সিনেমার এত কাছাকাছি নেই। তিনি ব্যতিক্রম। কীভাবে সম্ভব হচ্ছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ব্যতিক্রম না। আমার তো সিনেমাতেই ক্যারিয়ার। সেখানে না থাকা বড় অস্বাভাবিক কিংবা ব্যতিক্রম হতো। আমি আমার মতো করে কাজ করে যাচ্ছি। সাধারণ দর্শক কিংবা সমালোচকদের প্রশংসা পাওয়া কাজগুলোই করছি। অশ্লীলতার যুগেও আমি সিনেমায় অভিনয় করেছি। একটা ভালো কাজ পেয়েছি করেছি, অশ্লীলতার পথে তো হাঁটিনি কিংবা সিনেমাকে বিদায় জানাইনি। যার যতটুকু সামর্থ্য আছে ভালোবাসার কাজটাকে ততটুকু সময় দেওয়া উচিত।’
বড় পর্দার পাশাপাশি মঞ্চেও সরব ফেরদৌস সফল উপস্থাপক হিসেবে। বিজ্ঞাপনের মডেল হচ্ছেন নিয়মিত। প্রযোজনায়ও নাম লিখিয়েছেন অনেক আগে। আমার প্রতিষ্ঠান থেকে দুটি ছবি নির্মিত হয়েছে। এখলাছ আবেদীনের পরিচালনায় ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি’ নামে ছবিটি সেন্সর সার্টিফিকেট পেয়েছে কয়েক মাস আগে। ছবিটির মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হলেই লকডাউনের কারণে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হয়ে যায়। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে এলেই এটি মুক্তি দেবেন বলে ভাবছেন। এ ছাড়া ‘যদি আরেকটু সময় পেতাম’ নামের ছবির সেন্সর প্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি।
বছর দুই আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়া থেকেই যত বিপত্তির শুরু। এরপর ভিসা বাতিল হওয়ার পাশাপাশি আরও নানা খেসারত দিতে হয়েছে ফেরদৌসকে। বলেন, ‘ছোট্ট একটা ভুল। না বুঝেই করা। কিন্তু তার অনেক বড় মাশুল গুনতে হচ্ছে এখন আমাকে। কারণ ভারতে আর যাওয়ার অনুমতি মিলছে না সহসাই।’
এ বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে তাঁর কিছু বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করার সময় ফেরদৌসের ভিসা বাতিল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসবে বেশ বিব্রত ফেরদৌস নিজেই। তিনি মনে করেন, ওই দেশের প্রচারণায় তাঁর অংশ নেওয়াটা এবং সেটার জের এখন অবধি চলে আসা মোটেও সুখকর নয়। বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক, যার শুটিং হয়েছে ভারতে, সেখানে অভিনয় করতে না পারার দুঃখটাই অনেক বেশি। ফেরদৌস জানান, একটা বয়সে তাঁর পুরোদস্তুর কৃষক হওয়ার খুব শখ। কারণটাও জানালেন, ‘আমার দাদা ছিলেন কৃষক। আমার রক্তে আছে কৃষিকাজ। অনেকেই জানেন না, আমি কিন্তু এখনে কৃষক। আমাদের বাড়ির ছাদে এমন একটা বাগান আছে, যেখানে রোজ কিছু না কিছু উৎপাদিত হয়। আমার মায়ের ঔষধির ভান্ডার তো আছেই, এ ছাড়া আছে অন্য সবজি।’
শুধু ছাদ নয়, ঢাকার অদূরে নিজের এক টুকরো জমিতে নিয়মিত চাষ করেন ফেরদৌস। বাসায় আসে টাটকা সবজি। তাতে তাঁর আনন্দের সীমা নেই। তবে সহসাই ছাড়ছেন না বড় পর্দা। নায়ক ফেরদৌসকে আরও দেখা যাবে বহুদিন।
প্রতি সপ্তাহেই নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খবর থাকছে এই প্রতিবেদনে।
৯ ঘণ্টা আগেবিচ্ছেদের পর একাই পালন করছেন মা-বাবার দায়িত্ব। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার ব্যবসায় নামছেন অভিনেত্রী। মা এবং নবজাতকের দরকারি পণ্যের ব্র্যান্ডশপ দিচ্ছেন পরীমনি।
৯ ঘণ্টা আগেপরদিনই কাকতালীয়ভাবে প্রকাশ্যে আসে বেজিস্ট মোহিনী দের বিবাহবিচ্ছেদের খবর। অনেকে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানো শুরু করেন। কেউ কেউ তো আগবাড়িয়ে এটাও বলে দিয়েছেন, মোহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণেই নাকি বিচ্ছেদ হয়েছে রাহমান-সায়রার!
১০ ঘণ্টা আগেআগামী ৪ ডিসেম্বর শুরু হবে ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের উৎসবে অংশ নেবে বিভিন্ন দেশের ২০০টির বেশি সিনেমা। তবে রাখা হয়নি না বাংলাদেশের কোনো সিনেমা।
১৫ ঘণ্টা আগে