পপগুরু আজম খানকে হারানোর এক যুগ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৩, ১১: ১২

আজ বাংলাদেশের ‘পপগুরু’খ্যাত আজম খানকে হারানোর এক যুগ। বাংলার পপ সংগীতের কিংবদন্তি বলা হয় আজম খানকে। মাত্র ২১ বছর বয়সে ঢাকা উত্তরের সেকশন কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন বিখ্যাত এই পপ তারকা।

প্রগতিশীল চেতনার ধারক আজম খান ১৯৬৯’ র গণ-অভ্যুত্থানের সময়েই সোচ্চার হয়ে ওঠেন। সেসময়ের ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য হিসেবে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণসংগীত প্রচারে অংশ নেন তিনি।

এরপর ১৯৭১ সালে পাক হানাদারের বিরুদ্ধে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন আজম খান। কুমিল্লা ও ঢাকার আশপাশে সেকশন কমান্ডার হিসেবে অনেকগুলো গেরিলা আক্রমণে অংশ নেন তিনি।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পরই গান নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন আজম খান। গড়ে তুলেছিলেন নিজের ব্যান্ডদল ‘উচ্চারণ’। ১৯৭২ সালে ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ এবং ‘চার কালেমা সাক্ষী দেবে’ গান দুটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় বাংলাদেশ টেলিভিশনে। মুহূর্তেই গান দুটি দেশজুড়ে পরিচিতি পেয়ে যায়। প্রশংসা আর তুমুল জনপ্রিয়তায় ভাসতে থাকে ব্যান্ডদল ‘উচ্চারণ’ ও আজম খান।

আজম খান। ছবি: সংগৃহীত১৯৭২ সালে নটরডেম কলেজ প্রাঙ্গণে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো দর্শকের সামনে গান করেন আজম খান। ১৯৮২ সালে ‘এক যুগ’ নামে তাঁর প্রথম ক্যাসেট বের করেন তিনি। এরপর তাঁর বেশ কিছু ক্যাসেট এবং সিডি বাজারজাত হয়। তাঁর প্রথম সিডি বের হয় ১৯৯৯ সালের ৩ মে ডিস্কো রেকর্ডিংয়ের প্রযোজনায়। তিনি ১৯৭৪-১৯৭৫ সালের দিকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’ শিরোনামে গান গেয়ে হইচই ফেলে দেন দেশব্যাপী।
 
আজম খানের ১৭টি গানের অ্যালবামসহ বেশ কিছু মিক্সড অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। জনপ্রিয় এই পপ তারকার অসংখ্য জনপ্রিয় গানের মাঝে উল্লেখযোগ্য কিছু গান হলো: আমি যারে চাইরে, অভিমানী তুমি কোথায়, একদিন-তো চলে যাব, জীবনে কিছু পাব নারে, আসি আসি বলে তুমি আর এলে না, ও চাঁদ সুন্দর চাঁদ, চুপ চুপ অনামিকা চুপ, হারিয়ে গেছ খুঁজে পাব না, ঘুম আসে না-সহ আরও অসংখ্য খান।
 
২০১০ সালে তিনি ক্যানসার আক্রান্ত হন। ২০১১ সালের ৫ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান জনপ্রিয় এই পপসম্রাট। তবু আজও রয়ে গেছেন ভক্তদের ভালোবাসায়। তিনি আছেন ভক্তদের অন্তরেই।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত