নবিউল ইসলাম

বাবা ছিলেন ভিক্ষু সাধু ও সংগীতপ্রেমী মানুষ। ২০০১ সালে পৃথিবী ছেড়ে যান তিনি। ওই সময় থেকে অনেক অভাব-অনটন থাকলেও বাবার অনেক ভক্ত আসতেন বাড়িতে। এ ছাড়া বিভিন্ন পাগল-সন্ন্যাসী আসতেন। তাঁদের সঙ্গে যেতেন ভারতের বিভিন্ন জায়গায়। সেখানে গানবাজনা হতো। পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই তাঁরা ভারতে যেতেন। তখন তারকাঁটার বেড়া ছিল না। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে গানের যে ব্যাপার, সাধুসঙ্গ—এ বিষয়গুলো টানত তাঁকে। এভাবে গানবাজনাকে ভালোবাসেন ওজকুরুনী ফকির সাহেব, যিনি ফকির সাহেব হিসেবেই বেশি পরিচিত।
বাড়ির পাশে মন্দিরে গান হতো। তখন গান শুনে ভালো লাগত তাঁর। টুকটাক গান শুনতেন, আসরে যেতেন। বড় বোন বুলবুলি গান করতেন। তিনি যেখানেই গান করতে যেতেন, সেখানে নিয়ে যেতেন ফকির সাহেবকে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে গানবাজনা শুনে হঠাৎ করে অনেক মানুষকে কাঁদতে দেখেন ফকির সাহেব। এটাকে দশা ধরা বলে। এই যে মানুষ কাঁদছে, কী বুঝে কাঁদছে? এই চিন্তা আসে তাঁর মনে। মানুষের কান্নার কারণ খুঁজতেন ফকির সাহেব। আর এই বিষয় খুঁজতে খুঁজতে পান গানের ভেতরে পাওয়া মানুষের জীবন।
২০০৫ সাল থেকে মানুষের সামনে গান গাওয়া শুরু করেন ফকির সাহেব। ফকির সাহেব বলেন, ‘গানের ভেতর সৃষ্টিকর্তাকে পাওয়া যায়। আর পৃথিবীতে খুব কমসংখ্যক মানুষই আছে, যারা গান পছন্দ করেন না। জনসম্মুখে না শুনলেও নিরালায় শুনছে। পদাবলি কীর্তন, চৈতন্য মহাপ্রভুর রাশ মেলায় যে কীর্তন হইতো, সেগুলা শুনতাম, গুনগুন করতাম। সাধুসঙ্গেরে ভেতর বৈঠকি গানের আসরে যে গানগুলো চলত, সে গানগুলো ভালো লাগত। এ ছাড়া আব্বাস উদ্দিন, আব্দুল আলীম, লালনের গান, দেহতত্ত্ব, মুর্শিদি গানগুলো শুনতাম।’
তবে বিভিন্ন আসরে লালনের গান বেশি হতো। লালন ফকিরের গান। লালন ফকিরের গান খুব টানে ফকির সাহেবকে। তখন থেকে ফোক গান, ভাটিয়ালি, লালন, মুর্শিদি, দেহতত্ত্ব ও মাটির গানগুলোর প্রতি একটা ভালোবাসা সৃষ্টি হয় ফকির সাহেবের। ভালো লাগা আরও বেশি কাজ করে যখন তাঁর বোন বুলবুলি বেগম গান করতেন।
গান গাওয়ার ক্ষেত্রে ফকির সাহেবের বড় উৎসাহের জায়গা বড় বোন। বড় বোন বলতেন, ‘গান কেমন শোনাচ্ছে—এইটা বড় বিষয় নয়, গলা ছেড়ে গাইত হবে। তুমি গান গাইতেছ—এইটা দরকার। আমি গলা ছেড়ে গান গাইতে পারতেছি এইটা বড় ব্যাপার।’
নিয়ম করে কখনো গান শেখা হয়নি ফকির সাহেবের। গানের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই তাঁর। বাবা ভিক্ষু সাধুর গান গেয়ে ব্যাপক ভাইরাল হন তিনি। গানটি গেয়েছিলেন সোনাদিয়ায় সাগরের তীরে। হাতে একটি মোবাইল নিয়ে তাতে তাল দিয়ে গেয়েছিলেন গানটি। ‘ভাব আছ যার গায়, দেখলে তারে চেনা যায়।’
ফকির সাহেব বলেন, ‘আসলে কোনো জিনিসের তো পূর্ণতা বোঝা যায় না, বা জানারও তো শেষ নেই। এইখানে একটা অনুভূতির ব্যাপার আছে। যে জ্ঞান বই পড়লেই বোঝা যায়, কিন্তু অনুভূতি এমন একটা জিনিস যে, প্রত্যেকটি ব্যক্তির এইটা আলাদা আলাদাভাবে থাকে। অনুভূতি অনেক দামি জিনিস। জ্ঞানের চেয়ে অনুভূতি অনেক বড় জিনিস। এইটা আমি বুঝত পারলাম কখন? এই গানে আরেকটা লাইন আছে বলে সঙ্গে সঙ্গে গেয়ে ওঠেন—
‘ওরে আমার আমার ছাড়ো
দমের জিকির করো
তাইলে পাইতে পারো খোদারে
গুরুরূপে নয়ন দিয়াছে যেই জন
তার মরণের ভয় কি আছে রে...’
‘গানে বলতেছে আমি যে ব্যক্তি ওয়াজকুরুনি ফকির সাহেব, এই যে আমি যে ব্যক্তি, এই ভাবনাটা ছেড়ে দেওয়া। কারণ, এগুলো তো আসলেই আমার না।’
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আনাচে-কানাচে যারা গান লিখছেন, তাদের গান করতে চান ফকির সাহেব। তিনি বলেন, ‘আল্লাহতালা আমাকে একটি সম্পদ দান করেছেন। তা হচ্ছে আমার কণ্ঠ। আর আমি এই কণ্ঠ দিয়ে সেই সকল মানুষের বার্তা বা বাণী মানুষের কাছে পৌঁছাতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘পরিচিত শিল্পীদের গান সবাই গায়, শোনে। কিন্তু বিভিন্ন অঞ্চলে যে মানুষগুলো লেখার মাধ্যমে যে বাণী বা বার্তা তাঁরা দেন, তা অনেকেই শুনতে পারেন না। আমি চাই এই সকল বার্তা আমার কণ্ঠের মাধ্যমে মানুষকে শোনাতে।’
কোন ধরনের গান তিনি পছন্দ করেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে ফকির সাহেব বলেন, ‘গান তো গানই। লালন, ভাটিয়ালি, জারি, পল্লিগীতি, যাই হোক না কেন গানের ফর্মগুলা আমার কাছে ইমপর্টেন্ট না। আমার কাছে বড় বিষয় হচ্ছে কথাগুলা কী বলতেছে। আমাকে এই কথাগুলা বলতে হবে। আর এই কথাগুলা আমার হাজার মানুষকে বোঝানোর দরকার নাই, একজন মানুষও যদি বোঝে তাও হবে।’
গানের মাধ্যমে কী বোঝাতে চেয়েছেন বা কি বাণী দেন একজন শিল্পী? প্রেম তত্ত্বকে লালন করে গান করেন ফকির সাহেব। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি গেয়ে ওঠেন—‘যেই প্রেমেতে আল্লাহ রসুল সাক্ষাৎ মিলেছে...’
যে প্রেমে জীবাত্মা পরমাত্মাকে নেওয়ার পর আল্লাহ এবং আল্লাহর রসুলক এক করে দিচ্ছে। এই এক প্রেম এবং এই প্রেমেই উজ্জীবিত হতে হবে। অর্থাৎ, সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে মানবজনমের যে প্রেম, এই প্রেমকে লালন করেন ফকির সাহেব।
গানকে পেশা হিসেবে নেবেন কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে ফকির সাহেব বলেন, ‘গান আমার নেশা; কিন্তু পেশা না। আমার মা আমাকে বলেছেন, বাবা তুমি এইটা প্রচার করো; কিন্তু এইটার জন্য কারও কাছ থেকে এর বিনিময়ে কোনো অর্থ নিয়ো না। যেহেতু আমার সুইচ বাতি উনি, পৃথিবীতে আসার মাধ্যম উনি, সেহেতু আমাকে এইটা পালন করতে হবে এবং এইটা পালন করতে আমি সর্বদা প্রস্তুত। যতক্ষণ পর্যন্ত আমার দেহেরে ভেতরে এই নিশ্বাসটা আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁর (মা) কথাটাই আমার কাছে মুখ্য।’ তিনি বলেন, ‘বিখ্যাত হতে চাই না, মানুষ হতে চাই।’
ক্যারিয়ারের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জীবন সবকিছু ফুরিয়ে যায়। কিন্তু যে জিনিস ফুরাবে না—সেটি হলো কর্ম। আর এই কর্ম আর গান—এই দুটোর সমন্বয় করবেন কীভাবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে ফকির সাহেব বলেন, এ ধরনের ভাবনা এখনো তৈরি করিনি। তৈরি করিনি একটা কারণে আমার মা বলেছেন যে বাবা পৃথিবীতে চলতে এত টাকা পয়সার এত কিছুর দরকার হয় না। তবে হ্যাঁ অনেক স্টেজ প্রোগ্রামে মানুষ আমাকে জিজ্ঞেস কর আপনি গান গেয়ে টাকা নেন না, আপনি যদি অসুস্থ হয়ে যান? তখন কী হবে! আসলে কী বলব সুস্থতা, অসুস্থতা, রিজিক এগুলা তো সব আল্লাহর কাছে। উনি চাইলে আমাকে নিয়ে নিবেন। আমি তো প্রস্তুত মৃত্যুর জন্য। সব সময় প্রস্তুত। কিন্তু আমি কর্ম থেকে একবিন্দু্ও ছাড় পেতে চাই না। আসবে আসবে।
ফকির সাহেব বলেন, ‘আত্মশক্তিতে বলীয়ান ব্যক্তি কখনো দরিদ্র থাকতে পারে না। এইটা আমি খুব বিশ্বাস করি এবং বিশ্বাসরে জোরেই এখনো পর্যন্ত চলতেছি। খুব কম সময়ই আমি অর্থ সংকটে থাকি। এবং থাকলেও সেটা আমার হাসিতেই চলে যায়। একটা তিল যদি সত্তর জন ভাগ করে থাকতে পারে, তাহলে আমার হাসিতে অনেক দুঃখ চলে যেতে পারে। সবাই আমার শুধু হাসিটাই দেখে, কেউ দুঃখটা দেখে না। কারণ, আমি জানি আমার দুঃখের সমাধান কেউ করতে পারবে না।’ এই কথা বলে তিনি গেয়ে ওঠেন—
‘সারা জীবন ভালোবাসলাম যারে
সে তো বুঝল না
বুঝল না আমারে
দুঃখ কইনা কইনা
রাইখাছি অন্তরে...’
মোশারফ করিমকে একজন সংগীতপ্রেমী মানুষ হিসেবে কীভাবে মূল্যায়ন করেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে ফকির সাহেব বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় তিনি প্রকৃত অর্থে মানুষ। সঙ্গে সঙ্গে গেয়ে ওঠেন—
‘মানুষ কুলে জন্ম নিলে
মানুষ বলা যায় না
তারে চিনব কেমন করে
আমি জানব কেমন করে’
‘তিনি পপুলার তাঁর কর্ম দিয়ে। কিন্তু আমার কাছে ভালো লেগেছে একজন প্রকৃত মানুষ হিসেবে। তিনি অনেক গানও লিখেছেন। যেমন—
‘যা দেখি তার সবই ভালো
ভালো ভালো লাগে না
ভালো কেন একা ভালো
কিছুই ভালো লাগে না’
‘এই মানুষটা যতটুকু লেখেন ততটুকু দিয়ে মানুষের ভেতরে ঢুকে যেতে পারেন। এই ভেতরে ঢুকে যাওয়ার ব্যাপারটা, প্রতিটা লাইনে লাইনে মানুষকে গানের ভেতর ঢোকানোর ব্যাপারটা গানের ক্ষেত্রে তার এই ব্যাপারটা আমার ভালো লাগে। এই জায়গাটার জন্য সংগীতের ক্ষেত্রে তাঁকে আমার গুরুত্বপূর্ণ পারসন মনে হইছে।’
কাঠবিড়ালি সিনেমার গানের জন্য একবার ফকির সাহেবকে যেতে হয় বাংলাদেশের জনপ্রিয় মিউজিশিয়ান ইমন চৌধুরীর কাছে। জানান, তাঁর সঙ্গে কাটানো কিছু মুহূর্তের কথা। ফকির সাহেব বলেন, ‘তাঁর কাছে গিয়ে আমার পা কাঁপছিল। কারণ, আমি স্টুডিওতে গান করি নাই। প্রথম হিসেবে আমার অনেক ভয় লাগছিল। কিন্তু তিনি এত আন্তরিক যে আমাকে ইজি করার জন্য অনেক আন্তরিকতা দেখিয়েছেন। উনি সচরাচর একটা গানে এতবার টেক নেন না, যতবার আমার বেলায় নিয়েছিলেন। উনি এত আন্তরিক যে, আমাকে নিজের হাতে চা বানিয়ে খাওয়াইছেন। চা খাওয়ার পর আমি আবারও কয়েকবার টেক দিলাম গানের জন্য।’
ভক্তদের অনুরোধে তিনি ‘ফকির সাহেব’ নামের একটি ফেসবুক পেজ খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমি গান গেয়ে টাকা নেই না, সেহেতু গান গেয়ে মাঝেমধ্যে অর্থ পেলে, তা মানবিক কাজে ব্যয় করা হয়।’
ফকির সাহেবের বাড়ি লালমনিরহাট জেলায় হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারি ইউনিয়ন গাওচুলকা গ্রামে। দুই বোন আছে তাঁর। এখন বাড়িতে বড় বোন বুলবুলি, ভাগনে-ভাগনি আর মা থাকেন। অনেক কষ্টে তাঁর মা তাঁকে বড় করেছেন। মা তাঁকে ফকির বলে ডাকতেন। তাঁর মুখের হাসি ও কর্মকাণ্ড যখন সাহেবেদের মতো দেখলেন, তখন মা তাঁর নামের সঙ্গে সাহেব যোগ করেন। এলাকার মানুষ তাঁকে অনেক সম্মান করেন। এভাবে তিনি হয়ে ওঠেন ফকির সাহেব।
স্কুল ছিল নিজের গ্রামে পুরোনো কাচারি গাওচুলকা রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়। হাইস্কুল ছিল হাতীবান্ধা উপজেলা শহরে। হাতীবান্ধা এস এস হাইস্কুল এণ্ড টেকনিক্যাল কলেজ (বর্তমানে মডেল কলেজ)। কলেজ ছিল হাতীবান্ধার আলীমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজ। স্কুল ও কলেজজীবনে মানুষের বাসায় থেকেছেন তিনি। হাতীবান্ধায় এসএসসিতে পড়ার সময় কারিমুর নামে একজনের বাসায় থেকে লেখাপড়া করেছেন তিনি। আর কলেজ থাকাকালে আশরাফ ভান্ডারি নামের একজন ওস্তাদের কাছ থেকেছেন। অন্ধ্র প্রদেশের একজন ওস্তাদের কাছ থেকে তিনি দীক্ষা নিয়েছেন। তাঁর কাছ থেকে মূলত দেহতত্ত্বের ব্যাপারে দীক্ষা নিয়েছেন তিনি, যেটাকে ব্রাক্ষ্মচর্য বলে।
এর পর ভর্তি হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তিনি। এখানে ভর্তি হওয়ার জন্য উৎসাহ, নির্দেশনা ও সার্বিক সহযোগিতা করেছেন আশরাফুজ্জামান দীদার নামে তাঁর এক বন্ধু। গ্র্যাজুয়েশন শেষ হলে কী করবেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘কর্ম করবেন। এবং সঙ্গে সঙ্গে গেয়ে ওঠেন—
‘কর্ম তোমার আর কি কিছু নয়
আঁকা আঁকি মোছামুছি বেখেয়ালী
তাজ্জব হয়েছি,’
এখন আমার কর্ম ভালো থাকলে মানুষ তাজ্জব হবে।’

বাবা ছিলেন ভিক্ষু সাধু ও সংগীতপ্রেমী মানুষ। ২০০১ সালে পৃথিবী ছেড়ে যান তিনি। ওই সময় থেকে অনেক অভাব-অনটন থাকলেও বাবার অনেক ভক্ত আসতেন বাড়িতে। এ ছাড়া বিভিন্ন পাগল-সন্ন্যাসী আসতেন। তাঁদের সঙ্গে যেতেন ভারতের বিভিন্ন জায়গায়। সেখানে গানবাজনা হতো। পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই তাঁরা ভারতে যেতেন। তখন তারকাঁটার বেড়া ছিল না। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে গানের যে ব্যাপার, সাধুসঙ্গ—এ বিষয়গুলো টানত তাঁকে। এভাবে গানবাজনাকে ভালোবাসেন ওজকুরুনী ফকির সাহেব, যিনি ফকির সাহেব হিসেবেই বেশি পরিচিত।
বাড়ির পাশে মন্দিরে গান হতো। তখন গান শুনে ভালো লাগত তাঁর। টুকটাক গান শুনতেন, আসরে যেতেন। বড় বোন বুলবুলি গান করতেন। তিনি যেখানেই গান করতে যেতেন, সেখানে নিয়ে যেতেন ফকির সাহেবকে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে গানবাজনা শুনে হঠাৎ করে অনেক মানুষকে কাঁদতে দেখেন ফকির সাহেব। এটাকে দশা ধরা বলে। এই যে মানুষ কাঁদছে, কী বুঝে কাঁদছে? এই চিন্তা আসে তাঁর মনে। মানুষের কান্নার কারণ খুঁজতেন ফকির সাহেব। আর এই বিষয় খুঁজতে খুঁজতে পান গানের ভেতরে পাওয়া মানুষের জীবন।
২০০৫ সাল থেকে মানুষের সামনে গান গাওয়া শুরু করেন ফকির সাহেব। ফকির সাহেব বলেন, ‘গানের ভেতর সৃষ্টিকর্তাকে পাওয়া যায়। আর পৃথিবীতে খুব কমসংখ্যক মানুষই আছে, যারা গান পছন্দ করেন না। জনসম্মুখে না শুনলেও নিরালায় শুনছে। পদাবলি কীর্তন, চৈতন্য মহাপ্রভুর রাশ মেলায় যে কীর্তন হইতো, সেগুলা শুনতাম, গুনগুন করতাম। সাধুসঙ্গেরে ভেতর বৈঠকি গানের আসরে যে গানগুলো চলত, সে গানগুলো ভালো লাগত। এ ছাড়া আব্বাস উদ্দিন, আব্দুল আলীম, লালনের গান, দেহতত্ত্ব, মুর্শিদি গানগুলো শুনতাম।’
তবে বিভিন্ন আসরে লালনের গান বেশি হতো। লালন ফকিরের গান। লালন ফকিরের গান খুব টানে ফকির সাহেবকে। তখন থেকে ফোক গান, ভাটিয়ালি, লালন, মুর্শিদি, দেহতত্ত্ব ও মাটির গানগুলোর প্রতি একটা ভালোবাসা সৃষ্টি হয় ফকির সাহেবের। ভালো লাগা আরও বেশি কাজ করে যখন তাঁর বোন বুলবুলি বেগম গান করতেন।
গান গাওয়ার ক্ষেত্রে ফকির সাহেবের বড় উৎসাহের জায়গা বড় বোন। বড় বোন বলতেন, ‘গান কেমন শোনাচ্ছে—এইটা বড় বিষয় নয়, গলা ছেড়ে গাইত হবে। তুমি গান গাইতেছ—এইটা দরকার। আমি গলা ছেড়ে গান গাইতে পারতেছি এইটা বড় ব্যাপার।’
নিয়ম করে কখনো গান শেখা হয়নি ফকির সাহেবের। গানের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই তাঁর। বাবা ভিক্ষু সাধুর গান গেয়ে ব্যাপক ভাইরাল হন তিনি। গানটি গেয়েছিলেন সোনাদিয়ায় সাগরের তীরে। হাতে একটি মোবাইল নিয়ে তাতে তাল দিয়ে গেয়েছিলেন গানটি। ‘ভাব আছ যার গায়, দেখলে তারে চেনা যায়।’
ফকির সাহেব বলেন, ‘আসলে কোনো জিনিসের তো পূর্ণতা বোঝা যায় না, বা জানারও তো শেষ নেই। এইখানে একটা অনুভূতির ব্যাপার আছে। যে জ্ঞান বই পড়লেই বোঝা যায়, কিন্তু অনুভূতি এমন একটা জিনিস যে, প্রত্যেকটি ব্যক্তির এইটা আলাদা আলাদাভাবে থাকে। অনুভূতি অনেক দামি জিনিস। জ্ঞানের চেয়ে অনুভূতি অনেক বড় জিনিস। এইটা আমি বুঝত পারলাম কখন? এই গানে আরেকটা লাইন আছে বলে সঙ্গে সঙ্গে গেয়ে ওঠেন—
‘ওরে আমার আমার ছাড়ো
দমের জিকির করো
তাইলে পাইতে পারো খোদারে
গুরুরূপে নয়ন দিয়াছে যেই জন
তার মরণের ভয় কি আছে রে...’
‘গানে বলতেছে আমি যে ব্যক্তি ওয়াজকুরুনি ফকির সাহেব, এই যে আমি যে ব্যক্তি, এই ভাবনাটা ছেড়ে দেওয়া। কারণ, এগুলো তো আসলেই আমার না।’
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আনাচে-কানাচে যারা গান লিখছেন, তাদের গান করতে চান ফকির সাহেব। তিনি বলেন, ‘আল্লাহতালা আমাকে একটি সম্পদ দান করেছেন। তা হচ্ছে আমার কণ্ঠ। আর আমি এই কণ্ঠ দিয়ে সেই সকল মানুষের বার্তা বা বাণী মানুষের কাছে পৌঁছাতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘পরিচিত শিল্পীদের গান সবাই গায়, শোনে। কিন্তু বিভিন্ন অঞ্চলে যে মানুষগুলো লেখার মাধ্যমে যে বাণী বা বার্তা তাঁরা দেন, তা অনেকেই শুনতে পারেন না। আমি চাই এই সকল বার্তা আমার কণ্ঠের মাধ্যমে মানুষকে শোনাতে।’
কোন ধরনের গান তিনি পছন্দ করেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে ফকির সাহেব বলেন, ‘গান তো গানই। লালন, ভাটিয়ালি, জারি, পল্লিগীতি, যাই হোক না কেন গানের ফর্মগুলা আমার কাছে ইমপর্টেন্ট না। আমার কাছে বড় বিষয় হচ্ছে কথাগুলা কী বলতেছে। আমাকে এই কথাগুলা বলতে হবে। আর এই কথাগুলা আমার হাজার মানুষকে বোঝানোর দরকার নাই, একজন মানুষও যদি বোঝে তাও হবে।’
গানের মাধ্যমে কী বোঝাতে চেয়েছেন বা কি বাণী দেন একজন শিল্পী? প্রেম তত্ত্বকে লালন করে গান করেন ফকির সাহেব। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি গেয়ে ওঠেন—‘যেই প্রেমেতে আল্লাহ রসুল সাক্ষাৎ মিলেছে...’
যে প্রেমে জীবাত্মা পরমাত্মাকে নেওয়ার পর আল্লাহ এবং আল্লাহর রসুলক এক করে দিচ্ছে। এই এক প্রেম এবং এই প্রেমেই উজ্জীবিত হতে হবে। অর্থাৎ, সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে মানবজনমের যে প্রেম, এই প্রেমকে লালন করেন ফকির সাহেব।
গানকে পেশা হিসেবে নেবেন কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে ফকির সাহেব বলেন, ‘গান আমার নেশা; কিন্তু পেশা না। আমার মা আমাকে বলেছেন, বাবা তুমি এইটা প্রচার করো; কিন্তু এইটার জন্য কারও কাছ থেকে এর বিনিময়ে কোনো অর্থ নিয়ো না। যেহেতু আমার সুইচ বাতি উনি, পৃথিবীতে আসার মাধ্যম উনি, সেহেতু আমাকে এইটা পালন করতে হবে এবং এইটা পালন করতে আমি সর্বদা প্রস্তুত। যতক্ষণ পর্যন্ত আমার দেহেরে ভেতরে এই নিশ্বাসটা আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁর (মা) কথাটাই আমার কাছে মুখ্য।’ তিনি বলেন, ‘বিখ্যাত হতে চাই না, মানুষ হতে চাই।’
ক্যারিয়ারের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জীবন সবকিছু ফুরিয়ে যায়। কিন্তু যে জিনিস ফুরাবে না—সেটি হলো কর্ম। আর এই কর্ম আর গান—এই দুটোর সমন্বয় করবেন কীভাবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে ফকির সাহেব বলেন, এ ধরনের ভাবনা এখনো তৈরি করিনি। তৈরি করিনি একটা কারণে আমার মা বলেছেন যে বাবা পৃথিবীতে চলতে এত টাকা পয়সার এত কিছুর দরকার হয় না। তবে হ্যাঁ অনেক স্টেজ প্রোগ্রামে মানুষ আমাকে জিজ্ঞেস কর আপনি গান গেয়ে টাকা নেন না, আপনি যদি অসুস্থ হয়ে যান? তখন কী হবে! আসলে কী বলব সুস্থতা, অসুস্থতা, রিজিক এগুলা তো সব আল্লাহর কাছে। উনি চাইলে আমাকে নিয়ে নিবেন। আমি তো প্রস্তুত মৃত্যুর জন্য। সব সময় প্রস্তুত। কিন্তু আমি কর্ম থেকে একবিন্দু্ও ছাড় পেতে চাই না। আসবে আসবে।
ফকির সাহেব বলেন, ‘আত্মশক্তিতে বলীয়ান ব্যক্তি কখনো দরিদ্র থাকতে পারে না। এইটা আমি খুব বিশ্বাস করি এবং বিশ্বাসরে জোরেই এখনো পর্যন্ত চলতেছি। খুব কম সময়ই আমি অর্থ সংকটে থাকি। এবং থাকলেও সেটা আমার হাসিতেই চলে যায়। একটা তিল যদি সত্তর জন ভাগ করে থাকতে পারে, তাহলে আমার হাসিতে অনেক দুঃখ চলে যেতে পারে। সবাই আমার শুধু হাসিটাই দেখে, কেউ দুঃখটা দেখে না। কারণ, আমি জানি আমার দুঃখের সমাধান কেউ করতে পারবে না।’ এই কথা বলে তিনি গেয়ে ওঠেন—
‘সারা জীবন ভালোবাসলাম যারে
সে তো বুঝল না
বুঝল না আমারে
দুঃখ কইনা কইনা
রাইখাছি অন্তরে...’
মোশারফ করিমকে একজন সংগীতপ্রেমী মানুষ হিসেবে কীভাবে মূল্যায়ন করেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে ফকির সাহেব বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় তিনি প্রকৃত অর্থে মানুষ। সঙ্গে সঙ্গে গেয়ে ওঠেন—
‘মানুষ কুলে জন্ম নিলে
মানুষ বলা যায় না
তারে চিনব কেমন করে
আমি জানব কেমন করে’
‘তিনি পপুলার তাঁর কর্ম দিয়ে। কিন্তু আমার কাছে ভালো লেগেছে একজন প্রকৃত মানুষ হিসেবে। তিনি অনেক গানও লিখেছেন। যেমন—
‘যা দেখি তার সবই ভালো
ভালো ভালো লাগে না
ভালো কেন একা ভালো
কিছুই ভালো লাগে না’
‘এই মানুষটা যতটুকু লেখেন ততটুকু দিয়ে মানুষের ভেতরে ঢুকে যেতে পারেন। এই ভেতরে ঢুকে যাওয়ার ব্যাপারটা, প্রতিটা লাইনে লাইনে মানুষকে গানের ভেতর ঢোকানোর ব্যাপারটা গানের ক্ষেত্রে তার এই ব্যাপারটা আমার ভালো লাগে। এই জায়গাটার জন্য সংগীতের ক্ষেত্রে তাঁকে আমার গুরুত্বপূর্ণ পারসন মনে হইছে।’
কাঠবিড়ালি সিনেমার গানের জন্য একবার ফকির সাহেবকে যেতে হয় বাংলাদেশের জনপ্রিয় মিউজিশিয়ান ইমন চৌধুরীর কাছে। জানান, তাঁর সঙ্গে কাটানো কিছু মুহূর্তের কথা। ফকির সাহেব বলেন, ‘তাঁর কাছে গিয়ে আমার পা কাঁপছিল। কারণ, আমি স্টুডিওতে গান করি নাই। প্রথম হিসেবে আমার অনেক ভয় লাগছিল। কিন্তু তিনি এত আন্তরিক যে আমাকে ইজি করার জন্য অনেক আন্তরিকতা দেখিয়েছেন। উনি সচরাচর একটা গানে এতবার টেক নেন না, যতবার আমার বেলায় নিয়েছিলেন। উনি এত আন্তরিক যে, আমাকে নিজের হাতে চা বানিয়ে খাওয়াইছেন। চা খাওয়ার পর আমি আবারও কয়েকবার টেক দিলাম গানের জন্য।’
ভক্তদের অনুরোধে তিনি ‘ফকির সাহেব’ নামের একটি ফেসবুক পেজ খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমি গান গেয়ে টাকা নেই না, সেহেতু গান গেয়ে মাঝেমধ্যে অর্থ পেলে, তা মানবিক কাজে ব্যয় করা হয়।’
ফকির সাহেবের বাড়ি লালমনিরহাট জেলায় হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারি ইউনিয়ন গাওচুলকা গ্রামে। দুই বোন আছে তাঁর। এখন বাড়িতে বড় বোন বুলবুলি, ভাগনে-ভাগনি আর মা থাকেন। অনেক কষ্টে তাঁর মা তাঁকে বড় করেছেন। মা তাঁকে ফকির বলে ডাকতেন। তাঁর মুখের হাসি ও কর্মকাণ্ড যখন সাহেবেদের মতো দেখলেন, তখন মা তাঁর নামের সঙ্গে সাহেব যোগ করেন। এলাকার মানুষ তাঁকে অনেক সম্মান করেন। এভাবে তিনি হয়ে ওঠেন ফকির সাহেব।
স্কুল ছিল নিজের গ্রামে পুরোনো কাচারি গাওচুলকা রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়। হাইস্কুল ছিল হাতীবান্ধা উপজেলা শহরে। হাতীবান্ধা এস এস হাইস্কুল এণ্ড টেকনিক্যাল কলেজ (বর্তমানে মডেল কলেজ)। কলেজ ছিল হাতীবান্ধার আলীমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজ। স্কুল ও কলেজজীবনে মানুষের বাসায় থেকেছেন তিনি। হাতীবান্ধায় এসএসসিতে পড়ার সময় কারিমুর নামে একজনের বাসায় থেকে লেখাপড়া করেছেন তিনি। আর কলেজ থাকাকালে আশরাফ ভান্ডারি নামের একজন ওস্তাদের কাছ থেকেছেন। অন্ধ্র প্রদেশের একজন ওস্তাদের কাছ থেকে তিনি দীক্ষা নিয়েছেন। তাঁর কাছ থেকে মূলত দেহতত্ত্বের ব্যাপারে দীক্ষা নিয়েছেন তিনি, যেটাকে ব্রাক্ষ্মচর্য বলে।
এর পর ভর্তি হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তিনি। এখানে ভর্তি হওয়ার জন্য উৎসাহ, নির্দেশনা ও সার্বিক সহযোগিতা করেছেন আশরাফুজ্জামান দীদার নামে তাঁর এক বন্ধু। গ্র্যাজুয়েশন শেষ হলে কী করবেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘কর্ম করবেন। এবং সঙ্গে সঙ্গে গেয়ে ওঠেন—
‘কর্ম তোমার আর কি কিছু নয়
আঁকা আঁকি মোছামুছি বেখেয়ালী
তাজ্জব হয়েছি,’
এখন আমার কর্ম ভালো থাকলে মানুষ তাজ্জব হবে।’

২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর।
১৪ ঘণ্টা আগে
নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
১৪ ঘণ্টা আগে
গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর।
১৪ ঘণ্টা আগে
‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর। তবে বিচ্ছেদ নিয়ে তখন কোনো কথা বলেননি বিন্দু কিংবা তাঁর স্বামী। অবশেষে নিজের বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিন্দু জানান, ২০২২ সালে বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর।
২০২২ সালে বিচ্ছেদ হলেও ২০১৭ সাল থেকেই স্বামীর সঙ্গে সেপারেশনে ছিলেন বিন্দু। পাঁচ বছর পর তাঁরা চূড়ান্তভাবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। বিন্দু বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, আমি এখনো বিবাহিত। কিন্তু না, আমার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। আমার সংসারের জার্নিটা অনেক ছোট ছিল।’
বিচ্ছেদের কারণ জানিয়ে বিন্দু বলেন, ‘আলাদা হওয়ার জন্য অনেক সময় বড় কারণ থাকে, বড় ঘটনা ঘটে। অনেক সময় আবার তেমন কোনো কারণও দরকার হয় না। আমার এই জার্নিতে আরও একজন মানুষ জড়িত। তারও ব্যক্তিগত জীবন আছে। বিচ্ছেদ নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চাই না।’
২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু হয় বিন্দুর। অল্প দিনেই হয়ে ওঠেন মিডিয়ার নিয়মিত মুখ। অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার আগে ২০১৪ সালের শুধু কোরবানির ঈদেই প্রচারিত হয় তাঁর অভিনীত ৫২টি নাটক। ছোট পর্দার পাশাপাশি বিন্দু অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও।
ক্যারিয়ারের শুরুতে আরিফিন শুভর সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। পর্দায় তাঁদের জুটি অনেক জনপ্রিয় ছিল। অনস্ক্রিন কেমেস্ট্রির প্রভাব পড়েছিল দুজনের বাস্তব জীবনেও। একসময় শুভর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান বিন্দু। সেই প্রেমের কথা স্বীকারও করেছেন অভিনেত্রী। কেন তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল? বিন্দুর সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘এর উত্তর আমার কাছে নেই। দুটি মানুষের জার্নি যে একসঙ্গে একই গন্তব্যে শেষ হবে, এমন তো কোনো কথা নেই।’
প্রায় এক দশকের বিরতি কাটিয়ে ২০২৩ সালে ‘উনিশ ২০’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে অভিনয়ে ফেরেন বিন্দু। মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনায় এতে বিন্দুর বিপরীতে ছিলেন সেই আরিফিন শুভই। তবে এরপর আর কোনো কাজে দেখা যায়নি বিন্দুকে। তবে তিনি নিয়মিত অভিনয় করতে চান। বিন্দু বলেন, ‘শিল্পী হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত। এখন আমাকে নিয়ে কাজ করার চিন্তা, আমার পেছনে ইনভেস্ট করার বিষয়গুলো ভাবতে হবে। এমন ধরনের কাজ করতে চাই, যেগুলো এখনো করিনি। আমি চাই, নির্মাতারা আমাকে নিয়ে এমনভাবে ভাবুক, যেমনটা আগে ভাবা হয়নি।’
অভিনয় ছেড়ে দিয়ে বছর পাঁচেক আগে ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়েছেন বিন্দু। গুলশানে রয়েছে তাঁর একটি বুটিক হাউস। ‘আফসান বিন্দু ডিজাইনার স্টুডিও’ নামের এ ব্র্যান্ডের পোশাক বিন্দু নিজেই ডিজাইন করেন। ২০২০ সালে যখন প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেন বিন্দু, তখন তাঁর কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র একজন। তবে এখন তাঁর সঙ্গে ১৫ জন কাজ করেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর। তবে বিচ্ছেদ নিয়ে তখন কোনো কথা বলেননি বিন্দু কিংবা তাঁর স্বামী। অবশেষে নিজের বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিন্দু জানান, ২০২২ সালে বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর।
২০২২ সালে বিচ্ছেদ হলেও ২০১৭ সাল থেকেই স্বামীর সঙ্গে সেপারেশনে ছিলেন বিন্দু। পাঁচ বছর পর তাঁরা চূড়ান্তভাবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। বিন্দু বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, আমি এখনো বিবাহিত। কিন্তু না, আমার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। আমার সংসারের জার্নিটা অনেক ছোট ছিল।’
বিচ্ছেদের কারণ জানিয়ে বিন্দু বলেন, ‘আলাদা হওয়ার জন্য অনেক সময় বড় কারণ থাকে, বড় ঘটনা ঘটে। অনেক সময় আবার তেমন কোনো কারণও দরকার হয় না। আমার এই জার্নিতে আরও একজন মানুষ জড়িত। তারও ব্যক্তিগত জীবন আছে। বিচ্ছেদ নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চাই না।’
২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু হয় বিন্দুর। অল্প দিনেই হয়ে ওঠেন মিডিয়ার নিয়মিত মুখ। অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার আগে ২০১৪ সালের শুধু কোরবানির ঈদেই প্রচারিত হয় তাঁর অভিনীত ৫২টি নাটক। ছোট পর্দার পাশাপাশি বিন্দু অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও।
ক্যারিয়ারের শুরুতে আরিফিন শুভর সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। পর্দায় তাঁদের জুটি অনেক জনপ্রিয় ছিল। অনস্ক্রিন কেমেস্ট্রির প্রভাব পড়েছিল দুজনের বাস্তব জীবনেও। একসময় শুভর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান বিন্দু। সেই প্রেমের কথা স্বীকারও করেছেন অভিনেত্রী। কেন তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল? বিন্দুর সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘এর উত্তর আমার কাছে নেই। দুটি মানুষের জার্নি যে একসঙ্গে একই গন্তব্যে শেষ হবে, এমন তো কোনো কথা নেই।’
প্রায় এক দশকের বিরতি কাটিয়ে ২০২৩ সালে ‘উনিশ ২০’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে অভিনয়ে ফেরেন বিন্দু। মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনায় এতে বিন্দুর বিপরীতে ছিলেন সেই আরিফিন শুভই। তবে এরপর আর কোনো কাজে দেখা যায়নি বিন্দুকে। তবে তিনি নিয়মিত অভিনয় করতে চান। বিন্দু বলেন, ‘শিল্পী হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত। এখন আমাকে নিয়ে কাজ করার চিন্তা, আমার পেছনে ইনভেস্ট করার বিষয়গুলো ভাবতে হবে। এমন ধরনের কাজ করতে চাই, যেগুলো এখনো করিনি। আমি চাই, নির্মাতারা আমাকে নিয়ে এমনভাবে ভাবুক, যেমনটা আগে ভাবা হয়নি।’
অভিনয় ছেড়ে দিয়ে বছর পাঁচেক আগে ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়েছেন বিন্দু। গুলশানে রয়েছে তাঁর একটি বুটিক হাউস। ‘আফসান বিন্দু ডিজাইনার স্টুডিও’ নামের এ ব্র্যান্ডের পোশাক বিন্দু নিজেই ডিজাইন করেন। ২০২০ সালে যখন প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেন বিন্দু, তখন তাঁর কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র একজন। তবে এখন তাঁর সঙ্গে ১৫ জন কাজ করেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

বাবা ভিক্ষু সাধু ছিলেন সংগীতপ্রেমী মানুষ। ২০০১ সালে পৃথিবী ছেড়ে যান তিনি। ওই সময় থেকে অনেক অভাব-অনটন থাকলেও বাবার অনেক ভক্ত আসতেন বাড়িতে। এ ছাড়া বিভিন্ন পাগল-সন্ন্যাসী আসতেন। তাঁদের সঙ্গে যেতেন ভারতের বিভিন্ন জায়গায়। সেখানে গান-বাজনা হতো। পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই তাঁরা ভারতে যেতেন। তখন তারকাটার বেড়া ছিল
০৫ নভেম্বর ২০২১
নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
১৪ ঘণ্টা আগে
গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর।
১৪ ঘণ্টা আগে
‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
এবারের ইত্যাদির মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি শতাধিক বছরের প্রাচীন হাজারদুয়ারি নামে খ্যাত ঐতিহ্যবাহী স্কুল নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। এবারের পর্বে গান রয়েছে দুটি। একটি গান গেয়েছেন লোকসংগীতশিল্পী বিউটি ও পান্থ কানাই। গানটির কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়াডাঙ্গার কৃষ্টিকথা ও ইতিহাসগাথা নিয়ে রয়েছে শাহ আলম সনির কথায় একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে নৃত্য। গানটির সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী। পরিবেশন করেছেন স্থানীয় নৃত্যশিল্পীরা। এ ছাড়া ইত্যাদির নতুন পর্বে থাকছে চুয়াডাঙ্গা নিয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন। রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান-স্থাপনার ওপর একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।
ইত্যাদির নিয়মিত আয়োজন চিঠিপত্র পর্বে উঠে এসেছে চুয়াডাঙ্গার একজন ব্যতিক্রমী ছড়াকারের গল্প। আরও রয়েছে সামাজিক অসংগতি ও সমসাময়িক প্রসঙ্গনির্ভর নাটিকা। দানের নামে ফটোসেশন, সংসারের ভারে স্বপ্নভঙ্গ, মিষ্টি নিয়ে অনাসৃষ্টি, ইংরেজির দাপটে অসহায় বাংলা ভাষা, বোঝা না বোঝার বোঝা, স্টাইলিশ আইকনের বিপত্তি, লোম বাছতে কম্বল উজাড়সহ কয়েকটি নাট্যাংশে অভিনয় করেছেন সোলায়মান খোকা, সুভাশিষ ভৌমিক, আবদুল্লাহ রানা, আমিন আজাদ, কাজী আসাদ, মুকিত জাকারিয়া, আনোয়ার শাহী, শাহেদ আলী, জামিল হোসেন, আনন্দ খালেদ, তারিক স্বপন, আবু হেনা রনি প্রমুখ।
ইত্যাদির এই পর্ব দেখা যাবে ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনে রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।

নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
এবারের ইত্যাদির মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি শতাধিক বছরের প্রাচীন হাজারদুয়ারি নামে খ্যাত ঐতিহ্যবাহী স্কুল নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। এবারের পর্বে গান রয়েছে দুটি। একটি গান গেয়েছেন লোকসংগীতশিল্পী বিউটি ও পান্থ কানাই। গানটির কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়াডাঙ্গার কৃষ্টিকথা ও ইতিহাসগাথা নিয়ে রয়েছে শাহ আলম সনির কথায় একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে নৃত্য। গানটির সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী। পরিবেশন করেছেন স্থানীয় নৃত্যশিল্পীরা। এ ছাড়া ইত্যাদির নতুন পর্বে থাকছে চুয়াডাঙ্গা নিয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন। রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান-স্থাপনার ওপর একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।
ইত্যাদির নিয়মিত আয়োজন চিঠিপত্র পর্বে উঠে এসেছে চুয়াডাঙ্গার একজন ব্যতিক্রমী ছড়াকারের গল্প। আরও রয়েছে সামাজিক অসংগতি ও সমসাময়িক প্রসঙ্গনির্ভর নাটিকা। দানের নামে ফটোসেশন, সংসারের ভারে স্বপ্নভঙ্গ, মিষ্টি নিয়ে অনাসৃষ্টি, ইংরেজির দাপটে অসহায় বাংলা ভাষা, বোঝা না বোঝার বোঝা, স্টাইলিশ আইকনের বিপত্তি, লোম বাছতে কম্বল উজাড়সহ কয়েকটি নাট্যাংশে অভিনয় করেছেন সোলায়মান খোকা, সুভাশিষ ভৌমিক, আবদুল্লাহ রানা, আমিন আজাদ, কাজী আসাদ, মুকিত জাকারিয়া, আনোয়ার শাহী, শাহেদ আলী, জামিল হোসেন, আনন্দ খালেদ, তারিক স্বপন, আবু হেনা রনি প্রমুখ।
ইত্যাদির এই পর্ব দেখা যাবে ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনে রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।

বাবা ভিক্ষু সাধু ছিলেন সংগীতপ্রেমী মানুষ। ২০০১ সালে পৃথিবী ছেড়ে যান তিনি। ওই সময় থেকে অনেক অভাব-অনটন থাকলেও বাবার অনেক ভক্ত আসতেন বাড়িতে। এ ছাড়া বিভিন্ন পাগল-সন্ন্যাসী আসতেন। তাঁদের সঙ্গে যেতেন ভারতের বিভিন্ন জায়গায়। সেখানে গান-বাজনা হতো। পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই তাঁরা ভারতে যেতেন। তখন তারকাটার বেড়া ছিল
০৫ নভেম্বর ২০২১
২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর।
১৪ ঘণ্টা আগে
গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর।
১৪ ঘণ্টা আগে
‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর। ২৪ থেকে ২৭ ডিসেম্বর টানা চার দিন দেখা যাবে নাটকের সাতটি প্রদর্শনী।
কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের লেখা একই শিরোনামের গল্প অবলম্বনে এর নাট্যরূপ দিয়েছেন লেখক নিজে। নির্দেশনায় সাইফ সুমন। ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দেখা যাবে মহাশূন্যে সাইকেল। ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর প্রতিদিন বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মঞ্চস্থ হবে আরও ছয়টি প্রদর্শনী।
নাট্যকার শাহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কিছু কথা অনেকের সঙ্গে বলি, কিছু কথা নির্দিষ্ট মানুষের সঙ্গে বলি আর কিছু কথা শুধু নিজের সঙ্গে বলি। যেকোনো ক্রান্তির সময় নিজের সঙ্গে এই বোঝাপড়ার মাত্রা এবং ব্যাপ্তি সম্ভবত বেড়ে যায়। মহাশূন্যে সাইকেলের মূল ভাবনাটা এ রকম। গত বছর এই গল্পের নাট্যরূপ দিই। একজন ব্যক্তি নিজেকে দুই ভাগ করে তার এই দুই সত্তার সঙ্গে মঞ্চে কথোপকথন করছে। দর্শক হিসেবে একজন ব্যক্তির এই একান্ত বিভক্ত সত্তার ভেতরে এই কথোপকথন দেখার ভেতরে একটা গোপন কৌতূহল হয়তো আছে। কিংবা নিজের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়ার আনন্দ আছে।’
নির্দেশক সাইফ সুমন বলেন, ‘ভোগবাদিতা আর ব্যক্তিস্বার্থের কারণে মানুষ এখন প্রতিনিয়তই পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। পরিবার, বন্ধু, সমাজ থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হচ্ছি আমরা। কখনো কখনো মানুষের মধ্যে বাস্তবের চেয়ে কল্পনা বা অলৌকিক জগৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরিবারের সঙ্গে থেকেও একা অনুভব করে। সেই কথাই বলার চেষ্টা হয়েছে নাটকে।’
মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোহাম্মদ বারী, এস আর সম্পদ, প্রশান্ত হালদার, নুরুজ্জামান সরকার, রীমা প্রমুখ।

গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর। ২৪ থেকে ২৭ ডিসেম্বর টানা চার দিন দেখা যাবে নাটকের সাতটি প্রদর্শনী।
কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের লেখা একই শিরোনামের গল্প অবলম্বনে এর নাট্যরূপ দিয়েছেন লেখক নিজে। নির্দেশনায় সাইফ সুমন। ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দেখা যাবে মহাশূন্যে সাইকেল। ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর প্রতিদিন বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মঞ্চস্থ হবে আরও ছয়টি প্রদর্শনী।
নাট্যকার শাহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কিছু কথা অনেকের সঙ্গে বলি, কিছু কথা নির্দিষ্ট মানুষের সঙ্গে বলি আর কিছু কথা শুধু নিজের সঙ্গে বলি। যেকোনো ক্রান্তির সময় নিজের সঙ্গে এই বোঝাপড়ার মাত্রা এবং ব্যাপ্তি সম্ভবত বেড়ে যায়। মহাশূন্যে সাইকেলের মূল ভাবনাটা এ রকম। গত বছর এই গল্পের নাট্যরূপ দিই। একজন ব্যক্তি নিজেকে দুই ভাগ করে তার এই দুই সত্তার সঙ্গে মঞ্চে কথোপকথন করছে। দর্শক হিসেবে একজন ব্যক্তির এই একান্ত বিভক্ত সত্তার ভেতরে এই কথোপকথন দেখার ভেতরে একটা গোপন কৌতূহল হয়তো আছে। কিংবা নিজের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়ার আনন্দ আছে।’
নির্দেশক সাইফ সুমন বলেন, ‘ভোগবাদিতা আর ব্যক্তিস্বার্থের কারণে মানুষ এখন প্রতিনিয়তই পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। পরিবার, বন্ধু, সমাজ থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হচ্ছি আমরা। কখনো কখনো মানুষের মধ্যে বাস্তবের চেয়ে কল্পনা বা অলৌকিক জগৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরিবারের সঙ্গে থেকেও একা অনুভব করে। সেই কথাই বলার চেষ্টা হয়েছে নাটকে।’
মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোহাম্মদ বারী, এস আর সম্পদ, প্রশান্ত হালদার, নুরুজ্জামান সরকার, রীমা প্রমুখ।

বাবা ভিক্ষু সাধু ছিলেন সংগীতপ্রেমী মানুষ। ২০০১ সালে পৃথিবী ছেড়ে যান তিনি। ওই সময় থেকে অনেক অভাব-অনটন থাকলেও বাবার অনেক ভক্ত আসতেন বাড়িতে। এ ছাড়া বিভিন্ন পাগল-সন্ন্যাসী আসতেন। তাঁদের সঙ্গে যেতেন ভারতের বিভিন্ন জায়গায়। সেখানে গান-বাজনা হতো। পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই তাঁরা ভারতে যেতেন। তখন তারকাটার বেড়া ছিল
০৫ নভেম্বর ২০২১
২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর।
১৪ ঘণ্টা আগে
নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
১৪ ঘণ্টা আগে
‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি। টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রের নাম নাদিয়া। গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে এ সিনেমায় কিয়ারার চরিত্রের লুক।
শোবিজে কিয়ারার এক যুগ হতে চলেছে। ২০১৪ সালে ‘ফুগলি’ দিয়ে যাত্রা শুরুর পর এ পর্যন্ত ২০টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। প্রতিটিতেই দেখা দিয়েছেন বৈচিত্র্যময় চরিত্রে। তবে টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রটি যে একেবারেই আলাদা হতে চলেছে, সে আভাস পাওয়া গেল সদ্য মুক্তি পাওয়া ফার্স্ট লুক পোস্টারে। এতে তাঁকে দেখা যাবে একজন সার্কাসশিল্পী হিসেবে।
ফার্স্ট লুক পোস্টারে আলো ঝলমলে সার্কাসের সেটে অফ-শোল্ডার ভেলভেট গাউন পরে দাঁড়িয়ে আছে কিয়ারা অভিনীত নাদিয়া চরিত্রটি। চোখে-মুখে বিষণ্নতা, ক্লান্তির ছাপ। সার্কাসের মঞ্চে জাঁকজমক আবহে নৃত্যরত যে শিল্পীকে দেখা যায় দর্শকের সামনে, তার মনের ভেতরে অনেক সময় চলে দুঃখের দোলাচল। ভেতরে জমাট কষ্ট নিয়েই হাসিমুখে দর্শকের সামনে পারফর্ম করে তারা। টক্সিকের পোস্টারে তেমনটাই ধরা পড়েছে। এমনই এক জটিল চরিত্র নিয়ে দর্শকের সামনে আসবেন কিয়ারা।
ভিএন প্রোডাকশন এবং মনস্টার মাইন্ড ক্রিয়েশনসের ব্যানারে নির্মিত বিগ-বাজেট সিনেমা টক্সিক মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ। দক্ষিণি মেগাস্টার যশ ও কিয়ারার এই নতুন রসায়ন বড় পর্দায় দেখার জন্য এখন থেকেই অপেক্ষায় অনুরাগীরা। এতে আরও অভিনয় করেছেন নয়নতারা, তারা সুতারিয়া, হুমা কুরেশি, অক্ষয় ওবেরয় প্রমুখ।
ইংরেজি ও কন্নড়—দুই ভাষাতেই টক্সিক সিনেমার শুটিং করা হয়েছে। পাশাপাশি হিন্দি, তেলুগু, তামিল, মালয়ালমসহ বিভিন্ন ভাষায় ডাব করা হবে। এতে কিয়ারার পারফরম্যান্স নিয়ে নির্মাতা গিতু মোহনদাস বলেন, ‘কিছু পারফরম্যান্স শুধু পর্দায় নয়, প্রভাব ফেলে শিল্পীর জীবনেও। টক্সিক সিনেমায় কিয়ারা যা করেছে, তার কোনো তুলনা হয় না। সিনেমাটি নিয়ে আমাদের প্রথম আলাপের মুহূর্ত থেকেই তিনি চরিত্রটির প্রতি নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করেছেন। তিনি শুধু নাদিয়া চরিত্রে অভিনয় করেননি, নিজেও চরিত্রটির মতো করেই যাপন করেছেন।’
প্রসঙ্গত, বলিউডের তারকা দম্পতি কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সংসারে নতুন সদস্য এসেছে গত ১৫ জুলাই। এখন সন্তানকে নিয়েই পুরো সময়টা কাটছে অভিনেত্রীর। আর একটু একটু করে নিচ্ছেন আবার শোবিজে ফেরার প্রস্তুতি।

‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি। টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রের নাম নাদিয়া। গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে এ সিনেমায় কিয়ারার চরিত্রের লুক।
শোবিজে কিয়ারার এক যুগ হতে চলেছে। ২০১৪ সালে ‘ফুগলি’ দিয়ে যাত্রা শুরুর পর এ পর্যন্ত ২০টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। প্রতিটিতেই দেখা দিয়েছেন বৈচিত্র্যময় চরিত্রে। তবে টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রটি যে একেবারেই আলাদা হতে চলেছে, সে আভাস পাওয়া গেল সদ্য মুক্তি পাওয়া ফার্স্ট লুক পোস্টারে। এতে তাঁকে দেখা যাবে একজন সার্কাসশিল্পী হিসেবে।
ফার্স্ট লুক পোস্টারে আলো ঝলমলে সার্কাসের সেটে অফ-শোল্ডার ভেলভেট গাউন পরে দাঁড়িয়ে আছে কিয়ারা অভিনীত নাদিয়া চরিত্রটি। চোখে-মুখে বিষণ্নতা, ক্লান্তির ছাপ। সার্কাসের মঞ্চে জাঁকজমক আবহে নৃত্যরত যে শিল্পীকে দেখা যায় দর্শকের সামনে, তার মনের ভেতরে অনেক সময় চলে দুঃখের দোলাচল। ভেতরে জমাট কষ্ট নিয়েই হাসিমুখে দর্শকের সামনে পারফর্ম করে তারা। টক্সিকের পোস্টারে তেমনটাই ধরা পড়েছে। এমনই এক জটিল চরিত্র নিয়ে দর্শকের সামনে আসবেন কিয়ারা।
ভিএন প্রোডাকশন এবং মনস্টার মাইন্ড ক্রিয়েশনসের ব্যানারে নির্মিত বিগ-বাজেট সিনেমা টক্সিক মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ। দক্ষিণি মেগাস্টার যশ ও কিয়ারার এই নতুন রসায়ন বড় পর্দায় দেখার জন্য এখন থেকেই অপেক্ষায় অনুরাগীরা। এতে আরও অভিনয় করেছেন নয়নতারা, তারা সুতারিয়া, হুমা কুরেশি, অক্ষয় ওবেরয় প্রমুখ।
ইংরেজি ও কন্নড়—দুই ভাষাতেই টক্সিক সিনেমার শুটিং করা হয়েছে। পাশাপাশি হিন্দি, তেলুগু, তামিল, মালয়ালমসহ বিভিন্ন ভাষায় ডাব করা হবে। এতে কিয়ারার পারফরম্যান্স নিয়ে নির্মাতা গিতু মোহনদাস বলেন, ‘কিছু পারফরম্যান্স শুধু পর্দায় নয়, প্রভাব ফেলে শিল্পীর জীবনেও। টক্সিক সিনেমায় কিয়ারা যা করেছে, তার কোনো তুলনা হয় না। সিনেমাটি নিয়ে আমাদের প্রথম আলাপের মুহূর্ত থেকেই তিনি চরিত্রটির প্রতি নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করেছেন। তিনি শুধু নাদিয়া চরিত্রে অভিনয় করেননি, নিজেও চরিত্রটির মতো করেই যাপন করেছেন।’
প্রসঙ্গত, বলিউডের তারকা দম্পতি কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সংসারে নতুন সদস্য এসেছে গত ১৫ জুলাই। এখন সন্তানকে নিয়েই পুরো সময়টা কাটছে অভিনেত্রীর। আর একটু একটু করে নিচ্ছেন আবার শোবিজে ফেরার প্রস্তুতি।

বাবা ভিক্ষু সাধু ছিলেন সংগীতপ্রেমী মানুষ। ২০০১ সালে পৃথিবী ছেড়ে যান তিনি। ওই সময় থেকে অনেক অভাব-অনটন থাকলেও বাবার অনেক ভক্ত আসতেন বাড়িতে। এ ছাড়া বিভিন্ন পাগল-সন্ন্যাসী আসতেন। তাঁদের সঙ্গে যেতেন ভারতের বিভিন্ন জায়গায়। সেখানে গান-বাজনা হতো। পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই তাঁরা ভারতে যেতেন। তখন তারকাটার বেড়া ছিল
০৫ নভেম্বর ২০২১
২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর।
১৪ ঘণ্টা আগে
নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
১৪ ঘণ্টা আগে
গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর।
১৪ ঘণ্টা আগে