ডা. এম মুজিবুর রহমান
একটি বাসযোগ্য আগামীর জন্য সারা বিশ্বে প্রণীহিতৈষী সংস্থাগুলো স্ট্যান্ডার্ড অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার জোরদার করতে প্রতিবছর ৪ অক্টোবর বিশ্ব প্রাণী দিবস হিসেবে উদ্যাপন করে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বন ও জীবিকা: টেকসই পৃথিবী ও জীবন। এ দিবসের উদ্দেশ্য বিশ্বজুড়ে প্রাণী অধিকার, প্রাণী কল্যাণ জোরদার করা এবং বিভিন্ন প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতার অবসান।
বিশ্বজুড়ে যারা প্রাণীদের প্রতি যত্নশীল, তাদের এই দিবস পালনে উৎসাহিত করার পাশাপাশি দিবসটিতে এ নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার একটা চেষ্টা থাকে। এই দিবস অন্য প্রাণের সঙ্গে মানবজাতির অনন্য সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেয়। এটি এমন একটি বিষয়, যার সঙ্গে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই যোগ দিতে পারেন। এই দিবসের একটা অন্যতম লক্ষ্য থাকে এ সম্পর্কিত বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচারের মাধ্যমে প্রাণীদের প্রতি সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি।
পৃথিবী তো আসলে সবার। সব প্রাণের সমন্বয়েই এই পৃথিবীর আসল চরিত্র। এমন এক পৃথিবীর স্বপ্ন আমরা দেখি, যেখানে প্রাণীজগৎকে সংবেদনশীল হিসেবে স্বীকৃতি এবং তাদের আবেগ সম্পর্কে সচেতন, তাদের ব্যথা-যন্ত্রণা অনুভব এবং তাদের সুস্থতা নিয়ে সজাগ থাকবে মানুষ। এমন এক পৃথিবী গড়ার দিকেই সবার মনোযোগ থাকে, যেখানে প্রাণীদের কল্যাণমূলক প্রয়োজনীয়তার প্রতি পুরোপুরি মনোযোগ দেওয়া হয়, যেখানে পশুদের প্রতি কোনো ধরনের নৃশংসতা করা হয় না এবং তাদের শারীরবৃত্তীয় এবং আচরণগত চাহিদা বিবেচনায় নেওয়া হয়।
প্রাণীর পাঁচটি অধিকার জানুন
বাসযোগ্য একটি সুন্দর পৃথিবীর জন্য মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে সুসম্পর্ক থাকা চাই। এ জন্য প্রত্যককে প্রাণীর সঠিক পরিচর্যা ও তাদের প্রতি মানুষের আচরণ সম্পর্কিত স্পষ্ট ধারণা রাখা উচিত। বেঁচে থাকার জন্য মানুষের মতোই প্রাণীর রয়েছে কিছু নিজস্ব অধিকার। প্রাণী থেকে মানুষে ছড়ানো যেকোনো রোগের প্রকোপ থেকে বাঁচতে সেসবের প্রতি মানুষকে মনোযোগী হতে হবে। এ ক্ষেত্রে যে পাঁচ অধিকারের দিকে নজর দিতে হবে—
১। ক্ষুধা ও তৃষ্ণামুক্ত থাকার অধিকার: প্রাণী পালকের অধীনস্থ প্রত্যেক প্রাণীর জন্য অবশ্যই নিরাপদ খাবার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকবে।
২। আরামদায়ক পরিবেশে থাকার অধিকার: তীব্র গরম, বৃষ্টি, চরম ঠান্ডা এড়াতে প্রাণীর জন্য অবশ্যই আরামদায়ক পরিবেশের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৩। ব্যথা, আঘাত ও রোগমুক্ত থাকার অধিকার: আঘাতপ্রাপ্ত, রোগে আক্রান্ত প্রাণীকে অবশ্যই প্রাণী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। পোষা প্রাণীকে অবশ্যই জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪। স্বাভাবিক আচরণ প্রকাশের অধিকার: প্রাণীকে অবশ্যই হাঁটা, দৌড়ানো ও খেলার সুযোগ দিতে হবে। কোনো প্রাণীকে অনেকক্ষণের জন্য আটকে রাখা যাবে না।
৫। ভয় ও কষ্টমুক্ত থাকার অধিকার: ইচ্ছাকৃত হোক বা অনিচ্ছাকৃত কোনোভাবেই প্রাণীকে আঘাত করা যাবে না।
লেখক: এমডিভি এক্সপার্ট, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
একটি বাসযোগ্য আগামীর জন্য সারা বিশ্বে প্রণীহিতৈষী সংস্থাগুলো স্ট্যান্ডার্ড অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার জোরদার করতে প্রতিবছর ৪ অক্টোবর বিশ্ব প্রাণী দিবস হিসেবে উদ্যাপন করে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বন ও জীবিকা: টেকসই পৃথিবী ও জীবন। এ দিবসের উদ্দেশ্য বিশ্বজুড়ে প্রাণী অধিকার, প্রাণী কল্যাণ জোরদার করা এবং বিভিন্ন প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতার অবসান।
বিশ্বজুড়ে যারা প্রাণীদের প্রতি যত্নশীল, তাদের এই দিবস পালনে উৎসাহিত করার পাশাপাশি দিবসটিতে এ নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার একটা চেষ্টা থাকে। এই দিবস অন্য প্রাণের সঙ্গে মানবজাতির অনন্য সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেয়। এটি এমন একটি বিষয়, যার সঙ্গে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই যোগ দিতে পারেন। এই দিবসের একটা অন্যতম লক্ষ্য থাকে এ সম্পর্কিত বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচারের মাধ্যমে প্রাণীদের প্রতি সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি।
পৃথিবী তো আসলে সবার। সব প্রাণের সমন্বয়েই এই পৃথিবীর আসল চরিত্র। এমন এক পৃথিবীর স্বপ্ন আমরা দেখি, যেখানে প্রাণীজগৎকে সংবেদনশীল হিসেবে স্বীকৃতি এবং তাদের আবেগ সম্পর্কে সচেতন, তাদের ব্যথা-যন্ত্রণা অনুভব এবং তাদের সুস্থতা নিয়ে সজাগ থাকবে মানুষ। এমন এক পৃথিবী গড়ার দিকেই সবার মনোযোগ থাকে, যেখানে প্রাণীদের কল্যাণমূলক প্রয়োজনীয়তার প্রতি পুরোপুরি মনোযোগ দেওয়া হয়, যেখানে পশুদের প্রতি কোনো ধরনের নৃশংসতা করা হয় না এবং তাদের শারীরবৃত্তীয় এবং আচরণগত চাহিদা বিবেচনায় নেওয়া হয়।
প্রাণীর পাঁচটি অধিকার জানুন
বাসযোগ্য একটি সুন্দর পৃথিবীর জন্য মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে সুসম্পর্ক থাকা চাই। এ জন্য প্রত্যককে প্রাণীর সঠিক পরিচর্যা ও তাদের প্রতি মানুষের আচরণ সম্পর্কিত স্পষ্ট ধারণা রাখা উচিত। বেঁচে থাকার জন্য মানুষের মতোই প্রাণীর রয়েছে কিছু নিজস্ব অধিকার। প্রাণী থেকে মানুষে ছড়ানো যেকোনো রোগের প্রকোপ থেকে বাঁচতে সেসবের প্রতি মানুষকে মনোযোগী হতে হবে। এ ক্ষেত্রে যে পাঁচ অধিকারের দিকে নজর দিতে হবে—
১। ক্ষুধা ও তৃষ্ণামুক্ত থাকার অধিকার: প্রাণী পালকের অধীনস্থ প্রত্যেক প্রাণীর জন্য অবশ্যই নিরাপদ খাবার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকবে।
২। আরামদায়ক পরিবেশে থাকার অধিকার: তীব্র গরম, বৃষ্টি, চরম ঠান্ডা এড়াতে প্রাণীর জন্য অবশ্যই আরামদায়ক পরিবেশের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৩। ব্যথা, আঘাত ও রোগমুক্ত থাকার অধিকার: আঘাতপ্রাপ্ত, রোগে আক্রান্ত প্রাণীকে অবশ্যই প্রাণী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। পোষা প্রাণীকে অবশ্যই জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪। স্বাভাবিক আচরণ প্রকাশের অধিকার: প্রাণীকে অবশ্যই হাঁটা, দৌড়ানো ও খেলার সুযোগ দিতে হবে। কোনো প্রাণীকে অনেকক্ষণের জন্য আটকে রাখা যাবে না।
৫। ভয় ও কষ্টমুক্ত থাকার অধিকার: ইচ্ছাকৃত হোক বা অনিচ্ছাকৃত কোনোভাবেই প্রাণীকে আঘাত করা যাবে না।
লেখক: এমডিভি এক্সপার্ট, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
আজারবাইজানের বাকুতে চলমান জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলন কপ–২৯ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত শুক্রবার (২২ নভেম্বর)। উন্নত দেশগুলোর কাছে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি পোষাতে বছরে ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন (১ লাখ ৩০ হাজার কোটি) ডলার অর্থায়নের প্রস্তাব ছিল। এ আলোচনার কোনো সমাধান না পাওয়ায় সম্মেলনের সময় একদিন বাড়ানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি সময়ের সঙ্গে আরও ঘনীভূত হতে পারে। এ দিকে আজ রোববার দেশের উত্তরাঞ্চলে ঘন কুয়াশা পূর্বাভাস রয়েছে...
৫ ঘণ্টা আগেআজারবাইজানের জলবায়ু সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আরও একবার হতাশ করেছেন নীতিনির্ধারকেরা। সম্মেলনের শেষ দিনে এসে বার্ষিক ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার খসড়া উপস্থাপন করেছে কপ প্রেসিডেন্সি।
৫ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাসে আজ আরও অবনতি ঘটেছে। বাতাসের মান সূচকে শীর্ষ ২ অবস্থান করছে। আজ ঢাকায় দূষণের মাত্রা ২৯১, যা অস্বাস্থ্যকর বিবেচনা করা হয়। অন্যদিকে বায়ুদূষণের শীর্ষে অবস্থান করছে পাকিস্তানের লাহোর। এর পরে আছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপটও...
৬ ঘণ্টা আগে