অনলাইন ডেস্ক
আর্কটিক মহাসাগরের বরফ শীতল পানি প্রতি বছর ১৮ কোটি টন কার্বন শোষণ করে। কিন্তু বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে এ মহাসাগর থেকে ভয়াবহভাবে বাড়ছে কার্বন–ডাই–অক্সাইড নির্গমন। এটি নিউইয়র্ক শহর এক বছরে যত কার্বন নির্গমন করে তার তিনগুণ বেশি। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণা বলছে, পার্মাফ্রস্ট (মেরু অঞ্চলের স্থায়ী বরফ) গলে যাওয়ায় এবং কানাডার ম্যাকেঞ্জি নদীর কার্বন যৌগ সমৃদ্ধ প্রবাহ আর্কটিক মহাসাগরে মিলিত হওয়ায় সাগরের পানি কার্বন–ডাই–অক্সাইড শোষণের চেয়ে নির্গমন করছে বেশি।
কয়েক দশক ধরেই বিজ্ঞানীরা উন্মুক্ত সমুদ্র ও পরিবেশের মধ্যে কার্বন চক্র নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ প্রক্রিয়াকে বলা হয় বায়ু–সমুদ্র কার্বন–ডাই–অক্সাইড ফ্লাক্স। আর্কটিকের উপকূলীয় প্রান্ত বরাবর কার্বন চক্র পর্যবেক্ষণের তেমন কোনো রেকর্ড নেই। আর্কটিকের ভূমি, বরফ ও দীর্ঘ মেরু রাতের কারণে সেখানে দীর্ঘমেয়াদি পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা বেশ চ্যালেঞ্জিং।
গবেষণা প্রতিবেদনের প্রধান লেখক ও ফ্রান্সের লিটোরাল এনভায়রনমেন্ট অ্যাট সোসাইটিজের বিজ্ঞানী ক্লিমেন্ট বারটিন বলেন, ‘আমাদের মডেলের মাধ্যমে, আমরা আর্কটিক কার্বন চক্রে উপকূলীয় পরিবেশ এবং নদীগুলোর প্রকৃত ভূমিকা খোঁজার চেষ্টা করছি।’
এ ধরনের পর্যবেক্ষণ বেশ জটিল কারণ আর্কটিক মহাসাগরের অর্ধেকের মতো এলাকাই তৈরি হয়েছে উপকূলীয় পানি দিয়ে। এখানে ভূমি ও সমুদ্র জটিলভাবে মিলিত হয়েছে। গবেষণাটি আর্কটিক মহাসাগরের নির্দিষ্ট একটি স্থানকে কেন্দ্র করে হলেও, এটি সেখানকার বিস্তৃত অঞ্চলের চলমান পরিবেশগত পরিবর্তনের বিষয়টি বুঝতে সহায়তা করবে।
গবেষণায় ম্যাকেঞ্জি নদী নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালানো হয়েছে। এ নদী আর্কটিক মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিউফোর্ট সাগরে গিয়ে মিলিত হয়েছে। এ পরীক্ষার জন্য বৈশ্বিক মহাসাগর জৈব–ভূ–রাসায়নিক মডেল ইসিসিও–ডারউইন ব্যবহার করা হয়েছে। মডেলটি দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি এবং ক্যামব্রিজের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) তৈরি করা হয়েছে।
মডেলটি সমুদ্র এবং স্যাটেলাইটভিত্তিক সরঞ্জাম দিয়ে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সংগৃহীত সমুদ্র পর্যবেক্ষণের প্রায় সমস্ত উপাত্ত সমন্বয় করে। বিজ্ঞানীরা প্রায় ২০ বছর ধরে (২০০০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত) কার্বন, নাইট্রোজেন এবং সিলিকাবাহী মিঠা পানির প্রবাহের কম্পিউটার সিমুলেশন তৈরিতে এই মডেল ব্যবহার করেছেন।
ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার গবেষকেরা বলছেন, ম্যাকেঞ্জি নদীর প্রবাহ বিউফোর্ট সাগরের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলে তীব্র গ্যাস নিঃসরণ ঘটাতে শুরু করেছে, যা কার্বনের ভারসাম্য নষ্ট করছে। এতে প্রতি বছর নিট কার্বন–ডাই–অক্সাইড নির্গমনের পরিমাণ ১ লাখ ৩০ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে, যা গ্যাসোলিন চালিত ২৮ হাজার গাড়ির বার্ষিক কার্বন নিঃসরণের সমান।
পরিবেশে কার্বন–ডাই–অক্সাইডের নিঃসরণ মৌসুম ভেদে ভিন্ন হয়। উষ্ণ মাসগুলোতে নদীর প্রবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে কার্বন নিঃসরণের হার বেড়ে যায়। এ সময় গ্যাস আটকে রাখার জন্য সমুদ্রে বরফের পরিমাণ কম থাকে। ১৯৭০–এর দশক থেকে আর্কটিক অঞ্চলের তাপমাত্রা বিশ্বের অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় অন্তত তিনগুণ দ্রুত গতিতে বাড়ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এতে সমুদ্রের পানি ও বাস্তুতন্ত্রে পরিবর্তন এসেছে।
এ ধরনের পরিবর্তনের কারণে ওই অঞ্চলে কার্বন–ডাই–অক্সাইড অবমুক্তের হার আরও বেড়ে যাচ্ছে, যেখানে অন্যান্য অঞ্চলের বরফ কার্বন–ডাই–অক্সাইড শোষণ করে।
আর্কটিক মহাসাগরের বরফ শীতল পানি প্রতি বছর ১৮ কোটি টন কার্বন শোষণ করে। কিন্তু বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে এ মহাসাগর থেকে ভয়াবহভাবে বাড়ছে কার্বন–ডাই–অক্সাইড নির্গমন। এটি নিউইয়র্ক শহর এক বছরে যত কার্বন নির্গমন করে তার তিনগুণ বেশি। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণা বলছে, পার্মাফ্রস্ট (মেরু অঞ্চলের স্থায়ী বরফ) গলে যাওয়ায় এবং কানাডার ম্যাকেঞ্জি নদীর কার্বন যৌগ সমৃদ্ধ প্রবাহ আর্কটিক মহাসাগরে মিলিত হওয়ায় সাগরের পানি কার্বন–ডাই–অক্সাইড শোষণের চেয়ে নির্গমন করছে বেশি।
কয়েক দশক ধরেই বিজ্ঞানীরা উন্মুক্ত সমুদ্র ও পরিবেশের মধ্যে কার্বন চক্র নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ প্রক্রিয়াকে বলা হয় বায়ু–সমুদ্র কার্বন–ডাই–অক্সাইড ফ্লাক্স। আর্কটিকের উপকূলীয় প্রান্ত বরাবর কার্বন চক্র পর্যবেক্ষণের তেমন কোনো রেকর্ড নেই। আর্কটিকের ভূমি, বরফ ও দীর্ঘ মেরু রাতের কারণে সেখানে দীর্ঘমেয়াদি পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা বেশ চ্যালেঞ্জিং।
গবেষণা প্রতিবেদনের প্রধান লেখক ও ফ্রান্সের লিটোরাল এনভায়রনমেন্ট অ্যাট সোসাইটিজের বিজ্ঞানী ক্লিমেন্ট বারটিন বলেন, ‘আমাদের মডেলের মাধ্যমে, আমরা আর্কটিক কার্বন চক্রে উপকূলীয় পরিবেশ এবং নদীগুলোর প্রকৃত ভূমিকা খোঁজার চেষ্টা করছি।’
এ ধরনের পর্যবেক্ষণ বেশ জটিল কারণ আর্কটিক মহাসাগরের অর্ধেকের মতো এলাকাই তৈরি হয়েছে উপকূলীয় পানি দিয়ে। এখানে ভূমি ও সমুদ্র জটিলভাবে মিলিত হয়েছে। গবেষণাটি আর্কটিক মহাসাগরের নির্দিষ্ট একটি স্থানকে কেন্দ্র করে হলেও, এটি সেখানকার বিস্তৃত অঞ্চলের চলমান পরিবেশগত পরিবর্তনের বিষয়টি বুঝতে সহায়তা করবে।
গবেষণায় ম্যাকেঞ্জি নদী নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালানো হয়েছে। এ নদী আর্কটিক মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিউফোর্ট সাগরে গিয়ে মিলিত হয়েছে। এ পরীক্ষার জন্য বৈশ্বিক মহাসাগর জৈব–ভূ–রাসায়নিক মডেল ইসিসিও–ডারউইন ব্যবহার করা হয়েছে। মডেলটি দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি এবং ক্যামব্রিজের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) তৈরি করা হয়েছে।
মডেলটি সমুদ্র এবং স্যাটেলাইটভিত্তিক সরঞ্জাম দিয়ে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সংগৃহীত সমুদ্র পর্যবেক্ষণের প্রায় সমস্ত উপাত্ত সমন্বয় করে। বিজ্ঞানীরা প্রায় ২০ বছর ধরে (২০০০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত) কার্বন, নাইট্রোজেন এবং সিলিকাবাহী মিঠা পানির প্রবাহের কম্পিউটার সিমুলেশন তৈরিতে এই মডেল ব্যবহার করেছেন।
ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার গবেষকেরা বলছেন, ম্যাকেঞ্জি নদীর প্রবাহ বিউফোর্ট সাগরের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলে তীব্র গ্যাস নিঃসরণ ঘটাতে শুরু করেছে, যা কার্বনের ভারসাম্য নষ্ট করছে। এতে প্রতি বছর নিট কার্বন–ডাই–অক্সাইড নির্গমনের পরিমাণ ১ লাখ ৩০ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে, যা গ্যাসোলিন চালিত ২৮ হাজার গাড়ির বার্ষিক কার্বন নিঃসরণের সমান।
পরিবেশে কার্বন–ডাই–অক্সাইডের নিঃসরণ মৌসুম ভেদে ভিন্ন হয়। উষ্ণ মাসগুলোতে নদীর প্রবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে কার্বন নিঃসরণের হার বেড়ে যায়। এ সময় গ্যাস আটকে রাখার জন্য সমুদ্রে বরফের পরিমাণ কম থাকে। ১৯৭০–এর দশক থেকে আর্কটিক অঞ্চলের তাপমাত্রা বিশ্বের অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় অন্তত তিনগুণ দ্রুত গতিতে বাড়ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এতে সমুদ্রের পানি ও বাস্তুতন্ত্রে পরিবর্তন এসেছে।
এ ধরনের পরিবর্তনের কারণে ওই অঞ্চলে কার্বন–ডাই–অক্সাইড অবমুক্তের হার আরও বেড়ে যাচ্ছে, যেখানে অন্যান্য অঞ্চলের বরফ কার্বন–ডাই–অক্সাইড শোষণ করে।
এবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
৪ ঘণ্টা আগেকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৯৫, যা অস্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে একদিন পরই আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এর পরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপট ও চীন...
৫ ঘণ্টা আগেপাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১৯ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা তুলনামূলক কমলেও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৮১, অবস্থান ষষ্ঠ। অন্যদিকে দুদিনের ব্যবধানে আবারও পাকিস্তানের লাহোর বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। এরপরে আছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এ ছাড়াও শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে মঙ্গোলিয়া ও ই
১ দিন আগে